মেট্রোরেলের পিলারে পোস্টার লাগানোর দায়ে ১৮ জন গ্রেপ্তার
মেট্রোরেলের পিলারে রাজনৈতিক দলের নেতাকর্মীসহ বিভিন্ন ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠানের পোস্টার লাগানোর দায়ে ১৮ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। সোমবার (২২ আগস্ট) ঢাকা ম্যাস ট্রানজিট কোম্পানি লিমিটেডের (ডিএমটিসিএল) এমডি এম এ এন সিদ্দিক এ তথ্য জানিয়েছেন।
প্রবাসী কল্যাণ ভবনে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে এম এ এন সিদ্দিক বলেন, সিটি করপোরেশন জানিয়েছে পোস্টার লাগানো বন্ধে ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করবে। এছাড়া মেট্রোরেল পরিচালনায় আলাদা পুলিশ বাহিনী গঠনের প্রক্রিয়াও শেষ পর্যায়ে।
সম্প্রতি রাজধানীর আগারগাঁও থেকে মিরপুর-১২ নম্বর পর্যন্ত ঘুরে মেট্রোরেলের পিলারে পিলারে হরেক রকম পোস্টার দেখা গেছে। কোথাও কোথাও ছিঁড়ে যাওয়া পোস্টারের জঞ্জাল তৈরি হয়েছে। মিরপুর-১২ নম্বর থেকে মিরপুর-১০ নম্বর পর্যন্ত মেট্রোরেলের প্রতিটি পিলারে তান্ত্রিক বিজয় বৌদ্ধ কবিরাজ-এর পোস্টার লাগানো হয়েছে।
আরও পড়ুন: ১০টি ট্রেন দিয়ে চালু হবে মেট্রোরেল, চলবে ১০ মিনিট পর পর
এ বিষয়ে এ বিষয়ে এম এ এন ছিদ্দিক বলেছেন, আমরা পোস্টার দেখলেই ছিঁড়ে দিচ্ছি, কিন্তু আবার এসে পোস্টার লাগায়। আমরা এগুলো বন্ধ করার জন্য বিভিন্ন জনকে ফোন করে সতর্ক করেছি। মেট্রোরেলের সৌন্দর্য নষ্ট না করতে বিভিন্ন জায়গায় সর্তকতামূলক নির্দেশনাও লাগিয়েছি।
এ সংক্রান্ত নির্দেশনায় বলা হয়েছে, মেট্রোরেলের পিলারের সৌন্দর্য নষ্ট করা আইনত দণ্ডনীয় অপরাধ। আমাদের কাউন্সেলিং কার্যক্রমের শেষ পর্যায়ে চলে এসেছি। এখন আমরা অ্যাকশনে যাব। প্রথমে আমরা থানায় জিডি করব, এতে যদি কাজ না হয় তাহলে যিনি প্রচার করেন ওনার নামে মামলা করব।
‘‘এর বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে মেট্রোরেল আইনও লাগে না। আমাদের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটদের অনেক ক্ষমতা আছে, তারাই এর বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে পারবেন।’’
ছিদ্দিক বলেন, আমরা ইতোমধ্যে তিনজন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট পেয়েছি। আরও তিনজন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট সরকারের কাছে চেয়েছি। মেট্রোরেলের ২০ কিলোমিটার ছয়জন ম্যাজিস্ট্রেটকে ভাগ করে দেব। তারাই মেট্রোরেলের সার্বিক বিষয়গুলো দেখবেন এবং প্রয়োজনে মোবাইল কোর্ট পরিচালনা করে আইনানুগ ব্যবস্থা নেবেন।