০৪ সেপ্টেম্বর ২০২২, ১৪:৩০

রুবেলের মূল টার্গেট ছিল বিশ্ববিদ্যালয় ও কলেজের ছাত্রীরা

মূল অভিযুক্ত রুবেল  © সংগৃহীত

রাজধানীর কল্যাণপুর থেকে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীকে অপহরণ করে রাজধানীর দিয়াবাড়ীতে ছিনতাইয়ের ঘটনায় মূল অভিযুক্তসহ ৪ জনকে গ্রেপ্তার করেছে ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশের (ডিবি) উত্তরা বিভাগ।

গ্রেপ্তাররা হলেন শাকিল আহম্মেদ রুবেল (২৮), আকাশ শেখ (২২), দেলোয়ার হোসেন (৫৫) ও হাবিবুর রহমান। 

ডিবি জানিয়েছে, রুবেল একজন পেশাদার ছিনতাইকারী। তিনি দেড় হাজারের অধিক ছিনতাইয়ের ঘটনার সঙ্গে জড়িত। ছিনতাইয়ের পাশাপাশি রুবেল নারীদের সঙ্গে অশালীন আচরণও করতেন। তার মূল টার্গেট ছিল বিশ্ববিদ্যালয় ও কলেজের ছাত্রীরা।

রোববার (৪ সেপ্টেম্বর) দুপুরে রাজধানীর মিন্টু রোডে ডিএমপির মিডিয়া সেন্টারে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এসব তথ্য জানান অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার (ডিবি প্রধান) মোহাম্মদ হারুন অর রশীদ।

সংবাদ সম্মেলনে বলা হয়, ২৫ আগস্ট ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ওই নারী শিক্ষার্থী বিশ্ববিদ্যালয় থেকে কল্যাণপুরের বাড়িতে যাচ্ছিলেন। তখন রুবেল নিজেকে পুলিশ কর্মকর্তা পরিচয় দিয়ে তার রিকশা আটকায়। পরে থানায় নিয়ে যাওয়ার কথা বলে মেয়েটিকে ডিএমপির লোগো লাগানো একটি মোটরসাইকেলে করে উত্তরার তুরাগ এলাকায় নিয়ে তাকে মারধর করে এবং যৌন নিপীড়নের চেষ্টা করে। এসময় স্থানীয় এক ব্যক্তি এগিয়ে আসলে রুবেল তার মোটরসাইকেল নিয়ে পালিয়ে যায়। পরে এ বিষয়ে তুরাগ থানায় একটি মামলা দায়ের করা হয়।  

আরও পড়ুন: ঢাকায় পড়তে এসে ধর্ষণের শিকার, কোলকাতায় পালিয়ে গেলেন মেডিকেল ছাত্রী

সংবাদ সম্মেলনে অতিরিক্ত কমিশনার হারুন জানান, রুবেলসগ গেপ্তারকৃতদের কাছ থেকে ১টি পিস্তল, ২টি গুলি, ১টি ওয়াকিটকি সেট, ছিনতাইয়ের কাজে ব্যবহৃত ২টি মোটরসাইকেল এবং ওই শিক্ষার্থীর ব্যবহৃত ১টি পার্স উদ্ধার করা হয়েছে।

হারুন বলেন, 'তার (রুবেল) মূল টার্গেট ছিল মেয়েরা। অর্থাৎ বিশ্ববিদ্যালয় পড়ুয়া ও কলেজ ছাত্রীরা। সে বরিশালেও এমন একটি মেয়েকে তুলে নিয়ে গিয়েছিল। সে নিজেই স্বীকার করেছে যে, সে দেড় হাজারের বেশি ছিনতাইয়ের ঘটনা ঘটিয়েছে। আর অর্ধশতাধিক মেয়ের সঙ্গে অশালীন ব্যবহার থেকে শুরু করে ধর্ষণের মতো ঘটনাও ঘটিয়েছে।'

তার চার সহযোগীদের কাজ কী- জানতে চাইলে তিনি বলেন, তারা রুবেলকে বিভিন্ন সময় নানাভাবে সহযোগিতা করতেন। কেউ মোটরসাইকেল ভাড়া করে এনে দিতেন আবার কেউ অন্যভাবে সহযোগিতা করতেন।

ওয়াকিটকি, পিস্তল ও ডিএমপির লোগো রুবেল কীভাবে পেল- জানতে চাইলে তিনি বলেন, আমরা রিমান্ডে এনে তার কাছ থেকে এ বিষয়ে বিস্তারিত জানার চেষ্টা করব।

ভুয়া পুলিশের ঘটনা দিন দিন বেড়ে যাচ্ছে আটকানো যাচ্ছে না কেন- প্রশ্ন করা হলে তিনি বলেন, এসব ঘটনায় অনেকে মামলা করতে থানায় যায় না। মামলা করলে এসব বিষয়ের শক্ত পদক্ষেপ নেওয়া হয়। মামলা না হলে তো আমরা এসব বিষয় জানতে পারি না।

তার পেছনে সত্যিকারের কোনো পুলিশ সদস্য আছে কিনা জানতে চাইলে তিনি বলেন, আমরা রিমান্ডে এনে তাকে আরও জিজ্ঞাসাবাদ করব। তার সঙ্গে আর কে কে জড়িত রয়েছে।