লজ্জায় স্কুলে যাওয়াই বন্ধ করে দিল মেয়েটি
খুলনার ডুমুরিয়ায় সপ্তম শ্রেণির এক ছাত্রী ধর্ষণের শিকার হয়েছে। এই ঘটনায় লজ্জায় স্কুলে যাওয়া বন্ধ করে দিয়েছেন ওই শিক্ষার্থী।
গত ৯ আগস্ট ডুমুরিয়া উপজেলার মাগুরখালী ইউনিয়নের একটি গ্রামে মুদি দোকানি ছাত্রীটিকে ধর্ষণ করা হয় বলে জানা গেছে। এই ঘটনার সাথে বিজন রায় নামে একজনের জড়িত থাকার অভিযোগ উঠেছে।
ভুক্তভোগী ছাত্রীর বাবার অভিযোগ, ইউপি চেয়ারম্যান ও পুলিশ ক্যাম্পের এসআই ধর্ষণের বিষয়টি ৫ লাখ টাকায় রফার চেষ্টা করেছেন। তাঁরা ঘটনাটি ধামাচাপা দিতে ছাত্রী ও তার পরিবারকে সহায়তার আশ্বাস দিয়ে ১৪ দিন কালক্ষেপণ করেছেন।
অশ্রুসিক্ত চোখে তিনি বলেন, তিনি তাঁর মেয়েসহ ১০ আগস্ট থানায় গিয়েছিলেন। কিন্তু পুলিশ তাঁদের সহযোগিতা করেনি। মামলা করতে চাইলেও মামলা নেয়নি। এমনকি অভিযোগও নেয়নি। মেডিকেলে গিয়ে স্বাস্থ্য পরীক্ষার বিষয়েও পরামর্শ দেয়নি।
পরে এলাকাবাসীর সহযোগিতায় গত সোমবার দুপুরে থানায় অভিযোগ দেন। কিন্তু দু'দিন পর বুধবার মামলাটি রেকর্ড হয়। তিনি বলেন, এ ঘটনার পর ইউপি চেয়ারম্যানও তাঁদের সহযোগিতা করেননি। বিজনের ছেলে জয়ন্ত রায় তাঁকে বলেছেন, কিছু টাকা-পয়সা নিয়ে বিষয়টি মীমাংসা করে নিতে।
মেয়েটি আক্ষেপ করে জানায়, তার বাবা গরিব বলে এমন একটি ঘটনার পরও কেউ তাদের সহযোগিতা করছে না। ১০ আগস্ট পুলিশ তাদের বাড়ি এসে সব ঘটনা শুনে চলে যায়। এ ঘটনা তার স্কুলসহ এলাকার সবাই জেনে গেছে বলে সে লজ্জায় স্কুলে যাওয় বন্ধ করে দিয়েছে।
মাগুরখালী ইউপি চেয়ারম্যান বিমল কৃষ্ণ সানা বলেন, একই এলাকায় তাঁর বাড়ি বলে এ বিষয়ে তিনি হস্তক্ষেপ করেননি। টাকা নিয়ে বিষয়টি ধামাচাপার অভিযোগ তিনি অস্বীকার করেন।
মাগুরখালী পুলিশ ক্যাম্পের ইনচার্জ এসআই মো. আছাদুজ্জামানও টাকা-পয়সা নিয়ে বিষয়টি রফাদফার চেষ্টার অভিযোগ অস্বীকার করেন।