২৪ আগস্ট ২০২২, ২১:২৬

সাইকোলজিক্যাল সমস্যায় ভুগছেন সুকন্যা, আছেন ‘শেষ স্টেজে’

কলেজছাত্রী ইয়াশা মৃধা সুকন্যা  © ফাইল ছবি

সাইকোলজিক্যাল সমস্যায় ভুগছেন রাজধানীর সিদ্ধেশ্বরী গার্লস কলেজছাত্রী ইয়াশা মৃধা সুকন্যা। তার মা নাজমা ইসলাম লাকীর মানসিক নির্যাতনে তার এমন পরিস্থিতি হয়েছে বলে তিনি গণমাধ্যমের কাছে অভিযোগ করেছেন। সুকন্যার চিকিৎসক জানিয়েছেন তিনি তার মানসিক সমস্যার দিক থেকে সর্বশেষ অবস্থানে রয়েছেন।

সিদ্ধেশ্বরী গার্লস কলেজ থেকে গত ২৩ জুন নিখোঁজ হন ইয়াশা মৃধা সুকন্যা। এরপর তাকে জীবিত ফিরে পেতে শনিবার (২০ আগস্ট) সকাল সাড়ে ১১টার দিকে রাজধানীর সেগুনবাগিচায় ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটিতে সংবাদ সম্মেলন করেন ইয়াশা মৃধা সুকন্যার মা নাজমা ইসলাম লাকী। এর পরপরই গত মঙ্গলবার (২৩ আগস্ট) সকালে সুকন্যা একটি বেসরকারি টেলিভিশনের মুখোমুখি হন।

গণমাধ্যমক দেওয়া সাক্ষাৎকারে সুকন্যা তার মায়ের বিরুদ্ধে অভিযোগ করে বলেন, আম্মু আমাকে সহজে কারো সাথে মিশতে দিতো না। তিনি আমাকে কলেজে নিয়ে যেতেন এবং নিয়ে আসতেন। এর মাঝে আমার কোন বন্ধুর সাথে আমার মেশার সুযোগ ছিল না। এছাড়া আমার পরিবারের মধ্যেও তেমন ফ্রেন্ডলি কেউ নেই।

আরও পড়ুন: বিয়ের ভয়ে পালিয়ে সেই বিয়েই করলেন সুকন্যা

‘‘আমার তিনজন খালা। আমার মেঝ খালার সঙ্গে কোন কথা শেয়ার করলে তিনি সব কথা আমার আম্মুকে বলে দিতেন। সেঝ খালা আর ছোট খালাও এমন করতেন। পরে আম্মু আবার আমাকে তাদের কথার বিষয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করতেন। আমি নিজের সাথে নিজেই কথা বলতাম।’’

সুকন্যা বলেন, মাঝখানে আমি মাসনিকভাবে খুব বেশি অসুস্থ হয়ে যাই। তখন আমি সাইকোলজিস্টের কাছেও গিয়েছিলাম। মাঝেমাঝে আমার প্যানিক অ্যাটাক উঠতো। এখনো আমার প্যানিক অ্যাটাক ওঠে। বাসায় আমার একটা পুতুল ছিল, আম্মু যখন আমাকে বাসায় তালা দিয়ে রেখে যেতো- তখন আমি একা বাসায় পুতুলের সাথে কথা বলতাম।

‘‘আম্মু যখন আমার রিলেশনের কথা জেনে যায়, তখন আমার কাছ থেকে ফোন-ট্যাব সবকিছু নিয়ে যায়। এমন পরিস্থিতিতে একা বাসায় পুতুলের সঙ্গে কথা বলতে বলতে আমার এমন একটা ডিসঅর্ডার হয়ে গিয়েছিল যে আমি পুতুলকে একটা ক্লোন বানিয়ে নিয়েছিলাম। আমার মনে হতো, আমার পাশে কেউ একজন আছে, বাসায় কেউ না থাকলেও আমি পুতুলের সাথে কথা বলতাম। এরকম একটা ডিসঅর্ডার হয়ে গিয়েছিল।’’

সুকন্য তার মানসিক সমস্যার কথা উল্লেখ করে তিনি বলেন, এমন পরিস্থিতি নিয়ে আমি যখন ডাক্তারের কাছে যাই, তখন ডাক্তার একটা কথাই বলেছিলেন- আমি ‘লাস্ট স্টেজে’ চলে গেছি। এখনো আমার এসব জিনিসগুলো মনে হলে প্যানিক অ্যাটাক ওঠে। হঠাৎ করেই আমি সেন্সলেস হয়ে যাই এবং আমার হাত-পা ঠাণ্ডা হয়ে যায়।

প্যানিক অ্যাটাক