ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়
আত্মহত্যা প্রতিরোধে শিক্ষাসফরে বিধিনিষেধ আরোপ
- ঢাবি প্রতিনিধি
- প্রকাশ: ২৬ নভেম্বর ২০১৮, ০৩:৩৯ PM , আপডেট: ২৬ নভেম্বর ২০১৮, ০৪:২৪ PM
শিক্ষার্থীদের দলগতভাবে শিক্ষাসফর বা ভ্রমণে বিধিনিষেধ আরোপ করেছে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) বিশ্বধর্ম ও সংস্কৃতি বিভাগ। এখন থেকে কোন ব্যাচ বিভাগের শিক্ষক ব্যতিত এ ধরনের শিক্ষাসফরে গেলে তাদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নেয়া হবে। অপ্রত্যাশিত দুর্ঘটনা এবং আত্মহত্যা প্রতিরোধে এধরনের সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে বলে সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে।
১৫ নভেম্বর বিভাগের একাডেমিক কমিটির সভায় এ সিদ্ধান্ত হয়েছে বলে বিভাগের নোটিশে জানানো হয়। নোটিশে বলা হয়েছে, কোনো ব্যাচ গ্রুপ ট্যুর করলে অবশ্যই বিভাগীয় প্রধানের কাছে লিখিত দরখাস্ত দিয়ে অনুমতি নিতে হবে এবং বিভাগের কোনো শিক্ষক-শিক্ষিকাকে সঙ্গে নিয়ে যেতে হবে। এসব নিয়ম ভঙ্গ করলে ছাত্র-ছাত্রীদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
এ বিষয়ে বিভাগের চেয়ারম্যান ফাজরীন হুদা বলেন, 'সম্প্রতি আমাদের বিভাগের এক ছাত্রী আত্মহত্যা করেছে। আত্মহত্যা ঠেকাতেই এই সিদ্ধান্ত। শিক্ষার্থীরা ব্যক্তিগত ট্যুরে যাক, এ নিয়ে আমাদের কোনো আপত্তি নেই। কিন্তু এ ধরনের ট্যুরে গেলে তারা বিভাগের নাম ব্যবহার করতে পারবে না এবং ফেসবুকে ছবি দিতে পারবে না৷ সামাজিক মূল্যবোধের সীমাহীন অবক্ষয় আমরা সহ্য করব না ৷ কয়েকজন অভিভাবক আমার কাছে এসেছিলেন ৷ মায়েরা জানেনই না, এসব ট্যুরে শিক্ষকেরা যান না ৷ প্রত্যেকটি মেয়ের বাসায় ফোন করে আমি বিষয়টি বলব ৷ আমাদের প্রক্টরের সঙ্গেও এ বিষয়ে কথা হয়েছে ৷ '
এদিকে এমন সিদ্ধান্তে বিভাগের শিক্ষার্থীদের মধ্যে তীব্র ক্ষোভের সৃষ্টি হয়েছে। বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের বিভিন্ন ফেসবুক গ্রুপেও বিষয়টি নিয়ে চলছে ব্যাপক সমালোচনা।
এ ব্যাপারে বিশ্বধর্ম ও সংস্কৃতি বিভাগের ছাত্র এবং সমাজতান্ত্রিক ছাত্রফ্রন্টের (বাসদ-মার্কসবাদী) ঢাবি শাখা সভাপতি সালমান সিদ্দিকী বলেন, এই সিদ্ধান্তের মাধ্যমে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের ওপর নিয়ন্ত্রণ আরোপের চেষ্টা করা হচ্ছে। বিশ্ববিদ্যালয়-পড়ুয়া একজন শিক্ষার্থী নিজের দায়িত্ব নিতে সক্ষম। একাডেমিক জীবনের বাইরেও শেখার যে পরিসর আছে, এই ধরনের অজুহাতে তাদের সেখান থেকে বিচ্ছিন্ন করা ঠিক নয়।
জানতে চাইলে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর অধ্যাপক এ কে এম গোলাম রব্বানী বলেন, শিক্ষার্থীদের কল্যাণ ও তাদের সহযোগিতার কথা বিবেচনায় নিয়েই এ সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে ৷