০৬ এপ্রিল ২০১৯, ০১:০২

হামলাকারীদের পরিচয় জানিয়ে ফেসবুক স্ট্যাটাস সেই ফরিদের

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সলিমুল্লাহ মুসলিম হলের আবাসিক ছাত্র ফরিদ হাসানকে হামলার প্রতিবাদে তুলকালাম হয়েছে দেশ সেরা প্রতিষ্ঠানটিতে। ঘটনার বিচার দাবিতে গিয়ে হামলার শিকার হয়েছেন ডাকসুর ভিপি নুরুল হক নুর, মুহাম্মদ রাশেদ খাঁন, ফারুক হাসান, উম্মে হাবিবা বেনজির, অরণি সেমন্তি খানসহ অনেকে। হামলার বিচার চেয়ে ইতোমধ্যেই আন্দোলন হয়েছে। বিচার দাবিতে ৫ দিনের আল্টিমেটাম দিয়েছেন ডাকসু ভিপি নুরুল হক নুর।

এদিকে তুঘলকি ওই কাণ্ড নিয়ে স্ট্যাটাস দিয়েছেন যাকে কেন্দ্র করে এই ঘটনা ও পরে মহীরূপ; সেই ফরিদ হাসান। যাতে তিনি হামলাকারীদের পরিচয় তুলে ধরেছেন। শুক্রবার গভীর রাতে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ফেসবুকে তিনি লিখেছেন, ‘গত ২৮ তারিখ রাতে ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক গোলাম রাব্বানী ভাইয়ের সাথে ফোনে আমার কথা হয়। তিনি বলেন যে, তুমি মনোনয়নপত্র প্রত্যাহার করো। আগামীতে তোমার জন্য ভালো কিছু অপেক্ষা করছে। আমি রাত ৩ টায় একটি স্ট্যাটাস দিই; যা এখনও আমার টাইমলাইনে আছে। সেখানে তিনি কমেন্ট করেন ‘আগামীর জন্য শুভকামনা’।

সলিমুল্লাহ মুসলিম হলের সাধারণ সম্পাদক আমাকে মনোনয়নপত্র প্রত্যাহার করতে চাপ দেন, একাধিকবার ফোন দেন এবং আমার মেসেঞ্জারে মেসেজ দেন। যেগুলো নিচে দেওয়া হবে এবং রাব্বানী ভাই বলছে ‘আমার রুমে নাকি মাদক পাওয়া গেছে’। এটা মিথ্যা ও বানোয়াট কথা। আমি ১৫৯ নম্বর রুমে থাকতাম এবং আমার আইডি কার্ডেও ১৫৯ নম্বর রুম আছে। আপনারা হলের প্রভোস্ট স্যারের কাছে শুনতে পারেন; সেখানে কখনো কি কোনো প্রকার মাদক পাওয়া গেছে? কিংবা কখনও ১৫৯ রুম সিলগালা করা হয়েছে?

রাব্বানী ভাই বলেছেন, ১৫৯ নম্বর রুম নাকি সিলগালা করা। এটা মিথ্যা এবং বানোয়াট কথা। ১ তারিখ রাতে যারা আমার উপর হামলা করে; তারা প্রত্যেকেই হল ছাত্রলীগের পোস্টেড। স্বতন্ত্র নির্বাচন করতে চাওয়ায় যদি ছাত্রলীগের এই সন্ত্রাসীরা এইভাবে হামলা করতে পারে; তাহলে আমি যদি নির্বাচন করতাম তাহলে তারা আমার সাথে কি ব্যবহার করতো?

স্ট্যাটাসে ফরিদ হাসান হামলার জন্য মোট ৯ জন ছাত্রলীগ নেতা তথা মেহেদী হাসান তাপস (সংস্কৃত বিভাগ, ফরিদের দাবি অনুযায়ী), তাহসান আহমেদ রাসেল (সঙ্গীত), ওয়াসিফ হাসান পিয়াস (ইংরেজি), সানাউল্লাহ সায়েম (সংস্কৃত), রুবেল হোসেন (ইসলামিক স্টাডিজ), মুজাহিদ (ফার্সি), ছাব্বির (পরিসংখ্যান), মাসুদ রানা (ইসলামের ইতিহাস), জুলিয়াস সিজার তালুকদারের (অপরাধ বিজ্ঞান বিভাগ ও জিএস) নাম উল্লেখ করে তাদেরকে দায়ী করেছেন। তিনি লিখেছেন, এই সন্ত্রাসীরা প্রত্যাক্ষভাবে আমার উপর হামলা করে এবং নির্মমভাবে আঘাত করে।

আরও পড়ুন: নুরকে না জানিয়ে ডাকসুর স্টাফ নিয়োগের প্রক্রিয়া রাব্বানীদের!

ফরিদ হাসানের বক্তব্য, যখন আমি আমার হলে প্রভোস্ট স্যারের কাছে অভিযোগ দিতে যাই; ঠিক তখনই ছাত্রলীগের বর্বর সন্ত্রাসীরা নুরু ভাই, রাশেদ ভাই, ফারুক ভাই ও আখতারের উপর হামলা করে। সেটা ছিলো খুবই বর্বর। আমার বোন বেনজির আপু, ইমি এবং অরণীর উপর যে অমানবিক হামলা করেছে এবং যেসব ভাষা ব্যবহার করেছে; সেটা কোনো বিকৃত মানসিকতার লোক ছাড়া বলতে পারে না। যারা এই ধরনের জঘন্য কাজ করতে পারে; তারা কখনো ছাত্রলীগ করতে পারে না। আমি এই সব সন্ত্রাসীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দাবি করছি।

পড়ুন: দুই ছাত্রীকে যৌন হয়রানি করলেন বিভাগীয় চেয়ারম্যান