বিতর্কের মাধ্যমে বুদ্ধিবৃত্তিক সমাজ সৃষ্টি হয়: তথ্যমন্ত্রী
তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রী এবং আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ড. হাছান মাহমুদ বলেছেন, শুধু অবকাঠামোগত উন্নয়ন নয়, ২০৪১ সাল নাগাদ আমরা উন্নত সমৃদ্ধ বুদ্ধিবৃত্তিক ও মানবিক রাষ্ট্র গঠন করতে চাই। আর বিতর্কের মাধ্যমে বুদ্ধিবৃত্তিক সমাজ সৃষ্টি হয়। তাই বিতর্ক চর্চার বিকল্প নেই।
আজ শুক্রবার বাংলাদেশ টেলিভিশন চট্টগ্রাম কেন্দ্রে প্রথম আন্তঃস্কুল ইংরেজি বিতর্ক প্রতিযোগিতার পুরস্কার বিতরণ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তথ্যমন্ত্রী এসব কথা বলেন। দেশের ৬৪ স্কুলের অংশগ্রহণে প্রতিযোগিতার চূড়ান্ত পর্বে ময়মনসিংহ গার্লস ক্যাডেট কলেজকে হারিয়ে ফৌজদারহাট ক্যাডেট কলেজ চ্যাম্পিয়ন হয়।
তথ্যমন্ত্রী বলেন, ‘আগে এখানে বিতর্ক অনুষ্ঠান ছিল না, কারণ বিতর্কে অনেক সময় সরকারের সমালোচনা করা হয়। আমি তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়ের দায়িত্ব নেয়ার পর টেলিভিশন বিতর্ক প্রতিযোগিতা শুরু করি। কারণ সরকার সব সময় যুক্তিসংগত বিতর্ককে স্বাগত জানায়।
শিক্ষার্থীদের চতুর্থ শিল্প বিপ্লবের চ্যালেঞ্জকে সামনে রেখে নিজেদের তৈরি হওয়ার আহবান জানিয়ে ড. হাছান বলেন, এখন চতুর্থ শিল্প বিপ্লবের যুগ। চতুর্থ শিল্প বিপ্লবের চ্যালেঞ্জ মোকাবেলার জন্য সরকার ২০০৮ সাল থেকে ডিজিটাল বাংলাদেশ বাস্তবায়ন শুরু করে যা এখন বাস্তবায়িত। তারপরও আমাদের চ্যালেঞ্জ নিতে হবে।
বাংলাদেশ টেলিভিশন চট্টগ্রাম কেন্দ্রের জেনারেল ম্যানেজার নূর আনোয়ার হোসেন রঞ্জুর সভাপতিত্বে চট্টগ্রাম বিভাগীয় কমিশনার তোফায়েল ইসলাম, একুশে পদকপ্রাপ্ত সাংবাদিক দৈনিক আজাদী সম্পাদক এম. এ মালেক, চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের ইংরেজি বিভাগের চেয়ারম্যান সুকান্ত ভট্টাচার্য্য অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখেন।