ডাকসু অনিয়ম: দেড় ঘন্টার তর্ক-বিতর্কে যা যা হলো...
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (ডাকসু) নির্বাচনে অনিয়ম নিয়ে তদন্ত কমিটির সদস্যদের সঙ্গে বৈঠক করেছেন সাধারণ সম্পাদক (জিএস) প্রার্থী মুহাম্মদ রাশেদ খাঁন। রোববার দুপুর বারোটার দিকে প্রায় দেড় ঘন্টাব্যাপী এ বৈঠক শুরু হয়। বৈঠক থেকে বেরিয়ে রাশেদ খাঁন দ্যা ডেইলি ক্যাম্পাসকে বলেন, ‘তদন্ত কমিটির সঙ্গে প্রায় দেড় ঘণ্টা আলোচনা হয়েছে। তারা ডাকসু নির্বাচনে অনিয়মের ব্যাপারে আমার অভিযোগুলো অনেকটা মেনে নিয়েছেন।’ পুরো এই সময়ে কী কথা হয়েছে রাশেদের সঙ্গে? এ বিষয়ে ফেসবুকে স্ট্যাটাসের মাধ্যমে বিস্তারিত জানিয়েছেন তিনি। দ্যা ডেইলি ক্যাম্পাস’র পাঠকদের জন্য তা তুলে ধরা হলো-
সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে রাশেদ লিখেছেন, ‘ডাকসু নির্বাচনে অনিয়মের অভিযোগে গঠিত তদন্ত কমিটি ও একমাত্র অভিযোগকারী প্রতিনিধি হিসেবে আমার সাথে তাদের ১ ঘন্টা ৪৫ মিনিটের কথোপকথন-
তদন্তকারী শিক্ষকবৃন্দ: আপনার সম্পূর্ণ পরিচয়?
আমি: পরিচয় প্রদান করি।
শিক্ষকবৃন্দ: আপনার অভিযোগ আমরা পেয়েছি এবং অভিযোগগুলো গুরুত্ব সহকারে নিয়েছি। আপনি এগুলোর ব্যাখ্যা করুন।
আমি: আমি ভোটের দিন প্রতিটা হলে যাওয়ার চেষ্টা করেছি এবং বিভিন্ন বাধার সম্মুখীন হয়েছি। প্রতিটা হলের ভোটকেন্দ্র ক্ষমতাসীন ছাত্র সংগঠনের দখলে ছিলো।
তদন্তকারী শিক্ষকবৃন্দ: আপনি প্রতিটা হলের তথ্য আলাদাভাবে বর্ণনা করুন।
আমি: আমরা প্রথমে এ. এফ রহমান হলে বাধার সম্মুখীন হই। সেখানে সকাল ৬ টা থেকে ১ম ও ২য় বর্ষের শিক্ষার্থীদের দ্বারা লাইন তৈরি করা হয়। আর এই লাইন তদারকির দায়িত্বে কেন ছাত্রলীগ ছিলো? আপনারা বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন নির্বাচনের দায়িত্বে ছিলেন, অথচ পুরো দায়িত্ব তুলে দিয়েছিলেন ছাত্রলীগের হাতে। সেদিন কোথায় ছিলো প্রক্টরিয়াল টিম, কোথায় ছিলো নির্বাচনের দায়িত্বরত শিক্ষকরা? লাইন তদারকির দায়িত্বে কেন আপনারা ছিলেন না?
