সন্তানতুল্য শিক্ষার্থীদের টানে দেশে ছুটে আসেন যে অধ্যাপক
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে দীর্ঘ তিন দশক শিক্ষকতা করার পর এখন যুক্তরাষ্ট্রে থাকেন অধ্যাপক ড. হাবিবা খাতুন। তবে ইসলামের ইতিহাস ও সংস্কৃতি বিভাগের সাবেক এই অধ্যাপক এখনও ভুলতে পারেননি প্রিয় বিশ্ববিদ্যালয় ও সন্তানতূল্য শিক্ষার্থীদের। সেজন্য প্রায়ই ছুটে আসেন দেশে।
ড. হাবিবা খাতুনের এ অসামান্য ভালোবাসার কথা ফেসবুকে এক স্ট্যাটাসের মাধ্যমে জানিয়েছেন একই বিভাগের অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ সিদ্দিকুর রহমান খান। তার ফেসবুক স্ট্যাটািসটি হুবহু তুলে ধরা হল-
‘অধ্যাপক ড. হাবিবা খাতুন। আমাদের সকলের প্রিয় শিক্ষক। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) ইসলামের ইতিহাস ও সংস্কৃতি বিভাগে তিন দশকেরও বেশি সময় শিক্ষকতা ও গবেষণা কাজ করেছেন। বর্তমানে অবসর জীবন কাটাচ্ছেন মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র প্রবাসী তিন সুযোগ্য সন্তানের সাথে।
তবে তিনি সবসময় একটু ব্যতিক্রম। মার্কিন মুল্লুকের আয়েসী জীবনের থেকে দেশের সন্তানসম শিক্ষার্থীদের সান্নিধ্যটা তাঁর কাছে কম উপভোগ্য নয়। তাই প্রতিবছর দেশে ফিরে আসেন। বিভাগের সাথে তাঁর যেন নাড়ীর সম্পর্ক। মায়ের এ টানটা ভালোভাবেই বুঝেন তাঁর সুযোগ্য সন্তানেরা।
আর তাই মায়ের নামে বিভাগে খোলেছেন দু’টি ট্রাস্ট ফান্ড। একটি দিয়ে দেয়া হয় অসচ্ছল মেধাবী শিক্ষার্থীদের বৃত্তি এবং অন্যটি দিয়ে পরিচালিত হয় ট্রাস্ট ফান্ড লেকচার। মঙ্গলবার ছিল অধ্যাপক হাবিবা খাতুন ট্রাস্ট ফান্ডের তৃতীয় লেকচার। তার উপস্থিতিতে এবার ‘Politics of Conflicting Allegiances: Bengal, 1937-40 A Commentary’ শিরোনামে লেকচারটি দেন বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্টের হাইকোর্ট ডিভিশনের মাননীয় বিচারপতি ড. সৈয়দ রেফাত আহমেদ।
বিচারপতি সৈয়দ রেফাত আহমেদ বাংলাদেশের খ্যাতিমান আইন বিশেষজ্ঞ ব্যারিস্টার সৈয়দ ইসতিয়াক আহমেদ ও আমাদের বিভাগের প্রাক্তন শিক্ষক সর্বজন শ্রদ্ধেয় জাতীয় অধ্যাপক ভাষাকন্যা ড. সুফিয়া আহমেদ দম্পতির সুযোগ্য পুত্র। তিনি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক উপাচার্য বিচারপতি মোহাম্মদ ইব্রাহিমের দৌহিত্র।
অভিনন্দন ও ধন্যবাদ জানাচ্ছি বিচারপতি সৈয়দ রেফাত আহমদকে তাঁর অসাধারণ লেকচারটির জন্য। তাঁর জন্য আমাদের আন্তরিক শুভাশীষ। আর হাবিবা আপার সুস্বাস্থ্য ও দীর্ঘ জীবন কামনা করছি।’