ঢাবিতে শিক্ষার্থীদের আবেগের সেই জারুল চারা রোপন
বহু বছর ধরে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) কেন্দ্রীয় গ্রন্থাগারের সামনে ছিলো একটি জারুল গাছ। এ জারুল গাছটির সাথে জড়িয়ে ছিল ঢাবির সাবেক এবং বর্তমান শিক্ষার্থীদের কত গল্প, স্মৃতি, ভালোবাসা। জারুল গাছটি যখন বেগুনী রঙের ফুলে ভরে উঠতো তখন কেন্দ্রীয় গ্রন্থাগার প্রাঙ্গণ পরিণত হতো নন্দন কাননে!
কিন্তু গত মার্চের দিকে কালবৈশাখী ঝড়ের পর নিরাপত্তার কারণ দেখিয়ে গাছটি কেটে ফেলে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন। ক্যাম্পাসের এ চিরপরিচিত জারুল গাছটি কেটে ফেলায় শিক্ষার্থীরা মর্মাহত হন। জারুল গাছটি নিয়ে শিক্ষার্থীদের আবেগী স্ট্যাটাসে ভরে যায় সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুক।
গাছটির প্রতি শিক্ষার্থীদের এরূপ ভালোবাসা দেখে সেখানে আরেকটি জারুল গাছ রোপনের সিদ্ধান্ত নেয় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ ও কেন্দ্রীয় গ্রন্থাগার কর্তৃপক্ষ। এরই প্রেক্ষিতে মঙ্গলবার কেন্দ্রীয় গ্রন্থাগারের সামনে সেই আগের জারুল গাছটির স্থানে আরেকটি জারুল চারা রোপন করা হয়। এসময় উপস্থিত ছিলেন ডাকসুর এজিএস সাদ্দাম হোসাইন।
ডাকসুর এজিএস সাদ্দাম হোসেন বলেন, ক্যাম্পাসের সবুজ প্রকৃতি আমাদের মনকে ভালো রাখে। সম্প্রতি আমরা যে জারুল গাছটি হারিয়েছি এর জন্য শিক্ষার্থীরা আবেগঘন অনুভূতি ব্যক্ত করেছেন। সকলেরই মন খারাপ হয়েছে। সে বিষয়টি নজরে রেখে এবং প্রকৃতির সৌন্দর্য বজায় রাখতে হারিয়ে যাওয়া গাছটির স্থানে আজ আমরা জারুল গাছ রোপন করলাম।
ঢাবির সাবেক শিক্ষার্থী সাইফুল ইসলাম রুবেল দ্যা ডেইলি ক্যাম্পাসকে বলেন, আগের জারুল গাছটির সাথে মিশে ছিল আমার বিশ্ববিদ্যালয় জীবনের কত স্মৃতি। গাছটির নিচে দাঁড়িয়ে কত গল্প-আড্ডা দিয়েছি। গাছটি কেটে ফেলায় কেমন একটা শূণ্যতা বিরাজ করছিল সেখানে। সেখানে আরেকটি জারুল চারা রোপন করায় সন্তুষ্টি প্রকাশ করেন তিনি।
ইসরাত জাহান বর্ষা নামে তৃতীয় বর্ষের আরেক শিক্ষার্থী বলেন, ক্যাম্পাসের প্রতিটি গাছই আমাদের বন্ধুর মত। তিনি কেন্দ্রীয় গ্রন্থাগারের সামনে জারুল চারা রোপনের জন্য কর্তৃপক্ষকে ধন্যবাদ জানিয়ে বলেন, ক্যাম্পাসে আরো বেশি বেশি ফলজ, বনজ ও ঔষধি গাছ লাগাতে হবে। এতে করে ক্যাম্পাসের সৌন্দর্য যেমন বৃদ্ধি পাবে তেমনি পরিবেশেরও উপকার হবে।