শনিবারের মধ্যে ডাকসু নির্বাচন বাতিলের দাবি
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (ডাকসু) নির্বাচন আগামী শনিবারের মধ্যে বাতিল করার দাবি জানিয়েছেন আন্দোলনরত বিভিন্ন প্যানেলের প্রার্থী ও তাদের সমর্থকরা। বুধবার দুপুরে বিশ্ববিদ্যালয়ের রাজু ভাস্কর্যের পাদদেশে জড়ো হয়ে তারা এ দাবি করেছেন। দাবি না মানা হলে শনিবার থেকে কঠোর আন্দোলনের হুশিয়ারি দিয়েছেন তারা।
সেখানে কোটা সংস্কার আন্দোলনের নেতা ও ডাকসু নির্বাচনের জিএস প্রার্থী মুহাম্মদ রাশেদ খাঁন বলেন, ‘বিতর্কিত নির্বাচন শনিবারের মধ্যে বাতিল ঘোষণা করতে হবে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনকে। এ নির্বাচনের সাথে জড়িত সকল শিক্ষককে অবিলম্বে পদত্যাগ করতে হবে। একইসাথে দলনিরপেক্ষ ও গ্রহণযোগ্য শিক্ষকদের দ্বারা নির্বাচন কমিশন গঠন করে পুনঃতফসিল ঘোষণা করতে হবে।
দুপুরে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদের (ডাকসু) পুনঃনির্বাচনের দাবিতে রাজু ভাস্কর্যে জড়ো হন বিভিন্ন প্যানেলের প্রার্থী ও তাদের সমর্থকরা। সেখান থেকে তারা বিক্ষোভ মিছিল বের করেছেন। কিছুক্ষণের মধ্যেই উপাচার্যের কার্যালয়ে গিয়ে স্মারকলিপি দেবেন বলে তারা জানিয়েছেন। তবে সদ্য নির্বাচিত ডাকসুর সহ সভাপতি (ভিপি) নুরুল হক নুর অসুস্থ থাকায় সেখানে যাননি।
বিক্ষোভ মিছিলে, ‘প্রহসনের নির্বাচন, মানি না মানব না,‘এক দুই তিন চার, দালাল ভিসি গদি ছাড়’, ‘অামার ভাই অনশনে, প্রশাসন নিরব কেন’, ‘জালিয়াতির নির্বাচন, মানি না মানব না’, ‘জ্বালো জ্বালো, অাগুন জ্বালো’, ‘ভাইয়ের নামে মামলা কেন, প্রশাসন জবাব চাই’, ‘অামাদের সংগ্রাম, চলছে চলবে’ এ ধেরণের স্লোগান দেওয়া হচ্ছে।
মুহাম্মদ রাশেদ খাঁন বলেন, ‘অামরা পাঁচটি প্যানেল একত্রিত হয়েছি। অাপনারা জানেন, প্রতিটি হলে কি পরিমাণ ভোট ডাকাতি হয়েছে। অাপনারা দেখেছেন, কুয়েত-মৈত্রী হল, রোকেয়া হলে ব্যালট ভর্তি ভোটের বাক্স পাওয়া গেছে। মেয়েদের হলে অাধিপত্য কম থাকা সত্বেও সেখানে যে পরিমাণ ভোট কারচুপি হয়েছে তাহলে, ছেলেদের হলে কী পরিমাণ কারচুপি হয়েছে তা ভাষায় প্রকাশ করার মত নয়।’
কোটা সংস্কার আন্দোলনের অপর নেতা ও ডাকসু নির্বাচনের এজিএস প্রার্থী ফারুক হোসেন বলেন, ‘পাঁচটি প্যানেলের নেতাকর্মীরা কিছুক্ষণের মধ্যেই মিছিল সহকারে উপাচার্যের কার্যালয়ে যাবেন এবং নির্বাচন বাতিলের দাবিতে স্মারকলিপি সহ তিন তিনের আলটিমেটাম দেবেন। এসময় রোকেয়া হলের আন্দোলনরত ছাত্রীদের দাবির সাথে একাত্মতা ঘোষণা করেন তিনি।
ফারুক বলেন, ‘আমাদের দাবি যদি মেনে না নেওয়া হয়, তাহলে রবিবার থেকে সম্মিলিত আন্দোলনের মাধ্যমে দাবি আদায় করা হবে।’
এসময় নুরুল হক নুর শপথ নেবেন কি না জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘নুর এখন খুব অসুস্থ। সে মেডিকেলে অাছে। তার শপথ নেয়ার ব্যাপারে আমরা পাঁচটি প্যানেল একত্রে বসে আলোচনা করে সিদ্ধান্ত নেবো।’