ডাকসু নির্বাচন বাতিলের দাবিতে ভিসির কার্যালয়ের সামনে অবস্থান
- ঢাবি প্রতিনিধি
- প্রকাশ: ১৩ মার্চ ২০১৯, ০১:১০ PM , আপডেট: ১৩ মার্চ ২০১৯, ০১:২৪ PM
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (ডাকসু) নির্বাচন আগামী শনিবারের মধ্যে বাতিল করার দাবিতে ভিসির কার্যালয়ের সামনে অবস্থান নিয়েছেন পাঁচ প্যানেলের প্রার্থী ও তাদের সমর্থকরা। সেখানে দাবির সমর্থনে বিভিন্ন ধরণের স্লোগান দিচ্ছেন তারা। দাবি আদায়ে ভিসি অধ্যাপক ড. আখতারুজ্জামানকে স্মারকলিপি দেবেন আন্দোলনকারীরা।
এর আগে বিশ্ববিদ্যালয়ের রাজু ভাস্কর্যের পাদদেশে জড়ো হয়ে বিক্ষোভ মিছিল বের করেন তারা। মিছিলটি সেন্ট্রাল লাইব্রেরী, সামাজিক বিজ্ঞান অনুষদ, মধুর ক্যান্টিন, কলা ভবন, ব্যবসায় শিক্ষা অনুষদ হয়ে ভিসির কার্যালয়ের সামনে গিয়ে শেষ হয়।
সেখানে ‘প্রগতিশীল ছাত্র জোট’ এবং ‘সাম্রাজ্যবাদ বিরোধী ছাত্র ঐক্য’র ভিপি প্রার্থী লিটন নন্দী বলেন, ‘ডাকসু নির্বাচনের ফলাফল আমরা মানিনা। এ ডাকসু আমাদের না। এ নির্বাচন আবার দিতে হবে। আমরা কেউ শপথ নিবো না।’
কোটা সংস্কার আন্দোলনের নেতা ও ডাকসু নির্বাচনের এজিএস প্রার্থী ফারুক হোসেন বলেন, ‘ঢাবির একেকজন শিক্ষার্থী এক একটা স্ফুলিঙ্গ। এ স্ফুলিঙ্গ একবার জ্বলে উঠলে পুরো জ্বলে-পুড়ে ছারখার হয়ে যাবে।’
তিনি বলেন, ‘রোকেয়া হলের আপুদের বিরুদ্ধে যে মামলা হয়েছে তা তিনদিনের মধ্যে প্রত্যাহার করতে হবে। নয়তো সকল শিক্ষার্থথীদের নিয়ে পুরো ঢাবি অচল করে দেয়া হবে।’
এর আগে রাজু ভাস্কর্যে কোটা সংস্কার আন্দোলনের নেতা ও ডাকসু নির্বাচনের জিএস প্রার্থী মুহাম্মদ রাশেদ খাঁন বলেন, ‘বিতর্কিত নির্বাচন শনিবারের মধ্যে বাতিল ঘোষণা করতে হবে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনকে। এ নির্বাচনের সাথে জড়িত সকল শিক্ষককে অবিলম্বে পদত্যাগ করতে হবে। একইসাথে দলনিরপেক্ষ ও গ্রহণযোগ্য শিক্ষকদের দ্বারা নির্বাচন কমিশন গঠন করে পুনঃতফসিল ঘোষণা করতে হবে।
দুপুরে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদের (ডাকসু) পুনঃনির্বাচনের দাবিতে রাজু ভাস্কর্যে জড়ো হন বিভিন্ন প্যানেলের প্রার্থী ও তাদের সমর্থকরা। তবে সদ্য নির্বাচিত ডাকসুর সহ সভাপতি (ভিপি) নুরুল হক নুর অসুস্থ থাকায় সেখানে যাননি।
মুহাম্মদ রাশেদ খাঁন বলেন, ‘অামরা পাঁচটি প্যানেল একত্রিত হয়েছি। অাপনারা জানেন, প্রতিটি হলে কি পরিমাণ ভোট ডাকাতি হয়েছে। অাপনারা দেখেছেন, কুয়েত-মৈত্রী হল, রোকেয়া হলে ব্যালট ভর্তি ভোটের বাক্স পাওয়া গেছে। মেয়েদের হলে অাধিপত্য কম থাকা সত্বেও সেখানে যে পরিমাণ ভোট কারচুপি হয়েছে তাহলে, ছেলেদের হলে কী পরিমাণ কারচুপি হয়েছে তা ভাষায় প্রকাশ করার মত নয়।’
কোটা সংস্কার আন্দোলনের অপর নেতা ও ডাকসু নির্বাচনের এজিএস প্রার্থী ফারুক হোসেন বলেন, ‘আমাদের দাবি যদি মেনে না নেওয়া হয়, তাহলে রবিবার থেকে সম্মিলিত আন্দোলনের মাধ্যমে দাবি আদায় করা হবে।’
এসময় নুরুল হক নুর শপথ নেবেন কি না জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘নুর এখন খুব অসুস্থ। সে মেডিকেলে অাছে। তার শপথ নেয়ার ব্যাপারে আমরা পাঁচটি প্যানেল একত্রে বসে আলোচনা করে সিদ্ধান্ত নেবো।’