বঙ্গবন্ধু হলের একটি কক্ষ দখল নিতে ছাত্রলীগের তিন গ্রুপের তালা!
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান হলের একটি কক্ষ দখলের জন্য এর দরজায় তিনটি তালা ঝুলানো হয়েছে। গত পাঁচ দিন ধরে কক্ষটিতে তালা ঝুলছে। হল শাখা ছাত্রলীগের তিনটি গ্রুপ কক্ষটিকে নিজেদের দখলে নিতে তালা মেরেছে বলে জানা গেছে।
বঙ্গবন্ধু হলের একাধিক সূত্র জানায়, হলের ৩০৯ নম্বর কক্ষটিতে ছাত্রলীগের সোহাগ-জাকির কমিটির সহ-সভাপতি সাইদুর রহমান থাকতেন। প্রায় সাত-আট মাস আগে তিনি হল ছেড়ে দিলেও তার অনুগত তিনজন সে কক্ষে অবস্থান করে আসছিলেন। তাদের মধ্যে একজন হলের আবাসিক শিক্ষার্থী ছিলেন। তবে তার ছাত্রত্ব অনেক আগেই শেষ হয়ে গেছে। বাকি দু’জনের একজন বিশ্ববিদ্যালয়ের বিজয় একাত্তর হলের শিক্ষার্থী এবং অন্যজন ঢাকা কলেজের শিক্ষার্থী অভিযোগ ওঠে।
সূত্র আরো জানায়, কিছুদিন আগে বঙ্গবন্ধু হল সংসদের নব নির্বাচিত জিএস মেহেদী হাসান শান্ত সে কক্ষ থেকে সবাইকে চলে যেতে বলেন। তারা চলে গেলে কক্ষ পরিষ্কার করে সেখানে কার্পেট বিছানো হয়, বেডশিটও নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানে শান্তসহ আরো দু’জনের উঠার কথা রয়েছে।
তবে, এরইমধ্যে কক্ষটি নিয়ে বিবাদ দেখা দেয়। রাজনীতিতে মেহেদী হাসান শান্ত ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগের সভাপতি সনজিত চন্দ্র দাসের অনুসারী। শান্ত’র গ্রুপ ছাড়াও হল শাখা ছাত্রলীগের অন্য দুটি গ্রুপ কক্ষটি দখলের চেষ্টা করে।
জানা যায়, বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রত্যেকটি হলে ছাত্রলীগের কমিটি হওয়ার পর দুটি গ্রুপ হয়। একটি গ্রুপ সভাপতির, অন্য সাধারন সম্পাদকের। হলের কক্ষগুলোও নিজেদের মধ্যে সমঝোতার ভিত্তিতে ভাগ করা হয়।
বঙ্গবন্ধু হলের পাঁচতলা ভবনের উত্তর দিকের ব্লকে থাকেন সভাপতি গ্রুপের নেতাকর্মীরা। আর দক্ষিন দিকের ব্লকে থাকেন সাধারন সম্পাদকের গ্রুপের নেতাকর্মীরা। আবার উভয় ব্লকেই সভাপতি ও সাধারন সম্পাদকের কয়েকটি কক্ষ থাকে। ৩০৯ নাম্বার কক্ষটি সভাপতি গ্রুপের নাকি সাধারন সম্পাদকের গ্রুপের এ নিয়ে দ্বন্দ্বের জেরে তালা মারা হয়।
বঙ্গবন্ধু হল সংসদের জিএস মেহেদী হাসান শান্ত সে কক্ষে একটি তালা লাগান। এছাড়া কক্ষটিতে ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় সাধারন সম্পাদক গোলাম রাব্বানীর অনুসারী গ্রুপ একটি এবং ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগের সাধারন সম্পাদক সাদ্দাম হোসেনের গ্রুপ একটি তালা মারে বলে জানা গেছে। শেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত সে কক্ষে তালা তিনটি রয়েছে বলে জানা গেছে।
এ ব্যাপারে জানতে মেহেদী হাসান শান্ত’র মোবাইলে একাধিকবার কল দেওয়া হলেও তিনি রিসিভ করেননি। জানতে চােইলে বঙ্গবন্ধু হলের প্রাধ্যক্ষ অধ্যাপক মফিজুর রহমান দ্যা ডেইলি ক্যাম্পাসকে বলেন, ‘বিষয়টি আমার জানা ছিল না। খোঁজ নিয়ে দেখছি।’