আমরা হলের ভিতর ঢুকতে গেলে আমাদের বহিরাগত বলে ঢুকতে বাধা দেওয়া হয়। আমরা বলি, আমরা প্রার্থী। ছাত্রলীগের নেতারা বলে, বাইরের হলের কেউ ঢুকতে পারবে না। আমরা বলি, প্রার্থীদের সকল হলে ঢোকার অনুমতি আছে। একটা পর্যায়ে আমরা ঢোকার চেষ্টা করলে হট্টগোল বেধে যায়। তখন প্রভোস্ট এসে আমাদের ভিতরে নিয়ে যায়। আমরা তার কাছে জানতে চাই সাত-সকালে লাইন কেন? আর লাইন তদারকির দায়িত্বে ছাত্রলীগ কেন? তিনি কোন সদুত্তর দিতে পারেন না। এরপর তিনি আমাদের ভোটকেন্দ্র দেখান, আমরা ভিতরে যেতে চাইলে ও ব্যালট বক্স দেখতে চাইলে, তিনি বলেন ৮টার আগে দেখানো যাবেনা। আমরা তখন বলি ৮টার আগে তাহলে লাইন কেন?এরপর তিনি কোন সদুত্তর দিতে পারেন না।
এরপর আমরা জহুরুল হল হলে যায়, সেখানে ৭ টা থেকে ভোটের লাইন তৈরি হয়। সেখানে কোন পক্ষ আমাদের বাধা প্রদান করেনা। তবে সেখানেও কৃত্রিম লাইন তৈরি করা ছিলো। একথা শুনে একজন শিক্ষক আমাকে বলে, আমি জহুরুল হক হলের রিটার্নিং কর্মকর্তা ছিলাম। এখানে আমরা চেষ্টা করেছি, সকল পক্ষকে সমান সুযোগ দেওয়ার। আমি বলি, সেটা করতে পারেন, তবে কৃত্রিম লাইন তৈরি করা তো বন্ধ করতে পারেন নি।
এরপর এসএম হলে প্রবেশ করি। সেখানে ভিতরে ঢুকতে বাধা দেওয়া হয়। একটা পর্যায়ে সাংবাদিকদের সহায়তায় সেখানে প্রবেশ করি। তবে শিক্ষকদের কাছ থেকে কোন সহায়তা পায়নি।
পরবর্তীতে ড. মুহম্মদ শহীদুল্লাহ যাই। সেখানে যাওয়ার সাথে সাথে আমাদেরকে কটুক্তি করে কথা বলা হয়। সেখানেও দীর্ঘ লাইন ছিলো। এই লাইন ১ম ও ২য় বর্ষের শিক্ষার্থীদের মাধ্যমে তৈরি। আমাদের সামনেই তাদের বলা হয়, ৩৮টা সিল দিবা, অন্যথায় কেউ হলে থাকতে পারবা না। আমরা বলি, কেউ ভয় পাবেন না। ভোট আপনার অধিকার, চাপের মুখে কাউকে ভোট দিবেন না। তখন ছাত্রলীগের লাইন তদারকির দায়িত্বে থাকা নেতারা আমাদের জাময়াত-শিবির বলে স্লোগান দেয়। একটা পর্যায়ে আমরা ভোট কেন্দ্রে প্রবেশ করতে গেলে, আমাদের হেনেস্তা করা হয়। পাঞ্জাবি ধরে টানাটানি ও ধাক্কাধাক্কি দেওয়া হয়। তখন একজন শিক্ষক এসে তাদেরকে থামানোর চেষ্টা করে। তাকেও মান্য করা হয় না। এরপর সকল শিক্ষক বাইরে চলে আসে। তাদেরকে মান্য করা হয় না।
বলা হয়, জাময়াত-শিবির ভিতরে যেতে পারবে না। তাদের বাধার মাঝেই শিক্ষকরা আমাদের ভিতরে নিয়ে যায়। ভিতরে নিয়ে গিয়ে বলা হয়, এই পাশ দিয়ে চলে যান। শিক্ষকরাও নির্বাচনের কোন প্রসেস আমাদের বুঝতে দেয় না। আমরা বাইরে এসে যমুনা টিভিসহ কয়েকজন সাংবাদিককে কল করি। সাংবাদিকরা এসে আমাদের সাক্ষাৎকার নেয়। লাইনের পাশে ছাত্রলীগের তদারকি টিমসহ সকল বাধার চিত্র আমরা তুলে ধরি। এরপর আমাদের কাছে কল আসে, কুয়েত মৈত্রী হলের বস্তা ভর্তি ব্যালট পেপার উদ্ধার করা হয়েছে। আমরা সেখানে যাই; সেখানে গিয়ে মেয়েদের বক্তব্য শুনি ও নিজেরা সিলমারা ব্যালট পেপার দেখতে পাই।
একটা পর্যায়ে সেখান থেকে আমরা একজন বহিরাগতকে চিহ্নিত করি। আমাদের কাছে খবর ছিল, ছাত্রলীগ প্রতিটা হলের লাইন তদারকির জন্য বাইরে থেকে বহিরাগত ছাত্রদের এনেছে। সেলেটিকে ধরার পর সত্যতা মেলে৷ আমরা তাকে সহকারী প্রক্টর রহিম স্যারের হাতে তুলে দিই। রহিম স্যার পরবর্তীতে তাকে ছেড়ে দিয়েছে বলে মনে করি। কারণ, তাকে মামলা দিয়ে আটক করার কোন সংবাদ আমরা পাইনি।
কুয়েত মৈত্রী হলের ঘটনার প্রভাব ও উত্তাপ প্রতিটা হলে ছড়িয়ে পড়ে। শিক্ষার্থীরা মনে করে প্রতিটা হলেই এ ধরনের ঘটনা ঘটেছে। যেখানে মেয়েদের হলে, ক্ষমতাসীন ছাত্র সংগঠনের বিন্দুমাত্র প্রভাব না থাকার পরও এঘটনা ঘটতে পারে; সেখানে ছেলেদের হলে প্রভাব বিস্তার করে রাতে সিল মারার ঘটনা খুব সহজ ব্যাপার। সবাই মনে করে এ ধরনের ঘটনা ঘটেছে। আর না ঘটলে তার প্রমাণ কি?
