প্রথম রমজানে ঢাবি ক্যাম্পাসে আড্ডামুখর ইফতার
রমজান সিয়াম সাধনার মাস। রমজানের রয়েছে নানা ফজিলত। নানা কিতাব বই পুস্তকে রমজানের নানা ফজিলত নানা ভাবে বর্ণনা করা হয়েছে। এই রমজানের ফজিলতের সাথে যে বিষয়টি সবচেয়ে দেখার মতো তা হল রমজানের ইফতার। সারা দিন রোজা রেখে ক্লান্ত হয়ে সবার সাথে মিলে মিশে ইফতার করার আনন্দটা দেখার মতো। মঙ্গলবার সন্ধ্যায় প্রথম রমজানের ইফতারের সময় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় (ঢাবি) ক্যাম্পাসের নানান জায়গায় আড্ডামুখর ইফতারের আয়োজন দেখা গেছে।
বিশ্ববিদ্যালয়ের টিএসসি, কার্জনের আঙ্গিনায় পেপার বিছিয়ে বন্ধুদের সাথে আনন্দমুখর পরিবেশে ইফতার করা ঢাবির রীতি বলা যায়। সারা দিন আল্লাহর ভয়ে রোজা রেখে শেষ বেলায় বন্ধুরের সাথে মিলেমিশে ইফতারের আয়োজন যেন সকল ক্লান্তি দূর করে দেয়।
ইফতার আয়োজনের জন্য যে উপাদান গুলো দরকার সে উপাদানগুলো হয়ত ঠিক মতো পায় না শিক্ষার্থীরা। কিন্তু সকলের উপস্থিতে সামান্য ইফতারের আয়োজনেই ফরম আনন্দ খুঁজে পায় শিক্ষার্থীরা।
বিশ্ববিদ্যালয় হল কিংবা ক্যাম্পাসে যেখানেই ইফতার আয়োজন হোক না কেন, ইফতারির খাবারদাবার কিন্তু আহামরি কিছু নয়। ছোলা, মুড়ি, চপ, বেগুনি, জিলাপি, খেঁজুর প্রভৃতি গতানুগতিক খাবারই থাকে বেশির ভাগ সময়ে। কিন্তু বন্ধুদের সঙ্গে আড্ডায় আড্ডায় এসব খাবারই যেন অমৃত মনে হয়।
পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে ইফতার করলে বাহারি নানা খাবার পাওয়া যায়। যে খাবারগুলো ইফতারের সময় অনেক রোজাদারী বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষার্থী প্রত্যাশা করে কিন্তু একত্রে ইফতার করতে না পারাটা যেন একটা শূণ্যতায় অনুভূত হয়।
প্রথম রমজানেরে ইফতারের পূর্বে বিকালের সময়টাতে টিএসসিতে ইফতার করতে আসা ঢাবি ছাত্র ফারুক হাসান জানান, বিশ্ববিদ্যালয় থেকে তার বাসা বেশি দূরে নয়, বাসায় ইফতার করার চাইতে বন্ধুদের সাথে ইফতার করতে ভাল লাগে তাই সে বন্ধুদের সাথে ইফতার করতে এসেছে।