শহীদ মিনারে শ্রদ্ধার বিষয়ে সিদ্ধান্ত জানানো হবে: দুপুর ২টায় ঢাবি প্রক্টর
সদ্যপ্রয়াত কবি আল মাহমুদের মরদেহ শহীদ মিনারে নেওয়ার বিষয়ে সিদ্ধান্ত জানানো হবে বলে জানিয়েছেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর এ কে এম গোলাম রব্বানী। দ্যা ডেইলি ক্যাম্পাসকে তিনি বলেন, কবি পরিবারের পক্ষ থেকে করা আবেদন অনেক আগেই পেয়েছি। এ বিষয়ে সিদ্ধান্ত নিয়ে পরে জানানো হবে।
এর আগে শ্রদ্ধা জানাতে সকাল ১১টায় শহীদ মিনারে কবির মরদেহ নেওয়ার বিষয়ে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের অনুমতি চায় তার পরিবার। তবে অনুমোদন না মেলায় বাংলা একাডেমি প্রাঙ্গণে নিয়ে যাওয়া হয় কবির মরদেহ। এ বিষয়ে কবির সহকারী আবিদ আজম জানান, মরদেহ শহীদ মিনারে নেওয়ার জন্য আমাদের পক্ষ থেকে আবেদন করা হয়েছিল। তবে অনুমোদন পাওয়া যায়নি।
জানা যায়, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অনুমোদন না পাওয়ায় বেলা ১১টা ৪৫ মিনিটে বাংলা একাডেমি প্রাঙ্গণে নেয়া হয়। সেখানে শ্রদ্ধা নিবেদন শেষে দুপুর সোয়া ১২টায় নেওয়া হয় জাতীয় প্রেস ক্লাবে। এছাড়া পূর্ব ঘোষণা অনুযায়ী প্রথম জানাযা বাদ জোহর বায়তুল মোকাররম মসজিদের উত্তর ফটকে অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা।
শুক্রবার রাত ১১টা ০৫ মিনিটে ধানমণ্ডির ইবনে সিনা হাসপাতালে শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন কবি। মৃত্যুকালে তার বয়স হয়েছিল ৮২ বছর। তিনি নিউমোনিয়াসহ বার্ধক্যজনিত নানা জটিলতায় ভুগছিলেন। এর আগে গত ৯ ফেব্রুয়ারি রাতে গুরুতর অসুস্থ অবস্থায় কবিকে ইবনে সিনা হাসপাতালের আইসিইউতে ভর্তি করা হয়। ওই দিন প্রথমে সিসিইউতে ও পরে আইসিইউতে নেওয়া হয়। বৃহস্পতিবার তাকে ‘লাইফ সাপোর্ট’ দেওয়া হয়।
প্রসঙ্গত, কবি আল মাহমুদ আধুনিক বাংলা সাহিত্যের অন্যতম প্রধান কবি। তিনি একাধারে কবি, ঔপন্যাসিক, প্রাবন্ধিক, ছোটগল্প লেখক, শিশুসাহিত্যিক এবং সাংবাদিক। বিংশ শতাব্দীর দ্বিতীয়াংশে সক্রিয় থেকে তিনি আধুনিক বাংলা কবিতাকে নতুন আঙ্গিকে, চেতনায় ও বাক্ভঙ্গীতে বিশেষভাবে সমৃদ্ধ করেছেন।
তিনি ১৯৭১ খ্রিষ্টাব্দে বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধে সম্মুখ সমরে অংশ নিয়েছেন। তিনি সরকার বিরোধী দৈনিক গণকণ্ঠ (১৯৭২-১৯৭৪) পত্রিকা সম্পাদনা করেছেন। লোক লোকান্তর(১৯৬৩), কালের কলস (১৯৬৬), সোনালী কাবিন (১৯৬৬) ইত্যাদি মাহমুদের উল্লেখযোগ্য কাব্যগ্রন্থ।