০৯ মার্চ ২০১৯, ১৪:২৮

শিক্ষার্থীদের জন্য ১০০ শয্যার হাসপাতাল গড়ার প্রতিশ্রুতি ছাত্রদলের

ঢাবির অপরাজেয় বাংলার পাদদেশে ছাত্রদলের ইশতেহার ঘোষণা  © টিডিসি ফটো

শিক্ষার্থীদের উন্নত স্বাস্থ্যসেবা নিশ্চিত করার লক্ষ্যে ১০০ শয্যাবিশিষ্ট আধুনিক হাসপাতাল নির্মাণ ও মেধার ভিত্তিতে হলের সিট বন্টনসহ বিভিন্ন প্রতিশ্রুতি দিয়ে ইশতেহার ঘোষণা করেছে ছাত্রদল। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ নির্বাচন (ডাকসু) উপলক্ষে বিশ্ববিদ্যালয়ের অপরাজেয় বাংলার পাদদেশে শনিবার দুপুরে এ ইশতেহার ঘোষণা করা হয়।

ছাত্রদলের প্যানেল থেকে সাধারণ সম্পাদক (জিএস) পদের প্রার্থী খন্দকার আনিছুর রহমান (অনিক) প্রার্থীদের পরিচয় করিয়ে দেন ও ইশতেহার ঘোষণা করেন। এসময় সহ-সভাপতি (ভিপি) প্রার্থী মোস্তাফিজুর রহমান, সহ-সাধারণ সম্পাদক পদে প্রার্থী (এজিএস) খোরশেদ আলম সোহেলসহ ছাত্রদলের প্রার্থীরা উপস্থিত ছিলেন। 

এছাড়া ছাত্রদলের কেন্দ্রীয় সভাপতি রাজিব আহসান, সাধারণ সম্পাদক আকরামুল হাসান, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রদলের সভাপতি আল মেহেদী তালুকদার ও সাধারণ সম্পাদক আবুল বাশার সিদ্দিকীসহ বিভিন্ন পর্যায়ের নেতাকর্মীরাও সেখানে উপস্থিত ছিলেন।

ছাত্রদলের ইশতেহারে দেওয়া প্রতিশ্রুতির মধ্যে রয়েছে, ডাকসু পরিচচালনার মূল ভিত্তি হবে মুক্তিযোদ্ধার চেতনা, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় হবে আধিপত্য ও সন্ত্রাসমুক্ত নিরাপদ ক্যাম্পাস, সচল করা হবে পরিবেশ পরিষদ; আবাসন সংকট নিরসনে নতুন হল নির্মাণ ও পুরাতন হল সংস্কারের উদ্যোগ গ্রহন করা হবে। প্রথম বর্ষ থেকেই আসন বণ্টন হবে মেধার ভিত্তিতে; কেন্ত্রীয় গ্রন্থাগার সম্পূর্ণরুপে আধুনিক ও বিশ্বমানের গ্রন্থাগারে রুপান্তর করা হবে এবং পরিপূর্ণ ডিজিলাইজড করে শিক্ষার্থীর চাহিদা পূরণে সর্বাকত্মক উদ্যোগ গ্রহন করা হবে। এছাড়াও হল গ্রন্থাগার সমূহকে সমৃদ্ধ করা হবে।

শিক্ষার্থীদের পরিবহন সঙ্কট নিরসনে বাসের সংখ্যা ও রুট বৃদ্ধি করা হবে এবং বিশ্ববিদ্যালয় এলাকায় ‘অভ্যন্তরীন পরিবহন ব্যবস্থা’ চালু করা হবে; বিশ্ববিদ্যালয় ও হলের ক্যান্টিনগুলোতে খাবারের মান বৃদ্ধি ও পরিচ্ছন্ন পরিবেশ নিশ্চিত কল্পে ডাকসুর মাধ্যমে ভর্তুকির ব্যবস্থা করা হবে; শিক্ষার বাণিজ্যিকীকরণ রোধ ও শিক্ষা ব্যয় কমানোর কার্যকর উদ্যোগ গ্রহন করা হবে; শিক্ষার্থীদের উন্নত স্বাস্থ্যসেবা নিশ্চিত করার লক্ষ্যে ১০০ শয্যাবিশিষ্ট আধুনিক হাসপাতাল নির্মাণের উদ্যোগ গ্রহন করা হবে।

ছাত্রী হলগুলোতে প্রবেশের সময়সীমা রাত ১১টা পর্যন্ত বর্ধিত করার উদ্যোগ নেওয়া হবে। কমনরুমগুলোর সুযোগ-সুবিধা বৃদ্ধি করা হবে; এমফিল, পিএইচডিসহ সকল গবেষণায় বরাদ্ধ বৃদ্ধি করা হবে; প্রযুক্তি নির্ভর শিক্ষা ব্যবস্থা বিনির্মাণে ইন্টারনেটের সহজলভ্যতা নিশ্চিত করা হবে এবং একাডেমিক ভবন ও হলসহ সমগ্র ক্যাম্পাস ওয়াই-ফাই নেটওয়ার্কের আওতায় নিয়ে আসা হবে।

ভর্তি ও একাডেমিক পরীক্ষায় প্রশ্ন ফাঁস রোধ ও রাজনৈতিক বিবেচনায় শিক্ষক নিয়োগ রোধে ডাকসু সর্বদা সোচ্চার থাকবে; শিক্ষার্থীদের ব্যক্তিত্ব ও সৃজনশীলতা বিকাশে সাহিত্য, সাংস্কৃতিক ও ক্রীড়া প্রতিযোগীতার আয়োজন করা হবে। এক্ষেত্রে বরাদ্দ করা হবে; ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠী ও প্রতিবন্ধী শিক্ষার্থীদের অধিকার সংরক্ষণে তাদের যৌক্তিক দাবীসমূহ বাস্তবায়ন করা হবে। এছাড়া সকল গণতান্ত্রিক আন্দোলন-সংগ্রামে ডাকসু নেতৃত্ব দেবে বলে ছাত্রদলের ইশতেহারে উল্লেখ করা হয়েছে।