২৭ ফেব্রুয়ারি ২০১৯, ২০:৪৪

আসিফ-বেনজীরসহ বাদ পড়লেন যারা

আসিফুর রহমান ও উম্মে হাবিবা বেনজীর

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্র সংসদ (ডাকসু) নির্বাচনে প্রাথমিকভাবে মনোনয়নপত্রের যাচাই-বাছাইয়ে প্রার্থী তালিকা থেকে উম্মে হাবিবা বেনজীর (জিএস) ও আসিফুর রহমানসহ (জিএস) অন্তত ২০ জন প্রার্থী বাদ পড়েছে বলে জানা গেছে। এর মধ্যে ভোটার তালিকায় নাম না থাকার কারণে বেনজীর এবং তথ্যে অসম্পূর্ণতা থাকায় আসিফের প্রার্থীতা বাতিল হয়েছে।

বুধবার তাদের তালিকা ডাকসু নির্বাচন সংক্রান্ত ওয়েবসাইটে (www.ducsu.du.ac.bd) প্রকাশ করা হয়েছে।

এছাড়াও কেন্দ্রীয় সংসদে যাদের মনোনয়ন বাতিল করা হয়েছে তারা হলেন, সহ-সভাপতি পদে আব্দুল্লাহ জিয়াদ, সদস্য পদে ইশাত কাশফিয়া ইলা, হায়দার মোহাম্মদ জিতু, শাফয়াত মোহাম্মদ হাসনাইন ও রাইহান খান।

এর বাইরেও হল পর্যায়ে স্যার এফ রহমান হলের সাধারণ সম্পাদক প্রার্থী ও কবি সুফিয়া কামাল হলের সহ সাধারণ সম্পাদক প্রার্থী, ছাত্রলীগের ডাকসুর কেন্দ্রীয় সদস্য পদপ্রার্থী নিপো ইসলাম তন্বী, সলিমুল্লাহ মুসলিম হলের ক্রীড়া সম্পাদক পদপ্রার্থী কাহহার ফাহিম, শামুসননাহার হলের সহ-সভাপতি প্রার্থী জিয়াসমিন শান্তা, জাতীয়তাবাদী ছাত্রদলের সলিমুল্লাহ মুসলিম হলের সহ-সভাপতি প্রার্থী নাহিদ, জসিমউদদীন হলের সহ-সভাপতি তৌহিদুর রহমান তাজ এবং শামসুননাহার হলের সহ-সভাপতি প্রার্থী মানসুরা আক্তারের প্রার্থীতা বাতিলের তথ্য পাওয়া গেছে।

তবে প্রশাসনের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, বাতিলকৃত প্রার্থীরা লিখিতভাবে আবেদন জানাতে পারবেন। লিখিত অভিযোগ যাচাই-বাছাই শেষে ৩ মার্চ চূড়ান্ত তালিকা প্রকাশ করবে বিশ্ববিদ্যালয়।

এদিকে বুধবার ক্যাম্পাস ঘুরে সাধারণ শিক্ষার্থীদের সঙ্গে শুভেচ্ছা বিনিময়, দাবি-দাওয়া তুলে ধরে সমর্থন আদায়ে চেষ্টার চিত্র দেখা গেছে। ছাত্রলীগ প্যানেলের ডাকসুর সহ-সভাপতি (ভিপি) প্রার্থী রেজওয়ানুল হক চৌধুরী শোভন ক্যাম্পাসের কলা ভবন, কেন্দ্রীয় গ্রন্থাগার এলাকায় শিক্ষার্থীদের সাথে কথা বলেছেন। শিক্ষার্থীদের কাছ থেকে কেমন সাড়া পাচ্ছেন জানতে চাইলে রেজওয়ানুল হক চৌধুরী শোভন সাংবাদিকদের বলেন, নির্বাচনী হাওয়া এখনও লাগেনি। ২ মার্চের পর থেকে আনুষ্ঠানিকভাবে প্রচারণা শুরু করব। এখন আমরা শিক্ষার্থীদের সঙ্গে কথা বলছি, তাদের মতামত নিচ্ছি। তারা কেমন বিশ্ববিদ্যালয় চায়; সেটা জানতে চাচ্ছি।

শিক্ষার্থীদের সঙ্গে শুভেচ্ছা বিনিময় করেছেন জাতীয়তাবাদী ছাত্রদলের প্রার্থীরাও। বুধবার বেলা ১টার দিকে ক্যাম্পাসের মধুর ক্যান্টিন, কেন্দ্রীয় গ্রন্থাগার, কলা ভবন, ক্যাম্পাস শ্যাডো, ব্যবসায় শিক্ষা অনুষদ, রেজিস্টার ভবন এলাকায় শিক্ষার্থীদের সঙ্গে মতবিনিময় করেছেন তারা। তবে আনুষ্ঠানিকভাবে প্রচারণা শুরু করেনি দলটি। জানতে চাইলে দলটির সহ-সভাপতি প্রার্থী মোস্তাফিজুর রহমান সাংবাদিকদের বলেন, আমরা কথা বলছি। তাদের দাবি শুনছি। তিনি বলেন, এখনো হলে কোনো সহাবনস্থান তৈরি হয়নি। আমরা সহাবস্থান দাবি করছি।

দলীয় দাবি-দাওয়া নিয়ে শিক্ষার্থীদের কাছে সমর্থন আদায়ে কাজ করেছেন বাম ছাত্র সংগঠনগুলোর মোর্চা ‘প্রগতিশীল ছাত্র জোটের’ প্রার্থীরা। সমাজকল্যাণ ইনস্টিটিউট, কলাভবন, ক্যাম্পাস শ্যাডো ও কেন্দ্রীয় গ্রন্থাগার এলাকায় প্রচারণা চালিয়েছেন তারা। এই বিষয়ে প্রগতিশীল ছাত্রজোটের সহ-সভাপতি (ভিপি) লিটন নন্দী সাংবাদিকদের বলেন, আমরা দলগত দাবি নিয়ে শিক্ষার্থীদের কাছে গিয়েছি। দাবি তুলে ধরেছি। শিক্ষার্থীদের কাছ থেকে ইতিবাচক সাড়া পাচ্ছি। তবে মনোনয়নপত্র প্রাথমিক বাছাইয়ে বিভিন্ন হলের বেশ কয়েকজন প্রার্থীর মনোনয়নপত্র বাতিল করা হয়েছে। এটা নিন্দনীয়।