ঢাবি ক্যাম্পাসজুড়ে বিক্ষোভ: হলে অবস্থান ছাত্রলীগের, সতর্ক পুলিশ
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (ডাকসু) ও হল সংসদ নির্বাচনে অনিয়মের অভিযোগে ক্যাম্পাসে বিক্ষোভ ছড়িয়ে পড়েছে। কোটা সংস্কার আন্দোলনকারী, বিভিন্ন বাম সংগঠন ও স্বতন্ত্র প্যানেল এবং ছাত্রদলের প্রার্থী ও তাদের সমর্থকরা আন্দোলন করছেন। তবে ছাত্রলীগের নেতাকর্মীদের ক্যাম্পাসে তেমন দেখা না গেলেও হলে হলে সতর্ক অবস্থান নিয়ে স্লোগান দিচ্ছেন।
সকাল ৮টায় বিভিন্ন হলে স্থাপিত কেন্দ্রে ভোটগ্রহণ শুরুর পর অনিয়মের অভিযোগ করতে থাকেন প্রার্থীরা। রোকেয়া হল, কুয়েত-মৈত্রী হল, সুফিয়া কামাল হলসহ কয়েকটি হলে ভোট বেশ কিছু সময়ের জন্য বন্ধও থাকে। সেখানে সাধারণ ছাত্রীরা বিক্ষোভ করেন।
পরে বেলা ১টার দিকে মধুর ক্যান্টিনে সংবাদ সম্মেলন করে নির্বাচন বর্জনের ঘোষণা দেন বাম জোট, কোটা সংস্কারপন্থী এবং স্বতন্ত্র প্রার্থীরা। এসময় কাল থেকে অনির্দিষ্টকালের ছাত্র ধর্মঘটের ডাক দেওয়া হয়।
এর কিছুক্ষণ পরেই মধুর ক্যান্টিনে নির্বাচন বর্জনের ঘোষণা দেয় জাতীয়তাবাদী ছাত্রদলের প্যানেল। এসময় নিরপেক্ষ শিক্ষকদের দিয়ে পুনরায় ভোটগ্রহণ, হল থেকে ভোটকেন্দ্র সরানোসহ বিভিন্ন দাবি জানানো হয়। এছাড়া অনিয়মকারীদেরও শাস্তি দেওয়ার দাবি জানানো হয়েছে।
পরে ক্যাম্পাসের বিভিন্ন স্থানে বিক্ষোভ শুরু করেছেন ডাকসু নির্বাচন বর্জনকারীরা। তারা ভিসি চত্বর, মধুর ক্যান্টিন এবং রেজিস্ট্রার ভবন এলাকায় বিক্ষোভ করছেন। এরমধ্যে ছাত্রদলের নেতাকর্মীরা ভিসির কার্যালয় ঘেরাও করে রাখেন।
পরে ছাত্রদল মিছিল নিয়ে পুরো ক্যাম্পাস প্রদক্ষিন করেছে। মিছিলটি ভিসি চত্বর থেকে শুরু হয়ে মল চত্তর, মধুর কেন্টিন, সামাজিক বিজ্ঞান অনুষদ প্রদক্ষিন করে আবার ভিসি চত্বরে গিয়ে শেষ হয়।
এছাড়া বাম ও কোটা সংস্কারপন্থী নেতাকর্মীরাও বিক্ষোভ করেন। তারা ভিসি চত্বর এলাকায় কিছুক্ষণ অবস্থান শেষে রাজু ভাস্কর্যের পাদদেশে অবস্থান নিয়েছেন। সেখানে পুনরায় ডাকসু নির্বাচনের ভোটগ্রহণের দাবিতে স্লোগান দিচ্ছেন তারা।
সর্বশেষ খবর অনুযায়ী, সবাই ভিসি চত্বরে অবস্থান নিয়ে বিক্ষোভ করছেন। এতে তাদের সাথে রোকেয়া হলসহ বিভিন্ন হলের সাধারণ শিক্ষার্থীরাও যোগ দিয়েছেন।
এদিকে ক্যাম্পাসে উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ায় সতর্ক অবস্থানে রয়েছে পুলিশ। বিভিন্ন স্থানে তাদেরকে পূর্ণ প্রস্তুতি নিয়ে থাকতে দেখা গেছে।