কলেজছাত্রীকে তুলে নিয়ে পাঁচজন মিলে ধর্ষণ
রাঙামাটির বিলাইছড়িতে এক কলেজছাত্রীকে সংঘবদ্ধ ধর্ষণ ও ব্ল্যাকমেইলের অভিযোগ উঠেছে। এ ঘটনায় মঙ্গলবার (৩০ আগস্ট) রাঙামাটি নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল আদালতে মামলা করেছেন তিনি। বিলাইছড়ি থানা মামলা নেয়নি বলেও অভিযোগ করেন ওই ছাত্রী। বিচারক এইএম ইসমাইল হোসেন অভিযোগ আমলে নিয়ে থানার ওসিকে এজাহার গ্রহণ ও তদন্তের নির্দেশ দিয়েছেন।
আদালতের নথি অনুযায়ী, গত ১৩ এপ্রিল রাতে ওই ছাত্রী বিজু উৎসবে যোগ দিতে বন্ধুর বাসায় যাচ্ছিলেন। পথিমধ্যে অঞ্জন তঞ্চঙ্গ্যা ওরফে এজেন্ট, রুজন দাশ, সুমন্ত চাকমা, স্নেহাশীষ বড়ূয়া ও সুজন দাশ নামে পাঁচজন এগুজ্যাছড়ি ফরেস্ট অফিসের কালভার্টের নিচে নিয়ে ধর্ষণ করেন তাকে। এ সময় ধর্ষণের ছবি ও ভিডিও ধারণ করেন সুমন্ত।
পরে বিষয়টি কাউকে জানালে বা মামলা করলে তরুণী ও তাঁর বাবাকে হত্যার হুমকি দেন। অঞ্জন ও রুজন। এ ছাড়া ধর্ষণের ভিডিও ছড়িয়ে দেওয়ার হুমকি দেন। এ ঘটনার পর তরুণী চট্টগ্রাম মেডিকেল হাসপাতালের ওয়ান স্টপ ক্রাইসিস সেন্টারে চিকিৎসা নিলেও ভয়ে মামলা করেননি। তবে গত ২৩ জুন ভিডিও ছড়িয়ে দেওয়ার কথা বলে ফের ধর্ষণের কথা বলে সুমন্ত, স্নেহাশীষ ও সুজন। পরে ২৮ জুন তিনি থানায় মামলা করতে যান।
আরো পড়ুন: চুরির অপবাদ সইতে না পেরে সেবায়েতের আত্মহত্যা, গ্রেফতার ৩
থানা মামলা না নেওয়ায় জেলা লিগ্যাল এইডের সহায়তায় মঙ্গলবার আদালতে মামলা করেন। বাদীপক্ষের আইনজীবী সালিমা ওয়াহিদা বলেন, ভিডিও ছড়িয়ে দেওয়ার কথা বলে ছাত্রীকে মামলা না করার জন্য চাপ দিচ্ছিল আসামিরা। তাঁকে ব্ল্যাকমেইল করে আবারও ধর্ষণের চেষ্টা করেছে তারা।
বিলাইছড়ি থানার ওসি মোহাম্মদ আলমগীর বলেন, ঘটনার অনেক দিন পর এক হেডম্যান অভিযোগ দিতে আসে। ভুক্তভোগী যেহেতু শহরে থাকেন, সেক্ষেত্রে আদালতে অথবা থানায়ও মামলা করা যাবে। মামলার জন্য ভুক্তভোগী বা তাঁর পরিবারকে উপস্থিত থাকতে হয়।