১৪ মার্চ ২০১৯, ১১:০২

ডাকসু নির্বাচনের দাবিতে এবার অনশনে দৃষ্টি প্রতিবন্ধী রবিউল

ডাকসু নির্বাচনের দাবিতে অনশনে বসেছেন দৃষ্টি প্রতিবদ্ধী রবিউল  © টিডিসি ফটো

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (ডাকসু) ও হল সংসদে পুনরায় নির্বাচনের দাবিতে এবার আমরণ অনশনে বসেছেন দৃষ্টি প্রতিবন্ধী মো. রবিউল ইসলাম। ডাকসু নির্বাচনে সমাজসেবা বিষয়ক সম্পাদক পদে প্রার্থী হয়েছিলেন তিনি। ডাকসু নির্বাচনের দাবিতে আগে থেকে অনশনে থাকা ডাকসু নির্বাচনের চার প্রার্থী ও শিক্ষার্থীদের সাথে রাজু ভাস্কর্যে সকালে যোগ দেন তিনি।

বিশ্ববিদ্যালয়ের আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিভাগের ২য় বর্ষের ছাত্র দৃষ্টি প্রতিবন্ধী রবিউল ইসলাম বলেন, ‘আমি সুষ্ঠু নির্বাচনের দাবিতে এখানে এসেছি। যে সুষ্ঠু নির্বাচন আশা করেছিলাম সে রকম সুষ্ঠু নির্বাচন হয়নি। নির্বাচনে সমাজসেবা প্রার্থী হিসাবে ছিলাম।’

তিনি বলেন, ‘প্রার্থীদের হলে প্রবেশের অনুমতি থাকলেও প্রবেশ করতে দেয়নি। বিশেষ করে রোকেয়া হল, মৈত্রী হল। আমরা চাই, এই নির্বাচন বাতিল করে পুনরায় তফসিল ঘোষনা করে অবাধ, সুষ্ঠু নির্বাচন দেওয়া হোক। এতে যেন ৪২ হাজার ৯২৩ জন শিক্ষার্থী ভোট দিতে পারে।’

যারা এই নির্বাচন কারচুপির সাথে জড়িত তাদের পদত্যাগ করার দাবি জানিয়ে তিনি বলেন, মিডিয়ার সামনে তাদেরকে ক্ষমা চাইতে হবে।

তীব্র গরম আর রৌদ্রের মধ্যেই অনশন চালিয়ে যাচ্ছেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (ডাকসু) নির্বাচনে পরাজিত চার প্রার্থী। গত মঙ্গলবার সন্ধ্যা থেকে বিশ্ববিদ্যালয়ে রাজু ভাস্কর্যে অনশন চালিয়ে আসা এ চার প্রার্থীর সাথে বুধবার সকালে আরও কয়েকজন যোগ দেন। আর আজ অনশনে বসলেন রবিউল।

অনশনকারীরা হলেন- জগন্নাথ হল সংসদের সদস্য পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতাকারী অনিন্দ্য মন্ডল, শহীদুল্লাহ হল সংসদের সাহিত্য সম্পাদক পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতাকারী শোয়েব মাহমুদ, মুহসীন হল সংসদের সংস্কৃতি সম্পাদক পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতাকারী মো. মাঈন উদ্দিন ও কেন্দ্রীয় সংসদের ছাত্র পরিবহন পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতাকারী তাওহীদ তানজীম। এছাড়া রাফিয়া তামান্না ও আল মামুন তাহাসহ কয়েকজন পরে যোগ দেন।

আল মামুন তাহা বলেন, ‘আমাদের মধ্যে একজনের অবস্থা খুবই খারাপ। একজন ইতিমধ্যে হাসপাতালে আছে। দুজন শিক্ষক আসছিলেন। তারা আমাদের সাথে সহানুভুতি দেখিয়ে গেছেন। ছাত্রলীগ আমাদেরকে কোন হুমকি না দিলেও প্রতি রাতে তারা মোটরসাইকেলে শোডাউন দিচ্ছে।’

রাফিয়া তামান্না বলেন, ‘আমাদের শরীরের অবস্থা ভালো না। আমরা মনের জোরে বেঁচে আছি। একজনের শরীর খুবই খারাপ। আমাদের সাথে দেখা করতে প্রশাসন থেকে কেউ আসেনি। তবে দুজন শিক্ষক এসেছিলেন, তারা আমাদের বলেছেন, তোমরা তো জানোই ভিসি কেমন। তোমরা যদি অনশন চালিয়ে যাও তাহলে ক্ষতি তোমাদের এই হবে। ভিসি তার সিদ্ধান্তে অটল থাকবেন।’