কলামিস্ট আলী রিয়াজের বিরুদ্ধে ঢাবির প্রাক্তন ছাত্রীর #মি টু
যৌন হয়রানির বিরুদ্ধে সচেতনতা গড়ে তুলতে সারা বিশ্বে আলোড়ন তোলা #মি টু নিয়ে এবার মুখ খুললেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) আরেক প্রাক্তন এক ছাত্রী। বিশিষ্ট কলামিস্ট এবং যুক্তরাষ্ট্রের ইলিনয় স্টেট ইউনভার্সিটির সরকার ও রাজনীতি বিভাগের অধ্যাপক আলী রিয়াজের বিরুদ্ধে তিনি মুখ খুললেন। ঢাবির প্রাক্তন ওই ছাত্রীর নাম সামিহা তুতলি। তিনি বতর্মানে কানাডায় থাকেন। বুধবার বাংলাদেশ সময় রাত ১১টার দিকে ফেসবুকে যৌন হয়রানি নিয়ে নিজের অভিজ্ঞতার কথা লিখেছেন তিনি।
পাঠকের জন্য তাঁর স্ট্যাটাস হুবহু তুলে ধরা হলো-
‘‘#me_too
আলী রিয়াজ, Distinguished professor at Illiinois State University, কবি, একটি প্রথম সারির পত্রিকার কলামিস্ট ইত্যাদি ইত্যাদি... খোলা চোখে দেখলে জ্ঞান এবং গুণের সমন্বয়ে বেশ সম্মানিত একজন ব্যক্তিত্ব। অথচ বেশ ভদ্রলোকের মুখোশের আড়ালে প্রকৃত মানুষটিযে কতটা কদর্য, কতটা বর্বর তার প্রত্যক্ষ সাক্ষী আমি, হয়ত আমার মত আরো অনেকজন...
আমি বরাবরই কবিতা প্রেমী, পত্রিকা পড়তাম সেই ছোটবেলা থেকে। তাই আলী রিয়াজের কলাম এবং কবিতার বেশ মুগ্ধ পাঠিকাই ছিলাম। সেই সুবাদে উনার সাথে পরিচয় হয় ফেইসবুকে। শুরু হয় ম্যাসেজিং, আমিই প্রথমে নক করি। দুইদিন চ্যাটিং এরপর উনি ফোন নাম্বার চান। এরপর ফোনে কথা শুরু। না, কোন ফ্লার্টিং ছিলনা তাতে। বাবার বয়সী একটা লোক তারউপর এত স্বনামধন্য, স্বাভাবিকভাবেই কথা একজন ভক্ত হিসেবেই বলতাম।
আমরা তখন থাকতাম রাজশাহীতে। গত বছর তিনি বললেন বাংলাদেশে আসছেন, রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে বেড়াতে যাবেন, আমি দেখা করব কিনা? বললেন তার বন্ধু আল মামুনের, যিনি সেখানকার শিক্ষক, তার বাসায় উঠবেন। আর তার সাথে যাবেন মেনন নামের একজন সাংবাদিক।
ভাবলাম সমস্যা কোথায়? সবাই সম্মানিত (!!!) ব্যক্তি, সুতরাং গেলাম তার সাথে দেখা করতে। আর সেটাই বোধহয় আমার জীবনের সবথেকে জঘন্য একটা স্মৃতি। সেখানে তিনি সম্পূর্ণ অন্য মানুষ। লোকটা সেখানে যাওয়া মাত্রই আমাকে এবিউজ করার চেষ্টা করেন। কিভাবে ছুটে পালিয়েছি আমার জানা নেই তবে যতক্ষণ ছিলাম সেই ভয়ংকর সময়ের বিবরণ লিখা সম্ভব নয় ।
কাউকে কিচ্ছু বলতে পারিনি, কিচ্ছু করার ক্ষমতা আমার নেই। #মি টু হয়তো ট্রেন্ড কিন্তু আমার কাছে অন্তত মনের ভিতর জমানো সেই ক্ষোভ প্রকাশের একটি মাধ্যম মনে হয়েছে। যেন ভদ্রবেশি এইসব কুকুরদের মানুষ রুপটা দেখে আর আহ্লাদিত না হই ...’’