ফরচুন বাংলা চ্যানেল সাঁতার অনুষ্ঠিত হচ্ছে ২১মার্চ
- ঢাবি প্রতিনিধি
- প্রকাশ: ০৯ মার্চ ২০১৯, ০৪:১৩ PM , আপডেট: ০৯ মার্চ ২০১৯, ০৪:৩৮ PM
বঙ্গোপসাগরে টেকনাফের শাহপরীর দ্বীপ ফেরী ঘাট থেকে সেন্টমার্টিন দ্বীপ পর্যন্ত ১৬.১ কিলোমিটার দীর্ঘ সমুদ্রপথ বাংলা চ্যানেল। দুঃসাহসী সাঁতারুরা বাংলা চ্যানেল জয় করতে যান। তাদের নিয়ে আগামী ২১ মার্চ অনুষ্ঠিত হচ্ছে ১৪তম ফরচুন বাংলা চ্যানেল সাঁতার-২০১৯। এ উপলক্ষে শনিবার সকাল ১১টায় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ব্যবসা শিক্ষা অনুষদের অধ্যাপক হাবিবুল্লাহ মিলনায়তনে সংবাদ সম্মেলন করেছে ষড়জ এ্যাডভেঞ্চার এবং এক্সট্রিম বাংলা।
সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন পল্লীকর্ম সহায়ক ফাউন্ডেশনের ডেপুটি ম্যানেজিং ডিরেক্টর ফজলুল কাদের, বাংলাদেশ এডিবল ওয়েল লিমিটেডের জেনারেল ম্যানেজার ইমাম আহমেদ, মার্কেটিং ম্যানাজার ফয়সাল মাহমুদ, ১৩ বার বাংলা চ্যানেল জয়ী লিপটন সরকারসহ বাংলা চ্যানেল পাড়ি দেওয়া সাঁতারুরা।
এবারের আয়োজনে অংশ নিচ্ছেন দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে ৪০ জন নারী-পুরুষ। তাদের মধ্যে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের তিন শিক্ষার্থী অংশগ্রহন করছেন। বাংলাদেশ ট্যুরিজম বোর্ড ও বাংলাদেশ পর্যটন কর্পোরেশনের সহায়তায় প্রধান পৃষ্টপোষক থাকছেন বাংলাদেশ এডিবল ওয়েল লিমিটেডের ব্র্যান্ড ফরচুন। যাবতীয় উদ্ধার অভিযান করবে বাংলাদেশ কোষ্ট গার্ড। আর পার্টনার হিসেবে থাকছে পল্লীকর্ম সহায়ক ফাউন্ডেশন ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়। এবারের স্পন্সর ইউনাইটেড সিকিউরিটিজ লিমিটেড ও অফরোড বাংলাদেশ।
পানিতে ডুবে মারা যাওয়ার হাত থেকে রক্ষা পাওয়ার লক্ষ্যে এই সাঁতার আয়োজন করা হয়।বাংলাদেশের তরুণ ও যুব সমাজকে মানসিক ও সামাজিক অবক্ষের হাত থেকে বাঁচাতে সুস্থ খেলাধুলা এবং অ্যাডভেঞ্চারে ব্যাপক ভূমিকা রাখাই উদ্দেশ্য বলে জানান আয়োজকরা।
প্রসঙ্গত, ২০০৬ সালের ১৪ জানুয়ারি শাহপরীর দ্বীপ-সেন্টমার্টিন রুটে বাংলা চ্যানেল সুইমিংয়ের যাত্রা শুরু হয়। এর স্বপ্নদ্রষ্টা ছিলেন প্রয়াত কাজী হামিদুল হক। যিনি নিজেও একজন প্রখ্যাত আন্ডারওয়াটার ফটোগ্রাফার ও স্কুবা ডাইভার এবং অ্যাডভেঞ্চারের সঙ্গে জড়িত ছিলেন। তার তত্ত্বাবধানেই ওই বছর প্রথমবারের মতো ফজলুল কবির সিনা, লিপটন সরকার এবং সালমান সাঈদ ‘বাংলা চ্যানেল’ পাড়ি দেন। এরপর থেকে প্রতিবছরই এটির আয়োজন করা হচ্ছে।