০৪ সেপ্টেম্বর ২০২২, ১৯:৫৫

ঢাবি ক্যাম্পাস থেকে অপহরণ, ২০ লাখ টাকা ডাকাতি

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়  © টিডিসি ফটো

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) এক ছাত্রীকে পুলিশ পরিচয়ে অপহরণের ঘটনার রেশ কাটতে না কাটতেই ক্যাম্পাসে আরেকটি অপহরণ ও ডাকাতির ঘটনা ঘটেছে। শনিবার বেলা সাড়ে তিনটার দিকে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ক্লাবের সামনে থেকে অপহৃত হন মহিউদ্দিন খান নামে এক স্বর্ণ ব্যবসায়ী। বিষয়টি নিয়ে আজ শাহবাগ থানা–পুলিশকে জানিয়েছে তার পরিবারের সদস্যরা।

‘সেনাবাহিনী’ লেখা একটি গাড়ি তার পথ আটকে অপহরণ ও ২০ লাখ টাকা ডাকাতি করেছে বলে জানিয়েছেন অপহৃত মহিউদ্দিন খান।

মহিউদ্দিন খান বলেন, রাজধানীর নিউমার্কেটে রায়হান জুয়েলার্স নামে তার একটি ব্যবসাপ্রতিষ্ঠান আছে। শনিবার বেলা একটার দিকে তিনি বাসা থেকে তাঁতীবাজারের উদ্দেশে রওনা দেন। দুইটার দিকে তাঁতীবাজার ২১ নম্বর মার্কেটে পৌঁছান। কাজ শেষে বেলা তিনটার দিকে তাঁতীবাজার মোড় থেকে ভাড়া করা মোটরসাইকেলে করে নিউমার্কেটের উদ্দেশে রওনা দেন তিনি।

বেলা সাড়ে তিনটার দিকে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ক্লাবের মূল ফটক থেকে ২০ গজ পূর্বে পাকা রাস্তার ওপর পৌঁছান মহিউদ্দিন। সঙ্গে সঙ্গে পেছন থেকে ‘সেনাবাহিনী’ লেখা জলপাই রঙের একটি গাড়ি এসে মোটরসাইকেলের পথরোধ করে। তিনজন ওই গাড়ি থেকে নেমে তাকে মোটরসাইকেল থেকে নামতে বলেন।

তিনি আরো বলেন, ‘মোটরসাইকেল থেকে নামার সঙ্গে সঙ্গে আমার মাথায় পিস্তল ঠেকান তিনজন। তারপর গাড়িতে তুলে গামছা দিয়ে আমার চোখ বেঁধে ফেলা হয়। গাড়িতে তোলার সময় আমি চালক ও পেছনে বসা আরও একজনকে দেখতে পাই। তাঁদের জিজ্ঞাসা করি, আমার চোখ বাঁধেন কেন, ভাই? তখন তারা উত্তেজিত হয়ে আমাকে চুপ থাকতে বলেন এবং চোখে-মুখে কিল–ঘুষি মারতে থাকেন।’

আরও পড়ুন: ঢাবি ছাত্রীকে পুলিশ পরিচয়ে অপহরণকারীর কোমরে ছিল পিস্তল

‘কোনো কথা জিজ্ঞেস না করেই ওই লোকেরা আমাকে মারধর করছিলেন। গাড়ি কিছুদূর যাওয়ার পর তারা আমার দুই হাত পেছনে নিয়ে হ্যান্ডকাফ (হাতকড়া) পরিয়ে দেন। এছাড়া আমি যাতে চিৎকার করতে না পারি, সেজন্য মুখ গামছা দিয়ে বেঁধে ফেলেন।’

ডাকাতেরা তাঁর কাছে থেকে মোট ২০ লাখ টাকা ও একটি মুঠোফোন নিয়ে গেছেন বলে দাবি করেছেন এই ব্যবসায়ী। তিনি বলেন, ‘আমার দুই পায়ে রাবার দিয়ে বাঁধা ২ লাখ টাকা করে মোট ৪ লাখ টাকা ও কোমরে কাপড়ের বেল্টে রাখা আরও ১৬ লাখ টাকা নিয়ে নেন ডাকাতেরা। আমার ব্যবহৃত মুঠোফোনটিও তাঁরা ছিনিয়ে নেন। পরে হাত, পা ও চোখ বেঁধে রাস্তার পাশে ফেলে দেন।’

পরে রাস্তার পাশে কয়েকজন তার গোঙানির শব্দ শুনে বাঁধন খুলে দেন। তাদের কাছ থেকে জানতে পারেন, তিনি কেরানীগঞ্জে আব্দুল্লাহপুরের রাস্তার পাশে রয়েছেন। পরে তাদের সহায়তায় বিষয়টি তার ভাই কবির হোসেনকে জানানো হয়।

মহিউদ্দিন ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসারত রয়েছেন। 

এ বিষয়ে শাহবাগ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মওদুত হাওলাদার বলেন, ‘এ বিষয়ে মৌখিক অভিযোগ পেয়েছি। অভিযোগটি যাচাই-বাছাই করা হচ্ছে। যাচাই-বাছাইয়ে সত্যতা পাওয়া গেলে এ ঘটনায় মামলা নেওয়া হবে।’