২৯ সেপ্টেম্বর ২০১৮, ০৮:১৯

ঢাবির সূর্যসেন হলে গভীর রাতে ছাত্রলীগের রুম দখল

অভিযুক্ত ছাত্রলীগ নেতা ফেরদৌস আলম ও মেহেদী  © টিডিসি ফটো

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় (ঢাবি) হল প্রশাসনের নির্দেশ উপেক্ষা করে সূর্যসেন হলে গভীর রাতে রুম দখল করার অভিযোগ উঠেছে ছাত্রলীগের একাধিক নেতাকর্মীর বিরুদ্ধে। অভিযুক্তরা সবাই কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের সভাপতি রেজওয়ানুল হক চৌধুরী শোভনের অনুসারী। শুক্রবার দিবাগত মধ্যরাতে শিক্ষার্থীদের বিভিন্ন রুম থেকে বের করে দিয়ে তা দখল করা হয় বলে জানা যায়।

গভীর রাতে রুম দখলের অভিযোগ উঠে সূর্যসেন হলের সংষ্কৃত বিভাগের তৃতীয় বর্ষের শিক্ষার্থী হল ছাত্রলীগের কর্মী মেহেদী, ছাত্রলীগ কর্মী হারুনুর রশীদ এবং সিফাতের বিরুদ্ধে। আর এদেরকে নেতৃত্ব দেওয়ার অভিযোগ উঠে কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের সাবেক সদস্য ফেরদৌস আলমের বিরুদ্ধে।

হলসূত্রে জানা যায়, শু্ক্রবার মধ্যরাতে হলের ৩২২ নাম্বার কক্ষের শিক্ষার্থীদের বের করে দিয়ে কক্ষ দখল করে নেয় মেহেদী। এর আগে ৩৭২ নাম্বার রুমে তারা হুমকি দিয়ে আসে। এ সময় তার সাথে ছিলো হারুন ও সিফাত। মেহেদী কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের সভাপতি রেজোয়ানুল হক চৌধুরী শোভনের অনুসারি এবং সূর্যসেন হল শাখা ছাত্রলীগের সভাপতি পদ প্রত্যাশী। অভিযোগ আছে, ছাত্রত্ব শেষ হওয়া ফেরদৌস আলমের নির্দেশে মেহেদী, হারুন, সিফাত শুক্রবার রাতে শিক্ষার্থীদের রুম থেকে বের করে দেয়।

ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় সভাপতি রেজওয়ানুল হক চৌধুরী শোভনের সাথে অভিযুক্ত মেহেদী

 

এর আগে হল প্রশাসনের অনুমতি ব্যতিত কোন শিক্ষার্থীকে রুম ছাড়া করা বা স্থানান্তরিত করার ব্যাপারে কড়া হুশিয়ারী দেন হল প্রাধ্যক্ষ ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতির সভাপতি অধ্যাপক ড. এ এস এম মাকসুদ কামাল। হলের শিক্ষার্থীদের উদ্যেশে দেয়া এক নোটিশে হল প্রাধ্যক্ষ বলেন, ‘হল প্রশাসনের অনুমতি ব্যতিত শিক্ষার্থীদের স্থানান্তর করা হলে সংশ্লিষ্ট হাউজ টিউটরদের জানানোর নির্দেশ দেয়া হলো।’ পাশাপাশি যারা এ ধরনের কার্যক্রমের সাথে জড়িত থাকবে তাদের বিরুদ্ধে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রচলিত বিধি অনুযায়ি প্রশাসনিক ব্যবস্থা গ্রহণ করার ঘোষণা দেন তিনি।

অভিযোগের বিষয় জানতে চাইলে অভিযুক্ত মেহেদী তা অস্বীকার করে বলেন, কারা রুম থেকে বের করছে তিনি জানেন না৷ অভিযোগের বিষয়ে ফেরদৌস আলম বলেন, ফেরদৌস আলম বলেন, ‘আমার ছাত্রত্ব শেষ হয়ে গেলেও আমি হলে গেস্ট হিসেবে আছি। শিক্ষকরাও সেটা জানে। আর আমি কেন্দ্রের রাজনীতি করি। হলে যারা রাজনীতি করে ওটা তারা দেখেতেছে। আর হলের ১ম বর্ষ বা ২য় বর্ষের একটি ছাত্রকে যদি ওই কক্ষে দেয়া হয় তাহলেতো সমস্য নাই, ওতো হলেরই ছাত্র। আপনারা ওর বিষয়টা দেখছেন না কেন?’

এ বিষয়ে কথা বলতে রাতে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টরকে কল দেয়া হলেও তিনি কল রিসিভ করেননি।