ডাকসু: জেগে উঠছে স্মৃতির কঙ্কাল
প্রায় তিন দশক পর আগামী ১১ মার্চ অনুষ্ঠিত হবে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (ডাকসু) নির্বাচন| সারা ক্যাম্পাস এখন ডাকসু নির্বাচন নিয়ে সরগরম। উচ্ছ্বসিত বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা। তিন দশক পর সচল হতে যাওয়া যাওয়া ছাত্র সংসদকে কেন্দ্র করে সংস্কার পরিচ্ছন্নতা চলছে ডাকসু ভবনেও| এই ভবনে থাকা নানা স্মৃতিচিহ্নগুলোও যেন ফের জীবন্ত হয়ে উঠছে| স্মরণ করিয়ে দিচ্ছে পুরনো স্মৃতি|
জানা গেছে, প্রায় তিন দশক ধরে ডাকসু নির্বাচন অনুষ্ঠিত না হওয়ায় ডাকসু ভবন ২০ টাকায় খাবার খাওয়ার ক্যান্টিন হিসেবেই ছাত্র-ছাত্রীদের কাছে পরিচিত ছিল। ১১ মার্চ অনুষ্ঠেয় ডাকসু নির্বাচকে সামনে রেখে ওই ভবনটি সম্প্রতি সংস্কারের উদ্যোগ নিয়েছে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন।
মঙ্গলবার ডাকসু ভবনে গিয়ে দেখা যায়, পুরোদমে চলছে সংস্কারের কাজ। বাইরের দেয়ালে চলছে ঘষামাজা। পুরনো নামফলক খুলে চকচকে নতুন নামফলক লাগানো হয়েছে। এছাড়া গেমস রুম, কমন রুম, পত্রিকা রুম, ভিপি, জিএস, এজিএসের কক্ষগুলো নতুনভাবে রং করা হচ্ছে। আর সেখানে বসানো হবে নতুন চেয়ার-টেবিল।
সংস্কারে নিয়োজিত শ্রমিকদের সাথে কথা বলে জানা যায়, সকাল নয়টা থেকে বিকাল পাঁচটা পর্যন্ত টানা কাজ করছেন তারা। রঙের কাজও প্রায় শেষের দিকে। মোটামুটি ভবনটাকে ঢেলে সাজানো হচ্ছে।
ডাকসু ভবনের কর্মচারী আবুল কালাম আজাদ বলেন, দীর্ঘদিন পড়ে থাকার ফলে রুমগুলোর অবস্থা খুব নাজুক। যত দ্রুত সম্ভব কাজ শেষ করার জন্য নির্দেশ দেওয়া হয়েছে বলে জানান তিনি।
ডাকসু সংগ্রহশালা: ডাকসু ভবনের নিচতলায় আছে ডাকসু সংগ্রহশালা| এই সংগ্রহশালাটিতে মুক্তিযুদ্ধের বিভিন্ন ছবি ছাড়াও বিভিন্ন ব্যক্তিত্বের ছবি, লেখা, খবরের কাগজের সংগ্রহ রয়েছে। সংগ্রহশালাটিতে বিভিন্ন ব্যক্তির ভাস্কর্যও রয়েছে।
বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন বিভাগের শিক্ষার্থীরা বলছেন, এতদিন এই ভবনের নিচতলায় খাবার পাওয়া যায় এবং দোতলায় পত্রিকা পড়া যায় বলেই জানতো ছাত্রছাত্রীরা| ছাত্রসংগ্রামের ইতিহাসের কঙ্কাল হিসেবে দাঁড়িয়েছিল এটি| ফের ডাকসু নির্বাচনের পদক্ষেপ শুধু ভবন থেকে ধুলোবালির স্তরই পরিষ্কার করছে না; একইসাথে পুরনো গৌরব ও অনুপ্রেণার স্মৃতিকথাগুলোকেও জাগিয়ে তুলেছে|