সকালে নয়, রাতেই যাচ্ছে ভোটের ব্যালট!
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (ডাকসু) নির্বাচনের ব্যালট ভোটের দিন সকালে নয়, রাতেই যাচ্ছে। আজ সন্ধ্যা ৭টার দিকে হলে হলে পৌঁছানো হবে এই ব্যালট। রবিবার নির্বাচনের প্রধান রিটার্নিং কর্মকর্তা অধ্যাপক এস এম মাহফুজুর রহমান এই তথ্য জানিয়েছেন।
জানতে চাইলে বিশ্ববিদ্যালয়ের মাস্টার দা সূর্যসেন হলের চিফ রিটার্নিং কর্মকর্তা অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ বাহাউদ্দিন দ্যা ডেইলি ক্যাম্পাসকে বলেন, ‘ভোটকেন্দ্রে অনেক কাজ। বিষয়গুলো সময় সাপেক্ষ ব্যাপার। সামগ্রিক বিষয় চিন্তা করে রাতেই ব্যালট বাক্স-পেপার পাঠানোর প্রস্তুতি চলছে।’
এর আগে নিরাপত্তা নিয়ে বিভিন্ন সংগঠনের উদ্বেগের প্রেক্ষাপটে নির্বাচনের দিন সকালে ব্যালট বাক্স পাঠানোর সিদ্ধান্ত জানিয়েছিলেন প্রধান রিটার্নিং কর্মকর্তা। সে সময় তিনি স্পষ্ট জানিয়েছিলেন, “সবার আবেদনের প্রেক্ষিতে ব্যালট পেপার সকালে পাঠানোর প্রস্তাব আমরা গ্রহণ করলাম।” কিন্তু হঠাৎ করেই আজ এই সিদ্ধান্ত জানানোয় ক্ষোভ প্রকাশ করছেন অনেক প্রার্থী।
তারা বলছেন, শুধু থেকেই ছাত্রলীগ নেতৃত্বাধীন ছাত্র সংগ্রাম পরিষদ বাদে ছাত্রদল, বাম ছাত্র সংগঠন, কোটা সংস্কার প্যানেলগুলো হলে ভোটকেন্দ্র স্থাপনের বিরোধিতা করে আসছে। মূলত হলে কেন্দ্র হলে ভোটের আগের রাতে ব্যালটবাক্স ভর্তি করার আশঙ্কা করছিলেন তারা। সেই প্রেক্ষাপটেই ব্যালট পেপার ভোটের সকালে পাঠানোর প্রস্তাব দেয়া হয় এবং প্রশাসন তা মেনে নেয়। কিন্তু পূর্ব ঘোষণা ছাড়াই আজ তা পরিবর্তন হচ্ছে।
দীর্ঘ ২৮ বছর অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্র সংসদ নির্বাচন। নির্বাচনকে ঘিরে আজ সন্ধ্যা ৬টা থেকে ক্যাম্পাসে বাড়তি পুলিশ মোতায়ান থাকবে। সেই সঙ্গে সাদা পোশাকের বিপুল সংখ্যক পুলিশ ও বিভিন্ন গোয়েন্দা সংস্থার সদস্যরাও নিয়োজিত থাকবেন।
বিশ্ববিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত প্রক্টর অধ্যাপক ড. গোলাম রাব্বানী বলেন, আমরা সুষ্ঠুভাবে নির্বাচনের জন্য যা যা করা প্রয়োজন সেটাই করবো। কেউ যাতে পরিবেশ নষ্ট করতে না পারে; সেজন্য বাড়তি নিরাপত্তার ব্যবস্থা করা হয়েছে। সেটা আজ সন্ধ্যা ৬টা থেকে কার্যকর হবে। পাশাপাশি ওই সময় থেকে পরের দিন সন্ধ্যা ৬টা পর্যন্ত বহিরাগতদের চলাফেরা ও স্টিকারবিহীন গাড়ি চলতে পারবে না। প্রক্টর আরো বলেন, ভোটার, বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক, কর্মকর্তা-কর্মচারী, তাদের পরিবারের সদস্য ও কর্তব্যরত ছাড়া ক্যাম্পাসের মধ্যে কেউ অবস্থান করতে পারবে না। এমন কাউকে পাওয়া গেলে তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া হবে।
হলে যারা ভোটার না; তারা থাকতে পারবে না উল্লেখ করে অধ্যাপক গোলাম রাব্বানী বলেন, হলগুলোতে শুধু ভোটাররাই থাকবে। হলের প্রভোস্ট, আবাসিক শিক্ষকরা সেটি নিশ্চিত করবেন। প্রয়োজনে অভিযানও চালানো হবে বলে জানান তিনি।