কারণ, শিক্ষকরা সম্পূর্ণ অস্বচ্ছ ও ত্রুটিপূর্ণ উপায়ে নির্বাচন সম্পন্ন করেছে। তারা সাংবাদিকদের ঢুকতে দেয়নি, লাইভ সম্প্রচার নিষিদ্ধ করেছে, কোন এজেন্ট রাখেনি, ভোটারদের হাতে ভোট দেওয়ার পর অমোচনীয় কালি দেয়নি, লাইন তদারকিতে প্রক্টরিয়াল টিম/কোন শিক্ষকদের দেখা যায়নি।
কুয়েত মৈত্রী হলের পরে আমরা রোকেয়া হলে আসি। সেখানে আসার পর মেয়েরা অভিযোগ করে, তাদের হলে ৯ টা ব্যালট ভর্তি ট্রাঙ্কের মধ্যে ৩ টা অন্যরুমে লুকিয়ে রাখা হয়েছে। মেয়েদের তথ্য মোতাবেক আমরা সেগুলো চিহ্নিত করি। কর্মকর্তাদের মাধ্যমে সেগুলো সিল মারার জন্য লুকিয়ে রাখা হয়েছিলো বলে সবাই মনে করে। কারণ ভোট হচ্ছে এক রুমে, আর ব্যালট পেপার রয়েছে আরেক রুমে এটি কোন নিয়মের মধ্যে পড়ে না।
এরপর আমরা ৫ টি প্যানেল মিলে ১টার পর নির্বাচন বর্জন করি। যে কারণে অবাসিক শিক্ষার্থীরা ও ভোটাররা লাইন থেকে চলে আসে। এরপর কেন রোকেয়া হলে ৩ টার পর থেকে ভোট নেওয়া হলো; যেখানে ভোট গ্রহণের শেষ সময় ২ টা পর্যন্ত। তাহলে এই অনাকাঙ্ক্ষিত পরিস্থিতির কারণে যারা ভোট না দিয়ে ফিরে গেলো, তাদের দায়ভার কে নিবে?
অভিযোগগুলোর সাথে আমি কিছু ছবি যুক্ত করি; যেখানে কয়েকটি হলের কৃত্রিম লাইনের ছবি, প্রক্টরের হাতে বহিরাগত তুলে দেওয়ার ছবি, ১ম ও ২য় বর্ষের শিক্ষার্থীদের দ্বারা তৈরি লাইনের সত্যতার ছবি, রোকেয়া হলের ব্যালট পেপারের ছবি ও কুয়েত মৈত্রী হলের সিল মারা ব্যালট পেপারের ছবি, লুডু খেলার ছবি, ভোটারদের লাইনগুলোতে ছাত্রলীগের তদারকির ছবি, লাইনের বাইরে ছাত্রলীগের নেতাদের জটলার ছবি তুলে ধরেছি। এছাড়া নির্বাচন নিয়ে অনিয়ম, কারচুপি ও জালিয়াতির ১৯ টি নিউজ তুলে ধরেছি।
আমার সংগৃহীত নিউজগুলোর দেখে তারা বলে; এগুলো মিডিয়া তাদের মতো করে নিউজ করেছে। আমি বলি, তাহলে মিডিয়াকে ধরেন না কেন? তারা ভুল নিউজ করলে তাদেরকে জবাবদিহির আওতায় আনেন।
একটা পর্যায়ে তারা বলে, একটা হলের কারচুপির প্রমাণ দিতে পারবে? আমি বলি, কুয়েত মৈত্রী হল? তারা বলে, সেই হলের ঘটনাটা ভিন্ন। সঙ্গে সঙ্গে কুয়েত মৈত্রী হলের প্রভোস্টকে সরিয়ে দেওয়া হয়েছে। সেই হলে পরবর্তীতে সুষ্ঠু নির্বাচন হয়। আমি বলি, বাকি হলে একই ঘটনা ঘটেছে এবং এর সাথে শিক্ষকরা জড়িত। আপনারা ভিতরে কী করেছেন, তা আমরা কিভাবে জানবো?
