নির্বাচন বাতিল ছাড়া আন্দোলন প্রত্যাহার নয়
অনিয়ম, কারচুপি, হল থেকে ভোটকেন্দ্র সরিয়ে পুনরায় নির্বাচনের দাবিতে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (ডাকসু) ও হল সংসদের নির্বাচন বর্জনের ঘোষণা দিয়েছে ছাত্রলীগ ছাড়া প্রায় সব সংগঠন ও স্বতন্ত্র প্রার্থীরা। নির্বাচন বাতিল ও পুনঃতফসিল দাবিতে প্রধান নির্বাচন কর্মকর্তার কাছে লিখিত অভিযোগও করেছেন পাঁচটি প্যানেলের প্রার্থীরা।
সোমবার বিকেলে প্রধান নির্বাচন কর্মকর্তা অধ্যাপক ড. এস এম মাহফুজুর রহমানের কাছে লিখিত অভিযোগ জানান এ প্যানেলগুলোর প্রতিনিধিরা। পরে ঘোষণা দেন, নির্বাচন বাতিল না করা পর্যন্ত ভিসি অফিসের সামনে থেকে যাবে না তারা।
ওই লিখিত অভিযোগে স্বাক্ষরকারীরা হলেন- প্রগতিশীল ছাত্র ঐক্যের সহ সভাপতি পদ প্রার্থী লিটন নন্দী, স্বাধিকার স্বতন্ত্র পরিষদের সাধারণ সম্পাদক পদ প্রার্থী এ আর এম আনিসুর রহমান, একই পদে বাংলাদেশ ছাত্র ফেডারেশনের প্রার্থী উম্মে হাবিবা বেনজির, স্বতন্ত্র জোটের সহ-সভাপতি প্রার্থী অরণি সেমন্তি খান ও বাংলাদেশ সাধারণ ছাত্র অধিকার পরিষদের সাধারণ সম্পাদক প্রার্থী রাশেদ খান।
নির্বাচন বাতিল ও পুনঃতফসিল ঘোষণা প্রসঙ্গে লিখিত অভিযোগে বলা হয়েছে, ডাকসু ও হল সংসদ নির্বাচনে ভোট প্রদানে বাধা দান, অনাবাসিক শিক্ষার্থীদের ভোটকেন্দ্রে ঢুকতে না দেয়া, কারচুপি, প্রার্থীদের ওপর ন্যক্কারজনক হামলা, ভোট বাক্স নিয়ে লুকোচুরি, ভোট দেয়ার পরও লাইনে দাঁড়িয়ে কৃত্রিম সঙ্কট সৃষ্টি করাসহ বিভিন্ন রকম অনিয়ম হয়েছে। এসব ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে আমরা প্রগতিশীল ছাত্র ঐক্য, বাংলাদেশ সাধারণ ছাত্র অধিকার সংরক্ষণ পরিষদ, স্বাধিকার স্বতন্ত্র পরিষদ, স্বতন্ত্র জোট ও বাংলাদেশ ছাত্র ফেডারেশনসহ অধিকাংশ প্রার্থীরাই নির্বাচন বর্জন করেছি।
এ প্রহসনের নির্বাচন বাতিল করে অবিলম্বে নির্বাচনের পুনঃতফসিল ঘোষণা করতে হবে। কোনো ক্রমেই এই প্রহসনের নির্বাচনের ফলাফল প্রকাশ করে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ইতিহাস ও মর্যাদাকে ভূলুণ্ঠিত করা যাবে না। অতএব নির্বাচনটি বাতিল ও পুনঃতফসিল ঘোষণার আশু পদক্ষেপ নেবেন বলে প্রত্যাশা করছি।