শাড়ি-লুঙ্গিসহ পাঁচটি জাতীয় পোশাক ঘোষণার দাবি
বাঙালির জাতিগতভাবে প্রিয় পাঁচটি বস্ত্র— শাড়ি লুঙ্গি গামছা ব্লাউজ ও পাঞ্জাবিকে জাতীয় জাতীয় পোশাক ঘোষণার দাবি জানিয়েছেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের তৃতীয় শ্রেণীর একজন কর্মচারী। তার নাম কবি বিল্লাল হোসেন মৃধা। তিনি মুক্তিযোদ্ধা জিয়াউর রহমান হলের একজন কর্মচারী।
শনিবার দুপুর দেড়টার দিকে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় সাংবাদিক সমিতিতে এক সংবাদ সম্মেলনের মাধ্যমে তিনি এ দাবি জানান।
সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্যে তিনি বলেন, আমরা বাঙালি জাতি হিসাবে জাতীয় পোশাকের স্বীকৃতি চাই যেমন— শাড়ি, লুঙ্গি, গামছা, ব্লাউজ, পাঞ্জাবি। এই পাঁচটি বস্ত্রের হাজার বছরের ইতিহাস রয়েছে। আমাদের অবজ্ঞা করার কোন অবকাশ নেই।উপমহাদেশে তাঁত শিল্প ও তাঁত বস্ত্রের সুনাম রয়েছে ঐতিহ্যগত লুঙ্গি ও শাড়ীর। তাঁতিদের ব্রিটিশ শাসন আমলে তাঁতবস্ত্রকে ধ্বংস করার জন্য মুসলিম বুননে কারিগরদের হাত কর্তন করে তাঁত বস্ত্রের ঐতিহ্য থামিয়ে দেয়। আমরা জাতিগতভাবে বিলাসী ও কর্ম বাঙালি। জাতিগতভাবে এই পাঁচটি বস্ত্র অধিক প্রিয় আরামদায়ক হিসাবে পরিধান করি। পোশাক পরিধানে একটি জাতির সহজে পরিচয় প্রকাশ পায়। আমরা কি পারি না বিদেশে শাড়ি ও পাঞ্জাবি পরে আমাদের পরিচয় প্রকাশ করতে।আমাদের দাবি আন্তর্জাতিকভাবে বাংলাদেশের হাত ধরে প্রত্যেক দেশের নিজ নিজ পোশাক মাতৃভাষায় জাতিসংঘে উপস্থাপিত হোক।
তিনি আরো বলেন, ‘আমরা কোমলমতি ছোট্ট শিশুদের বর্ণমালা শিক্ষাদানের সময় জাতীয় ফুল, ফল, মাছ, পশু-পাখি ও আরও অনেক কিছু শিখিয়ে থাকি। কিন্তু দুঃখের বিষয় সেখানে জাতীয় পোশাকের কথা উল্লেখ থাকে না।বাংলাদেশের স্বাধীনতার ৪৮ বছর পার হলেও ঐতিহ্যগত বস্ত্রের কথা কারও মনে জাগ্রত হয়নি।’
বিল্লাল হোসেন মৃধা বলেন, আমাদের মুক্তিযুদ্ধে নর-নারী মুক্তিযোদ্ধারা লুঙ্গী, গামছা শাড়ি ব্লাউজ পরিধান করেই গেরিলাযুদ্ধ ও রণসংগীতে অংশগ্রহণ করেছিলেন। তিনি পাঁচটি পোশাককে জাতীয়করণে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার দৃষ্টি আকর্ষণ করেন। এসময় তিনি পাঁচটি পোশাককে জাতীয়করণ করতে বিভিন্ন যুক্তিও তুলে ধরেন। সেগুলো মধ্যে-এসব পোশাক বাঙালির পূর্ব পুরুষের ঐতিহ্য, ছেলে-মেয়েরা বিদেশী সংস্কৃতি ও পোশাকের প্রতি অতিমাত্রায় ঝুঁকছে উল্লেখযোগ্য।