২৯ মার্চ ২০১৯, ১২:৩৬

ডাকসু নির্বাচনে অনিয়মের প্রমাণ কর্তৃপক্ষকে দিলেন রাশেদ

  © টিডিসি ফটো

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (ডাকসু) নির্বাচনে অনিয়মের প্রমাণসহ একটি চিঠি কর্তৃপক্ষকে দিয়েছেন সাধারণ সম্পাদক (জিএস) প্রার্থী মোঃ রাশেদ খাঁন। তিনি কোটা সংস্কার আন্দোলনকারীদের ‘বাংলাদেশ সাধারণ ছাত্র অধিকার সংরক্ষণ পরিষদ’র প্যানেল থেকে নির্বাচনে অংশ নেন। আগামী রোববার এ ব্যাপারে কর্তৃপক্ষ মিটিংয়ে বসবেন বলে রাশেদ জানিয়েছেন।

ডাকসু ও হল সংসদ নির্বাচন সংক্রান্ত তদন্ত কমিটির আহবায়ক বরাবর দেওয়া চিঠিতে বিষয় উল্লেখ করা হয়েছে ‘ডাকসু নির্বাচন-২০১৯ এ জালিয়াতি, কারচুপি ও অনিয়মের প্রমাণ দাখিল এবং পুনঃনির্বাচনের আবেদন প্রসঙ্গে’। এতে তিনি বলেছেন, ‘গত ১১ মার্চ অনুষ্ঠিত ডাকসু নির্বাচনে আমি মোঃ রাশেদ খাঁন, ব্যাংকিং এন্ড ইনসুরেন্স বিভাগ, ১৯তম ব্যাচ, সাধারণ সম্পাদক পদপ্রার্থী ছিলাম। উক্ত পদে আমার নামে দেখানো ভোটের সংখ্যা ছয় হাজার ৬৩টি এবং একই পদে জয়ী ঘোষিত প্রার্থীর নামে দেখানো ভোটের সংখ্যা ১০হাজার ৪৮৪টি।’

তিনি আরো বলেছেন, ‘ডাকসু নির্বাচনে সংগঠিত হওয়া জালিয়াতি, কারচুপি ও অনিয়মের চিত্র উঠে এসেছে দেশের সকল খ্যাতনামা গণমাধ্যম। যা ভোটের দিন আমি স্বচক্ষে দেখেছি এবং জালিয়াতি, কারচুপি এবং অনিয়মের প্রমাণগুলো এই আবেদনের সংযুক্তি অংশে ২০টি সংযুক্তি সংযুক্ত করেছি। আমি মনে করি, এসব জালিয়াতি, কারচুপি এবং অনিয়মের ঘটনা এড়িয়ে যেতে পারেনা বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন।’

রাশেদ খাঁন বলেন, ‘আমার দাখিলকৃত প্রমাণসমূহের সাপেক্ষে, আমার পদের সকল ভোট সাংবাদিকদের সামনে পুর্নগণনা করতে হবে। শুধু তাই নয়, এই ডাকসু নির্বাচন ২০১৯-এর পুরো নির্বাচন প্রক্রিয়া প্রশ্নবিদ্ধ হয়েছে বলে মনে করে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধিকাংশ শিক্ষক ও শিক্ষার্থী।’

চিঠিতে তিনি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের মর্যাদা পুনরুদ্ধার ও ছাত্রসমাজের দাবিকে আমলে নিয়ে ডাকসু নির্বাচনের ফলকে বাতিল করে পুনঃনির্বাচনের ব্যবস্থা নেওয়ার আহবান জানিয়েছেন।

এ ব্যাপারে রাশেদ খাঁন দ্যা ডেইলি ক্যাম্পাসকে বলেন, ‘বৃহস্পতিবার ডাকসু নির্বাচনের জালিয়াতি, কারচুপি ও অনিয়মের অভিযোগ প্রদানের শেষ সময় ছিলো। আমি গতকাল দুপুর ২ টায় ২০টি সংযুক্তি আকারে তথ্য প্রমাণসহ অভিযোগ জমা দিয়েছি। এরপর তদন্ত কমিটি থেকে বিকালে কল করে জানানো হয়, ‘আপনার সকল অভিযোগ তথ্য প্রমাণসহ আমরা দেখেছি। আমরা আগামী রোববার দুপুর ১২টায় প্রধান রিটার্নিং কর্মকর্তার রুমে মিটিং এ বসবো৷’ সেখানে তাকে উপস্থিত হলে অভিযোগগুলো বর্ণনা করতে বলা হয়েছে বলেও জানান তিনি।

এর আগে কারচুপির তথ্য কারো কাছে থাকলে তা প্রক্টর অফিসে জমা দিতে তদন্ত কমিটি থেকে আহবান জানানো হয়েছিলো।