ঢাবিতে বঞ্চিত সাত কলেজের শিক্ষার্থীরা, ৫ দাবিতে আন্দোলন
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) অধিভুক্ত সাত কলেজে শিক্ষাকার্যক্রম, ফলাফলে অসন্তোষ এবং সেশন জটিলতাসহ পাঁচ দফা দাবিতে মানববন্ধনের ডাক দিয়েছে সাধারণ শিক্ষার্থীরা। তাদের দাবি, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় সাত কলেজকে অধিভুক্ত করে তাদের মনগড়া নীতিতে পরিচালনা করছে।
আগামী মঙ্গলবার সকাল ১০টায় ঢাকা কলেজের প্রধান ফটকের সামনে সাত কলেজের এ মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হবে।
মানববন্ধন সম্পর্কে আন্দোলনের সমন্বয়ক ঢাকা কলেজ মাস্টার্সের শিক্ষার্থী বি এম শাহীন বলেন, সরকারের পাইলট প্রকল্পের আওতায় ঢাকা শহরের সাত কলেজকে জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের অধীন থেকে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধিভুক্ত করা হয়। এর ফলে আমাদের যে আশার আলো দেখিয়েছিলো তার কোনটাই আমরা ঠিকমতো পাচ্ছি না। বরং সুযোগ-সুবিধার পরিবর্তে পদে পদে শোষণ আর বঞ্চনার শিকার হতে হচ্ছে সাত কলেজের শিক্ষার্থীদের।
সম্প্রতি ঢাকা কলেজের রসায়ন বিভাগের প্রকাশিত রেজাল্টের কথা উল্লেখ্য করে শাহীন আরো বলেন, এ বিভাগের প্রকাশিত রেজাল্টে পরীক্ষার্থীর সংখ্যা ছিল ৪৮ জন। পাস করেছে ৮ জন, বাকিরা নন প্রমোটেড। শুধুমাত্র একটা প্রতিষ্ঠানের সাথে নয়, প্রতিটি প্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীদের সাথে এমন আচরণ করা হচ্ছে। এছাড়া আমাদের অনেক ব্যাচের শিক্ষার্থীরা এখনো সেশন জটিলতায় ভুগছে। এসব অন্যায় অনিয়মের প্রতিবাদে বেশ কিছু দাবি নিয়ে আমাদের মানববন্ধন।
মানববন্ধনে শিক্ষার্থীদের দাবি সমূহ:
১. পরীক্ষা শেষ হওয়ার ৯০ দিনের মধ্যে ত্রুটিমুক্ত ফলাফল প্রকাশসহ একটি বর্ষের সকল বিভাগের ফলাফল একত্রে প্রকাশ করতে হবে।
২. ডিগ্রী, অনার্স, মাস্টার্স সকল বর্ষের ফলাফল গণহারে অকৃতকার্য হওয়ার কারণ প্রকাশসহ খাতার পুনঃমূল্যায়ন করতে হবে ।
৩. সাত কলেজ পরিচালনার জন্য স্বতন্ত্র প্রশাসনিক ভবন করতে হবে।
৪. প্রতিমাসে প্রত্যেকটা ডিপার্টমেন্টে প্রতি কলেজে দুইদিন করে সর্বমোট ১৪ দিন ঢাবির শিক্ষকদের ক্লাস নিতে হবে।
৫. সেশনজট নিরসনের লক্ষ্যে একাডেমিক ক্যালেন্ডার প্রকাশসহ ক্লাস প্রোগ্রাম চালু করতে হবে।
এছাড়া মঙ্গলবারের মানববন্ধন পরবর্তী কার্যক্রম সম্পর্কে এ সমন্বয়ক জানিয়েছেন, সকল প্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীদের চাহিদা ও মতামতের উপর ভিত্তি করে পরবর্তী পদক্ষেপ নেয়া হবে।