১৭ মার্চ ২০১৯, ১৯:৩৮

ফের ডাকসু নির্বাচন দাবিতে সোমবার ভিসি অফিস ঘেরাও

  © টিডিসি ফটো

ডাকসু নির্বাচনে ব্যাপক অনিয়ম ও কারচুপির অভিযোগে ফের নির্বাচনের তফসিল ঘোষণার আল্টিমেটাম শনিবার শেষ হয়েছে। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের পক্ষ থেকে কোন ধরণের সাড়া না পাওয়ায় ফের পাঁচ দফা দাবিতে সোমবার ক্লাস বর্জন ও উপাচার্যের কার্যালয়ের সামনে অবস্থান কর্মসূচি পালন করবে নির্বাচন বর্জনকারী প্যানেলগুলো। পৃথক সংবাদ সম্মেলনে এ ঘোষণা দেন তারা।

রবিবার সন্ধ্যায় মধুর ক্যান্টিনে সংবাদ সম্মেলনে এ ঘোষণা দেন নির্বাচন বর্জনকারী প্যানেলগুলো। তাদের দাবিগুলো হলো— ডাকসু নির্বাচন বাতিল; পুনঃতফসিল দেয়া; উপাচার্যের পদত্যাগ; মামলা প্রত্যাহার ও হামলাকারীদের বিচার। নির্বাচন বর্জনকারী প্যানেলগুলোর পক্ষ থেকে এ কর্মসূচি ঘোষণা করেন স্বতন্ত্র জোট থেকে ভিপি প্রার্থী অরণি সেমন্তি খান।

ব্যাপক অনিয়ম ও কারচুপিতে ডাকসু নির্বাচন হওয়ায় ফের নির্বাচন দাবি করে রবিবার সন্ধ্যায় সংবাদ সম্মেলনে ভিপি নুরুলহক নুর বলেন, ১১ মার্চের নির্বাচনে কারচুপি হয়েছে। দীর্ঘ ২৮ বছর পর যে নির্বাচন হয়েছে তার মাধ্যমে প্রশাসন কালিমা লেপে দিয়েছে। আমরা বলেছি, পুনঃনির্বাচন দিতে হবে। যারা এই নির্বাচনের সাথে জড়িত তাদেরকে শাস্তির আওতায় আনতে হবে।’

এর আগে, আগামীকালের আন্দোলনের কর্মসূচি নিয়ে রবিবার দুপুর ১টায় মধুর ক্যান্টিনে সাংবাদিকদের সাথে কথা বলেন প্রগতিশীল ছাত্রজোট থেকে ভিপি প্রার্থী লিটন নন্দী। তিনি বলেন, দীর্ঘ ২৮ বছর পর ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে যে নির্বাচন হয়েছে, সে নির্বাচনের মধ্য দিয়ে একধরনের কলঙ্কজনক অধ্যায় রচিত হয়েছে। আমরা ১১মার্চ নির্বাচনের দিন ৫টি প্যানেল যৌথভাবে এই নির্বাচনকে বর্জন করেছিলাম এবং একইসঙ্গে নির্বাচনের ফলাফলকে প্রত্যাখ্যান করে পুনঃতফসিলের দাবি জানিয়েছিলাম। কিন্তু গতকালের (শনিবার) নুরুর বক্তব্য সবাইকে হতাশ করেছে বলে মন্তব্য করেছেন তিনি।

প্রসঙ্গত, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (ডাকসু) নির্বাচন শনিবারের মধ্যে বাতিল করার দাবি জানিয়েছিল আন্দোলনরত বিভিন্ন প্যানেলের প্রার্থী ও তাদের সমর্থকরা। বুধবার দুপুরে বিশ্ববিদ্যালয়ের রাজু ভাস্কর্যের পাদদেশে জড়ো হয়ে তারা এ দাবি করেছিলেন। দাবি না মানা হলে শনিবার থেকে কঠোর আন্দোলনের হুশিয়ারি দিয়েছেন তারা।