৭ মার্চের ভাষণ নির্যাতিত মানুষের জন্য অনুপ্রেরণাদায়ী: ঢাবি উপাচার্য

ঢাবি ভিসি
ঢাবি ভিসি  © টিডিসি ফটো

৭ মার্চের ভাষণ এমন একটি ভাষণ যা অবহেলিত,নির্যাতিত মানুষদের অনুপ্রেরণা দিতে থাকে। বিশ্বের কোন ভাষণই সব পরিমন্ডলে স্থান পেতে পারে নাই কিন্তু এটি এমন একটি ভাষণ যা বিশ্বের সব মানুষের জন্য। বিশ্বের যারা অত্যাচারিত, নির্যাতিত তারা এই ভাষণ থেকে অনুপ্রেরণা পাবে।

৭ মার্চের ভাষণ উপলক্ষে আলোচনা সভায় ঢাকা বিশ্বিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড.মো. আখতারুজ্জামান এসব কথা বলেন। আজ বহস্পতিবার সকাল ১১ টায় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় টিএসসি অডিটোরিয়ামে আলোচনা সভাটি অনুষ্ঠিত হয়।

আলোচনা সভায় উপস্থিত ছিলেন- ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. আখতারুজ্জামান, উপ উপাচার্য (প্রশাসন) অধ্যাপক ড.সামাদ, উপ উপাচার্য (শিক্ষা) অধ্যাপক ড.নাসরিন আহমাদ, শিক্ষক সমিতির সভাপতি ড.এ এস এম মাকসুদ কামাল, কোষাধক্ষ্য অধ্যাপক ড.মো.কাশাল উদ্দিনসহ ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন বিভাগের শিক্ষক ও শিক্ষার্থীবৃন্দ।

আলোচনা সভায় আখতারুজ্জামান বলেন, শুরুতেই আমরা স্মরণ করছি অমর কবি জাতির জনকের প্রতি,স্মরণ করছি ৩০ লাখ শহীদের। যাদের রক্তের বিনিময়ে আমরা পেয়েছি স্বাধীন দেশ। আজ ঐতিহাসিক ৭ মার্চ। এইদিনে জাতির জনক ঐতিহাসিক রেসকোর্স ময়দানে ভাষণ দিয়েছিলেন। ৭ মার্চের ভাষণ এমন একটি ভাষণ যা বিশ্ব রেকর্ড করছে। এই ভাষণটি যখন আন্তজার্তিক ভাবে মূল্যায়িত হচ্ছিল তখন এই ভাষণটির একটি বড় ক্যায়টেরিয়া ছিল। ৭ মার্চের ভাষণকে আমাদের প্রচার করতে হবে।

নাসরিন বলেন,পাঁচ যুগ আগে ১৮ মিনেটের ভাষনে বাঙালির মুক্তির বীজ নিহিত ছিল। জাতির জনক যে রাজনীতিবিদ, দূরদর্শী তার এই ছোট ভাষণের মাধ্যমে তা প্রমাণ পাওয়া যায়। এই রেসকোর্স ময়দান পহেলা মার্চ থেকে উত্তাল ছিল। ৭ মার্চ সকাল থেকে সাধারণ মানুষেরা লাঠি, বাঁশ নিয়ে হাজির হতে থাকে। অন্যদিকে ধানমন্ডিতে তার ভাসায় ছিল জনতার ভিড়। তিনি কি বক্তব্য দিবেন সবাই তাকে বোঝাচ্ছিলেন। তখন তিনি বিচলিত ছিলেন। তখন বঙ্গমাতা তাকে তার ঘরে নিয়ে গিয়ে বলেন, তোমার যা মন চায়, তুমি তাই বল। তিনি যখন রেসকোর্স ময়দানে উপস্থিত হলেন- তখন মঞ্চ কাপিয়ে তিনি তার অমর কবিতা শুনালেন।

সামাদ বলেন, ৭ মার্চের ভাষণ একটি উপস্থিত ভাষণ। পৃথিবীর কোন উপস্থিত ভাষণ নেই যা ইউনেস্কোতে নির্বাচিত হয়েছে। আমোদ জীবনে প্রতিটি ক্ষেত্রে জাতির জনক ইজ্জ্বল নক্ষত্র ছিলেন। তার কন্যা জননেত্রী শেখ হাসিনা তার স্বপ্ন বাস্তবায়নে রাত দিন কাজ করে যাচ্ছেন।


সর্বশেষ সংবাদ