শিক্ষার্থীরা বললে শপথ নেব: নুরুল হক
- ঢাবি প্রতিনিধি
- প্রকাশ: ১৩ মার্চ ২০১৯, ০৩:২০ PM , আপডেট: ১৩ মার্চ ২০১৯, ০৩:৫০ PM
আগামী ৩১ মার্চের মধ্যে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদের (ডাকসু) সব পদে নির্বাচনের দাবি জানিয়েছেন সদ্য নির্বাচিত সহ সভাপতি (ভিপি) নুরুল হক নুরু। এসময় সাধারণ শিক্ষার্থীরা যেটা চান সেটাই হবে জানিয়ে তিনি বলেন, তারা সকল পদে পুনরায় নির্বাচন চেয়েছেন, আমিও সেটাই চাই। আর তারা যদি শপথ নিতে বলেন, আমি নেব। এটি দু‘একদিন গেলেই পরিষ্কার হয়ে যাবে বলেও জানান তিনি। আজ বুধবার বিশ্ববিদ্যালয়ের মুহসীন হলের সামনে সাংবাদিকদের সাথে আলাপকালে তিনি একথা বলেন।
নুরুল হক বলেন, ‘বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন যে প্রক্রিয়ায় যাচ্ছিলেন, আমাদের কাছে মনে হয়েছিলো তারা সাজানো ছকে নির্বাচন করতে যাচ্ছেন। আমরা বলেছিলাম, এই প্রক্রিয়ায় স্বচ্ছ নির্বাচন সম্ভব হয়। তারপরও আমরা নির্বাচনে এসেছিলাম। সাজানো ছকে নির্বাচনের ব্যাপারটি এখন আমরা তুলে ধরতে পেরেছি।’
তিনি বলেন, ‘রোকেয়া হলে আলাদা একটি রুমে কিছু ব্যালট অরক্ষিতভাবে রাখা হয়েছিলো। আমরা দেখতে গেলেও তা দেখানো হয়নি। বরং আমাদেরকে মারার জন্য হলের প্রাধ্যক্ষ ছাত্রলীগকে ফোন দিয়েছেন। তখন তাদের ‘লেডি মাস্তান’ বাহিনী আমাদের ওপর হামলা চালিয়েছে। ছেলে হলে প্রথমবর্ষের ছাত্রদের জোর করে লাইনে দাড় করিয়ে রেখেছে। এ ধরণের অনিয়ম আমরা দেখেছি।’
নির্বাচনের দিন অধিকাংশ প্যানেল এই ‘তামাশার’ নির্বাচন বর্জন করেছে উল্লেখ করে তিনি বলেন, ‘এত কারচুপির পরও আমাকে এবং আখতারকে হারাতে পারেনি। সাধারণ শিক্ষার্থীরা পুনঃনির্বাচন দাবি করে তিনদিনের আল্টিমেটাম দিয়েছে। তাদের প্রতি সংহতি জানিয়ে আমিও চাই, এই প্রশ্নবিদ্ধ নির্বাচন বাতিল করে ৩১ মার্চের মধ্যে সব পদে পুনরায় ডাকসু নির্বাচন দিতে হবে। যারা কারচুপির সাথে জড়িত ছিলো তাদের বহিষ্কার করে অন্যদের নিয়োগ দিয়ে সুষ্ঠু নির্বাচন করতে হবে।’
নুরুল হক বলেন, ‘বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন কি সিদ্ধান্ত নেয় সেটা দেখে পরবর্তী সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে। তাদের পরিষ্কার বক্তব্য আগে আমাদের জানতে হবে। যেসব মামলা হয়েথে সেগুলো প্রত্যাহারসহ শিক্ষার্থীদের সব দাবি মেনে নিতে হবে। প্রশাসন এটা ভেবে দেখবে বলেছেন।’
তিনি বলেন, ‘শিক্ষার্থীদের চাওয়া-পাওয়াকে প্রাধান্য দিয়ে, তারা যদি বলে আমি শপথ নেব। তারা যদি বলে শপথ না নিতে, আমি নেব না। আমি কখনো আমার অবস্থান থেকে সরে আসিনি। তারা যেটা বলে, সেটা হবে। এটা আরেকটু সময় গেলে বোঝা যাবে।’