ছাত্রলীগ ছাড়া বাকিদের ভোট বর্জন, চলছে বিক্ষোভ
অনিয়ম, কারচুপি, হল থেকে ভোটকেন্দ্র সরিয়ে পুনরায় নির্বাচনের দাবিতে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (ডাকসু) ও হল সংসদের নির্বাচন বর্জনের ঘোষণা দিয়েছে ছাত্রলীগ ছাড়া প্রায় সব সংগঠন ও স্বতন্ত্র প্রার্থীরা। এর মধ্যে কয়েকটি সংগঠন আগামীকাল মঙ্গলবার বিশ্ববিদ্যালয়ে ধর্মঘটের ডাক দিয়েছে।
সোমবার দুপুরে মধুর ক্যানটিনে সাধারণ শিক্ষার্থী পরিষদ, স্বাধিকার স্বতন্ত্র পরিষদ, প্রগতিশীল ছাত্র ঐক্য, ছাত্র ফেডারেশন একসঙ্গে সংবাদ সম্মেলন করে নির্বাচন বর্জনের ঘোষণা দেয়। তারা একই সঙ্গে আগামীকাল বিশ্ববিদ্যালয়ে ধর্মঘটের ডাক দিয়েছে। সাধারণ সম্পাদক পদে স্বতন্ত্র জিএস প্রার্থী এ আর এম আসিফুর রহমান, প্রগতিশীল ছাত্র ঐক্য থেকে সহসভাপতি প্রার্থী লিটন নন্দী এ ঘোষণা দেন।
হল থেকে ভোটকেন্দ্র সরানো, নিরপেক্ষ শিক্ষকদের দিয়ে পুনারায় ডাকসু নির্বাচনের ভোটগ্রহণের দাবিতে ডাকসু ও হল সংসদের নির্বাচন বর্জন করেছে ছাত্রদল। সোমবার দুপুর দেড়টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের মধুর ক্যান্টিনে সংবাদ সম্মেলনে এ ঘোষণা দেয় ছাত্রদলের ভিপি প্রার্থী মোস্তাফিজুর রহমান। এসময় জিএস-এজিএসসহ সব প্রার্থীরা উপস্থিত ছিলেন।
এদিকে, ব্যাপক অনিয়ম ও কারচুপির ঘটনায় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (ডাকসু) নির্বাচন বর্জন করেছে ইসলামী শাসনতন্ত্র ছাত্র আন্দোলন। সোমবার দুপুর ২টায় ইসলামী শাসনতন্ত্র ছাত্র আন্দোলন সমর্থিত আতায়ে রাব্বী-মাহমুদ-শরীয়ত প্যানেলের ভিপি প্রার্থী এস এম আতায়ে রাব্বী ও জিএস প্রার্থী মাহমুদুল হাসান এক যৌথ বিবৃতিতে ডাকসু নির্বাচনের ভোট বর্জনের আনুষ্ঠানিক ঘোষণা দেন।
ছাত্রলীগ ছাড়া প্রায় সব ছাত্র সংগঠনের নির্বাচন বর্জনের ঘোষণার পর দুপুর আড়াইটা থেকে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিসি অধ্যাপক ড. আখতারুজ্জামানের বাসভবনের সামনে অবস্থান নিয়েছেন বিভিন্ন প্যানেলের প্রার্থী ও তার তাদের সমর্থকরা। ভিসির পদত্যাগ ও ফের ডাকসু নির্বাচন চেয়ে তারা সেখানে অবস্থান করছেন।
অবস্থান নেয়া ছাত্র সংগঠনগুলোর মধ্যে রয়েছে- জোট প্রগতিশীল ছাত্র ঐক্য, কোটা আন্দোলনকারীদের সংগঠন বাংলাদেশ সাধারণ ছাত্র অধিকার সংরক্ষণ পরিষদ, স্বাধিকার স্বতন্ত্র পরিষদ ও স্বতন্ত্র জোট। এর মিনিট দশেক পর তাদের সঙ্গে যোগ দেয় ছাত্রদলের নেতাকর্মীরা।
প্রসঙ্গত, দীর্ঘ ২৮ বছর ১০ মাস পর বহুল আলোচিত ডাকসু নির্বাচন অনুষ্ঠিত হচ্ছে। বিভিন্ন ছাত্রসংগঠনের প্যানেল ও স্বতন্ত্র অবস্থান থেকে সহসভাপতি (ভিপি) পদে লড়ছেন ২১ জন শিক্ষার্থী। সাধারণ সম্পাদক (জিএস) পদে প্রার্থী হয়েছেন ১৪ জন।