ভিতরের ঘটনা জানার কোন উপায় রেখেছেন? তারা বলেন, এটা গঠনতন্ত্র ও সিস্টেমের ব্যাপার। গঠনতন্ত্র উল্লেখ আছে, প্রতি বছর নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে, আপনারা কি প্রতিবছর নির্বাচন উপহার দেন? তারা বলেন, প্রশাসন ও শিক্ষকরা কোন প্রতিপক্ষ নয়, তারা সকলের জন্য সমান সুযোগ তৈরি করেছে, তারা একটি ভাল নির্বাচন দেওয়ার চেষ্টা করেছে।
আমি বলি, প্রশাসন ছাত্রলীগের হয়ে কাজ করেছে, তাদেরকে জিতিয়ে দিতে যা যা করা দরকার, সবকিছু করেছে। আপনারা আমাদের একটি দাবির কথা বলেন, যেটি আপনারা মেনে নিয়েছেন। অথচ ছাত্রলীগের দাবির প্রেক্ষিতে বয়স বাড়ালেন, তাদেরকে ভর্তির ব্যবস্থা করে দিলেন। আমার কাছে অভিযোগ আছে নিয়ম না মেনে ব্যাংকিং এন্ড ইনসুরেন্স ডিপার্টমেন্ট অসংখ্য প্রার্থীদের ভর্তি করা হয়েছে। অথচ বিরোধী মতাদর্শের প্রার্থীদের আপনারা সে সুযোগ করে দেননি। আপনারা আমাদের বিন্দু পরিমাণ সহায়তা করেন নি।
তদন্তকারী শিক্ষকবৃন্দ: আপনি অভিযোগ পত্রে দুটি দাবি করেছেন। ১. সাংবাদিকদের সামনে ভোট গণনা, ২. পুনঃনির্বাচন। এটি পরস্পরবিরোধী নয়?
আমি: মোটেও না। প্রথমত আপনারা সাংবাদিকদের সামনে ভোট গণনা করলেন, কিন্তু দেখা গেলো এখন জয়ী ঘোষিত প্রার্থীকে জয়ী হিসেবে প্রমাণ করতে আপনারা তার নামে ততগুলো সিল মেরে আনলেন, সেখানেও সন্দেহ থেকে যায়। এসব বিতর্ক থেকে বাঁচতে একমাত্র সমাধান পুনঃনির্বাচন। তাহলে সেই নির্বাচন নিয়ে আর কোন বিতর্ক থাকবেনা।
তদন্তকারী শিক্ষকবৃন্দ: শিক্ষকরা তোমাদের শত্রু না, তাদের উপর আস্থা রাখো। নির্বাচন কিছু অনিয়ম হয়েছে। তবে দু’একটি ভাল ঘটনাও তো আছে। দু একটি হলে ভাল নির্বাচন হয়েছে, সেগুলো তোমরা মিডিয়াতে বলো৷ তোমরা সবসময় মিডিয়ার কাছে, বলছো, প্রতিটা হলে কারচুপির ঘটেছে।
আমি: আপনাদের উপর আমাদের কোন আস্থা, বিশ্বাস নেই। কারণ আপনারা আস্থা বিশ্বাস রাখার মতো কাজ করেননি। আর নির্বাচন নিয়ে মিডিয়ার সামনে ভাল বলার মতো কোন ঘটনা ঘটেনি। আপনাদের সম্মান আজ নষ্ট হয়ে গেছে। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় মানে ৪৩ হাজার ভোটার নয়, ১ হাজার শিক্ষক নয়। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় মানে সমগ্র জাতি, একটি দেশ, একটি জাতির ইতিহাস, ঐতিহ্য। আপনারা সব শেষ করে দিয়েছেন। আপনাদের সম্মান নষ্ট হলে আমাদের সম্মান নষ্ট হয়৷ আপনাদের সম্মান আমাদের থেকে সামাজিকভাবে বেশি নষ্ট হয়েছে। আপনাদের উপর আস্থা, বিশ্বাস ফিরিয়ে আনতে এবং ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়কে কলঙ্কের হাত থেকে রক্ষা করতে আপনারা পুনঃনির্বাচন দিতে সুপারিশ করুন।
তদন্তকারী শিক্ষকবৃন্দ: রাশেদ, আপনাকে ধন্যবাদ দীর্ঘ সময় দেওয়ার জন্য।
আমি: দোয়া করবেন স্যার। আমরা চাই ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কলঙ্কের হাত থেকে বাঁচুক। আশা করি, আপনারা সেভাবেই কাজ করবেন।
রাশেদ লিখেন, তদন্তকারী কর্মকর্তাদের সাথে দীর্ঘ ১ ঘন্টা ৪৫ মিনিটের বেশি সময় ধরে তর্ক বিতর্ক, আলাপ আলোচনা হয়েছে। তারা বিভিন্ন যুক্তি, উদাহরণ দিয়েছে৷ আমি সেগুলো খণ্ডন করেছি৷ সময় স্বল্পতার কারণে সমস্ত ঘটনা, যুক্তিতর্ক তুলে ধরতে পারিনি। খুশির বিষয় হলো, আমার বক্তব্য প্রদানে তারা কোন বাধা প্রদান করেনি। তারা ধৈর্য ধরে আমার কথাগুলো শুনেছে। আমি প্রতিটা অভিযোগ আমার মতো করেই প্রকাশ করতে পেরেছি। এজন্য আমি তাদেরকে অসংখ্য ধন্যবাদ জানাই।।