ডাকসু নির্বাচনের দাবিতে অনশনে বসা প্রতিবন্ধী রবিউল হাসপাতালে

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (ডাকসু) ও হল সংসদে পুনরায় নির্বাচনের দাবিতে অনশনে বসা দৃষ্টি প্রতিবন্ধী মো. রবিউল ইসলাম অসুস্থ হয়ে পড়েছেন। তাকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়েছে বলে অনশনে থাকা অন্যরা জানিয়েছেন। নির্বাচনে সমাজসেবা বিষয়ক সম্পাদক পদে প্রার্থী হয়েছিলেন তিনি।

ডাকসু নির্বাচনের দাবিতে আগে থেকে অনশনে থাকা চার প্রার্থী ও শিক্ষার্থীদের সাথে রাজু ভাস্কর্যে বৃহস্পতিবার সকালে যোগ দেন তিনি। বিশ্ববিদ্যালয়ের আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিভাগের ২য় বর্ষের ছাত্র দৃষ্টি প্রতিবন্ধী রবিউল ইসলাম।

অনশনকারীদের একজন আল মাহমুদ তাহা দ্যা ডেইলি ক্যাম্পাসকে বলেন, ‘আমাদের শরীরের অবস্থা খুবই খারাপ। দিন দিন দুর্বল হচ্ছে। আমাদের কাছে এখন পর্যন্ত ভিসি, প্রক্টর কেউ আসেনি।তবে, ব্যক্তিগতভাবে অনেক স্যার এসেছেন। তারা আমাদের অনশন ভাঙ্গতে অনুরোধ করেছেন।’

তিনি বলেন, ‘গতকাল প্রক্টর রোকেয়া হলে এসেছিল, কিন্তু আমাদের কাছে আসেনি। এর মাধ্যমে প্রমাণ হয় আমাদের স্যারারা কতটা অমানবিক, কতটা নির্লজ্জ্ব।’

মাঈন উদ্দিন নামে অপর অনশনকারী দ্যা ডেইলি ক্যাম্পাসকে বলেন, ‘প্রক্টর, ভিসি বা অগনতান্ত্রিকভাবে নির্বাচিত ভিপি, জিএস, এজিএস কেউ আমাদের কাছে এখন পর্যন্ত আসেনি। তারা না আসার মাধ্যমে অমানবিকতার পরিচয় দিয়েছে। এই প্রশাসনের কাছ থেকে আমরা বেশি কিছু প্রত্যাশা করিনা।’

বৃহস্পতিবার রবিউল বলেছিলেন, ‘আমি সুষ্ঠু নির্বাচনের দাবিতে এখানে এসেছি। যে সুষ্ঠু নির্বাচন আশা করেছিলাম সে রকম সুষ্ঠু নির্বাচন হয়নি। নির্বাচনে সমাজসেবা প্রার্থী হিসাবে ছিলাম।’

তিনি বলেন, ‘প্রার্থীদের হলে প্রবেশের অনুমতি থাকলেও প্রবেশ করতে দেয়নি। বিশেষ করে রোকেয়া হল, মৈত্রী হল। আমরা চাই, এই নির্বাচন বাতিল করে পুনরায় তফসিল ঘোষনা করে অবাধ, সুষ্ঠু নির্বাচন দেওয়া হোক। এতে যেন ৪২ হাজার ৯২৩ জন শিক্ষার্থী ভোট দিতে পারে।’ যারা এই নির্বাচন কারচুপির সাথে জড়িত তাদের পদত্যাগ করার দাবি জানিয়ে তিনি বলেন, মিডিয়ার সামনে তাদেরকে ক্ষমা চাইতে হবে।

তীব্র গরম আর রৌদ্রের মধ্যেই অনশন চালিয়ে যাচ্ছেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (ডাকসু) নির্বাচনে পরাজিত চার প্রার্থী। গত মঙ্গলবার সন্ধ্যা থেকে বিশ্ববিদ্যালয়ে রাজু ভাস্কর্যে অনশন চালিয়ে আসা এ চার প্রার্থীর সাথে বুধবার সকালে আরও কয়েকজন যোগ দেন। বৃহস্পতিবার অনশনে বসন রবিউল।

শুরু থেকে অনশনকারীরা হলেন- জগন্নাথ হল সংসদের সদস্য পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতাকারী অনিন্দ্য মন্ডল, শহীদুল্লাহ হল সংসদের সাহিত্য সম্পাদক পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতাকারী শোয়েব মাহমুদ, মুহসীন হল সংসদের সংস্কৃতি সম্পাদক পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতাকারী মো. মাঈন উদ্দিন ও কেন্দ্রীয় সংসদের ছাত্র পরিবহন পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতাকারী তাওহীদ তানজীম। এছাড়া রাফিয়া তামান্না ও আল মামুন তাহাসহ কয়েকজন পরে যোগ দেন।