০৯ মার্চ ২০১৯, ১৮:৪৮

১৮ ভোটকেন্দ্রে ১১৩ সিসিটিভি, কয়েক স্তরের নিরাপত্তা

আজ পার হলেই দীর্ঘ ২৮ বছর প্রতীক্ষার অবসান। বহুল প্রত্যাশিত ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্র সংসদ (ডাকসু) ও হল সংসদের নির্বাচন। নির্বাচনকে ঘিরে ঢাবি ক্যাম্পাস উচ্ছ্বাস যেমন বইছে, তেমনি আছে শঙ্কাও। যদিও নির্বাচনকে ঘিরে কঠোর নিরাপত্তা জোরদারে ইতোমধ্যেই বেশ কিছু কর্মসূচি গ্রহণ করেছে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন।

সূত্রের তথ্য, নির্বাচনের আগের দিন অর্থ্যাৎ আজ সন্ধ্যা ৬টা থেকে ক্যাম্পাসে বাড়তি পুলিশ মোতায়ান থাকবে। সেই সঙ্গে সাদা পোশাকের বিপুল সংখ্যক পুলিশ ও বিভিন্ন গোয়েন্দা সংস্থার সদস্যরাও নিয়োজিত থাকবেন। বিশ্ববিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত প্রক্টর অধ্যাপক ড. গোলাম রাব্বানী বলেন, আমরা সুষ্ঠুভাবে নির্বাচনের জন্য যা যা করা প্রয়োজন সেটাই করবো। কেউ যাতে পরিবেশ নষ্ট করতে না পারে; সেজন্য বাড়তি নিরাপত্তার ব্যবস্থা করা হয়েছে। সেটা আজ সন্ধ্যা ৬টা থেকে কার্যকর হবে। পাশাপাশি ওই সময় থেকে পরের দিন সন্ধ্যা ৬টা পর্যন্ত বহিরাগতদের চলাফেরা ও স্টিকারবিহীন গাড়ি চলতে পারবে না।

প্রক্টর আরো বলেন, ভোটার, বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক, কর্মকর্তা-কর্মচারী, তাদের পরিবারের সদস্য ও কর্তব্যরত ছাড়া ক্যাম্পাসের মধ্যে কেউ অবস্থান করতে পারবে না। এমন কাউকে পাওয়া গেলে তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া হবে।

হলে যারা ভোটার না; তারা থাকতে পারবে না উল্লেখ করে অধ্যাপক গোলাম রাব্বানী বলেন, হলগুলোতে শুধু ভোটাররাই থাকবে। হলের প্রভোস্ট, আবাসিক শিক্ষকরা সেটি নিশ্চিত করবেন। প্রয়োজনে অভিযানও চালানো হবে বলে জানান তিনি। ক্যাম্পাসে নিরাপত্তায় বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ স্থানে ১১৩টি ক্লোজড সার্কিট (সিসি) ক্যামরা থাকবে বলেও জানিয়েছেন প্রক্টর।

তিনি জানান, ক্যাম্পাসের ৭টি স্পটে তল্লাশি করবে পুলিশ। স্পটগুলো হলো- শাহবাগ, নীলক্ষেত, পলাশী, জগন্নাথ হল ক্রসিং, রুমানা ক্রসিং, শহিদুল্লাহ হল ক্রসিং ও হাইকোর্ট ক্রসিং। ইলেকট্রনিক্স মিডিয়ার চারজন ও প্রিন্ট মিডিয়ার একজন ক্যামেরাম্যান ও দুই জন সাংবাদিক ডিউটি পাস সাপেক্ষে ভেতরে প্রবেশ করতে পারবে বলে জানান প্রক্টর।

সামগ্রিক পরিস্থিতি জানাতে শনিবার শাহবাগ থানায় ডাকসু নির্বাচনে নিয়ে সাংবাদিকদের সাথে কথা বলেন ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ (ডিএমপি) কমিশনার মো. আছাদুজ্জামান মিয়া। তিনি জানান, নির্বাচন উপলক্ষ্যে পুলিশ প্রস্তুত থাকবে। বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ নির্দেশ দিলেই তারা দায়িত্ব পালন করবে। হলে হলে ভোট কেন্দ্র হবে, প্রত্যেকটি ভোটকেন্দ্র সিসিটিভির আওতায় আনা হয়েছে। আর্চওয়ে মেটাল ডিটেক্টর থাকবে; এসবে তল্লাশি করেই ভোটারকে ভেতরে প্রবেশ করানো হবে। শিক্ষক, প্রক্টরিয়াল বডি ও বিএনসিসি নিরাপত্তার দায়িত্ব পালন করবে।