ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তির অনিশ্চয়তা কাটল কাকলীর
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) স্নাতক ভর্তি পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হয়েও উচ্চ শিক্ষা গ্রহণের অনিশ্চিয়তা কাটছিল না মাদারীপুরের কাকলী আক্তারের। তিনি ইসলামের ইতিহাস ও সংস্কৃতি বিভাগে ভর্তির জন্য মনোনীত হন। কিন্তু পদ্মা নদী ভাঙ্গনে আক্রান্ত কাকলীর নিঃস্ব পরিবারের পক্ষে ভর্তি খরচ জোগাড় করা নিয়ে হতাশার মধ্যে ছিলেন তিনি। গণমাধ্যমে এ নিয়ে সংবাদ প্রচারিত হলে বিষয়টি স্থানীয় সংসদ সদস্যের নজরে আসে। বৃহস্পতিবার কাকলী ও তার পরিবারের হাতে সংসদ সদস্যর নির্দেশনা অনুসারে ভর্তি ও বই ক্রয় বাবদ আর্থিক অনুদান তুলে দেন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ইমরান আহমেদ।
জানা যায়, পাঁচ ভাই বোনের সংসারে বাবা হারুন মাদবর দিনমজুর মা তাসলিমা বেগম সংসারী। অন্যের জমিতে বাবা কামলা (দিনমজুরি) দিয়েই চলে সংসার। ছোট সময় থেকেই লেখাপড়ায় মনোযোগী কাকলী এসএসসিতে পাচ্চর বালিকা উচ্চ বিদ্যালয় থেকে জীবন সংগ্রাম করে জিপিএ-৫ অর্জন করে। পরে ভর্তি ফি ছাড়াই ইলিয়াস আহমেদ চৌধুরী কলেজ কর্তৃপক্ষ কাকলীকে পড়ার সুযোগ দেন। বেতনসহ যাবতীয় খরচ কলেজ বিনামূল্য করে দেয় ।
চলতি বছর এইচএসসির ফলাফলে উপজেলার ৫ টি কলেজের মধ্যে মেধাবী ছাত্রী কাকলী আক্তার একমাত্র জিপিএ-৫ অর্জন করে। দফায় দফায় পদ্মা নদী ভাঙ্গন আক্রান্ত কাকলীর নিঃস্ব পরিবারটি উপজেলার পাচ্চরে টিনের একটি জরাজীর্ন ঘরে বসবাস করে।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ইমরান আহমেদ বলেন, কাকলী আমাদের সংসদ সদস্য মহোদয় , তার বোনের ট্রাস্ট, কলেজ ও উপজেলা পরিষদের বৃত্তিভোগী ছিল। ও অদম্য মেধাবী। তার বড় প্রমাণ ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তির সুযোগ। সংসদ সদস্যর নির্দেশনা অনুযায়ী ওকে ভর্তি ও বই কেনার টাকা অনুদান দিলাম আজ। আমার ব্যক্তিগত তহবিল থেকেও সহায়তা করেছি , সামনেও করবো।