ঊর্মির চার বছরের প্রেমের সংসার শেষ জীবনের বিনিময়ে

ইবি ছাত্রী নিশাত তাসনীম ঊর্মি
ইবি ছাত্রী নিশাত তাসনীম ঊর্মি  © সংগৃহীত

ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের (ইবি) ছাত্রী নিশাত তাসনীম ঊর্মিকে ‘শ্বাসরোধে হত্যার’ অভিযোগে তার স্বামী ও শ্বশুরকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। এ ঘটনায় গাংনী থানায় প্রথমে অপমৃত্যু মামলা হলেও পরে তার বাবা গোলাম কিবরিয়া হত্যা মামলা করেন। এ মামলায় গ্রেপ্তার নিশাতের স্বামী প্রিন্স ও শ্বশুর হাসেম শাহ হত্যার বিষয়টি অস্বীকার করেছেন। 

মারা যাওয়া ওই ছাত্রী গাংনীর চাঁদপুরের গোলাম কিবরিয়ার মেয়ে। তিনি বিশ্ববিদ্যালয়ের ফোকলোর স্টাডিজ বিভাগের চতুর্থ বর্ষের শিক্ষার্থী ছিলেন। তার শরীরে আঘাতের চিহ্ন পাওয়া গেছে। শ্বশুরবাড়ির লোকজনের বিরুদ্ধে তাকে হত্যার অভিযোগ উঠেছে। এর তদন্তের দাবিতে নিশাতের সহপাঠীরা শুক্রবার গাংনী প্রেস ক্লাবের সামনে মানববন্ধন করেছেন।

সহপাঠীরা জানান, পদ্মা এন্টারপ্রাইজের স্বত্বাধিকারী হাশেম শাহর ছেলে আশিকুজ্জামানের সঙ্গে চার বছর আগে বিয়ে হয় নিশাতের। কলেজে পড়াকালীন তাদের প্রেমের সম্পর্ক গড়ে ওঠে। আবনাব আবির প্রত্যয় নামে ১৩ মাস বয়সি ছেলেও রয়েছে। স্বামী নেশাগ্রস্ত হওয়ায় প্রায়ই কলহ লাগতো। ঊর্মি শারীরিক ও মানসিক নির্যাতনের শিকার হতেন।

আরো পড়ুন: বাইক নিয়ে প্রতিযোগিতা, দুর্ঘটনায় নিহত ৩

নিশাতের পরিবার জানায়, বৃহস্পতিবার রাতে তার শ্বশুর হাসেম শাহ্ মোবাইল ফোনে নিশাতের অসুস্থ হওয়ায় বিষয়টি জানায়। তাকে গাংনী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নেওয়া হয়েছে বলে জানানো হয়। অসুস্থতার কারণ হিসেবে গলায় ফাঁস নিয়েছে বলা হয়। হাসপাতালে পৌঁছালে চিকিৎসক জানান আগেই মারা গেছেন তিনি। শরীরের বিভিন্ন স্থানে আঘাতের চিহ্ন রয়েছে। তাকে নির্যাতন করে হত্যা করা হয়েছে।

গাংনী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আব্দুর রাজ্জাক বলেন, ঊর্মির শরীরে আঘাতের চিহ্ন রয়েছে। ময়নাতদন্তের প্রতিবেদন পেলে তার মৃত্যুর কারণ জানা যাবে। যৌতুকের কারণে এ ঘটনা ঘটেছে বলে অনুমান করা হচ্ছে।


সর্বশেষ সংবাদ