২৩ অক্টোবর ২০১৮, ১৩:৩৭

নতুন তদন্ত কমিটি, দুই সপ্তাহের মধ্যে প্রতিবেদন

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) ‘ঘ’ ইউনিটের ভর্তি পরীক্ষায় প্রশ্নপত্র ফাঁস ও জালিয়াতির অভিযোগ তদন্তের জন্য নতুন করে পাঁচ সদস্যের আরেকটি কমিটি গঠন করা হয়েছে। সোমবার এই তদন্ত কমিটিকে দুই সপ্তাহের মধ্যে প্রতিবেদন দিতে বলেছে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন।

বিশ্ববিদ্যালয়ের উপ-উপাচার্য (শিক্ষা) অধ্যাপক নাসরীন আহমাদকে নতুন তদন্ত কমিটির প্রধান করা হয়েছে। অন্য সদস্যরা হলেন বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর এ কে এম গোলাম রব্বানী, জীববিজ্ঞান অনুষদের ডিন মো. ইমদাদুল হক, সিন্ডিকেট সদস্য বাহালুল মজনুন চুন্নু এবং জগন্নাথ হলের প্রাধ্যক্ষ অসীম কুমার সরকার।

উল্লেখ্য, গত বছর ‘ঘ’ ইউনিটের প্রশ্নপত্র ফাঁসের অভিযোগ ওঠার পর এই কমিটিকেই তদন্তের দায়িত্ব দেওয়া হয়েছিল। তখন কিন্তু তারা কোনো প্রতিবেদন দেয়নি বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনকে।

উপাচার্য অধ্যাপক মো. আখতারুজ্জামান বলেন, আগের কমিটি আরও নিবিড় তদন্ত করার কথা বলেছিল ৷ ঘটনার মূলে প্রবেশ করতে হবে। নতুন কমিটি গত বছর তদন্ত করেও প্রতিবেদন দিতে পারেনি, এ বিষয়ে জানতে চাইলে উপাচার্য বলেন, ‘একই কমিটি হলে সুবিধা হবে ৷ উপাচার্য তো একা সব কাজ করতে পারবেন না।’ ভর্তির প্রাথমিক কার্যক্রম শুরু করার বিষয়ে তিনি বলেন ‘ওটা ডিনের এখতিয়ার। এগুলো তো একটা প্রক্রিয়ার মধ্য দিয়ে হয় ৷ এটি নিয়ে ব্যক্তিগতভাবে মন্তব্য করার সুযোগ নেই৷ ’

এদিকে তদন্ত কমিটি গঠন করলেও ‘ঘ’ ইউনিটে ভর্তির প্রাথমিক কার্যক্রম শুরু হয়েছে। উত্তীর্ণ শিক্ষার্থীরা সোমবার থেকেই বিশ্ববিদ্যালয়ের ওয়েবসাইটে ঢুকে পছন্দের বিষয় নির্ধারণ করতে পারছেন।

প্রসঙ্গত, ১২ অক্টোবর ‘ঘ’ ইউনিটের ভর্তি পরীক্ষা হয়। এই পরীক্ষার প্রশ্নপত্র ফাঁস ও ডিজিটাল জালিয়াতির অভিযোগ ওঠে। এ ঘটনায় মামলাও করে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন। পুলিশ গ্রেপ্তার করে ছয়জনকে। মামলার এজাহারে বলা হয়, একজন আসামি পরীক্ষার আগেই ডিজিটাল ডিভাইসের মাধ্যমে অপর একজনকে প্রশ্নপত্র পাঠিয়েছেন। পরে বিশ্ববিদ্যালয়ের সহ-উপাচার্য মুহাম্মদ সামাদকে প্রধান করে তিন সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়। প্রতিবেদনের ‘পর্যবেক্ষণ ও বিশ্লেষণ’ এবং ‘সুপারিশ’ মোতাবেক ১৬ অক্টোবর ফলাফল ঘোষণা করা হয়।