শিক্ষার্থীদের ধাওয়া খেয়ে শৌচাগারে গ্রন্থাগারিক, বের করে মারধর
শিক্ষার্থীদের ধাওয়া খেয়ে শৌচাগারে লুকিয়েছিলেন জাহিদুল ইসলাম জুয়েল নামে সহকারী গ্রন্থাগারিক। তবু শেষ রক্ষা হয়নি। পরে দরজা ভেঙে বের করে মারধর করেছে শিক্ষার্থীরা। ঘটনাটি ঘটেছে রাজশাহীর বাঘায়। এক ছাত্রীকে শ্লীলতাহানির চেষ্টার অভিযোগে ছাতারী উচ্চ বিদ্যালয়ে তাকে মারধর করা হয়।
খবর পেয়ে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) গিয়ে শিক্ষার্থীদের শান্ত করেন। পুলিশও ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয়। ঘটনা তদন্তে উপজেলা প্রাণি সম্পদ কর্মকর্তা রোকুজ্জামানকে প্রধান করে তিন সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। বৃহস্পতিবার (১৮ আগস্ট) থেকে তদন্ত শুরু করেছেন তিনি। তিন দিনের মধ্যে প্রতিবেদন দেবে কমিটি।
জাহিদুল ইসলামের বিরুদ্ধে অভিযোগ, মঙ্গলবার অষ্টম শ্রেণির এক ছাত্রীকে তিনি শ্লীলতাহানির চেষ্টা করেন। বিষয়টা জানাজানি হওয়ায় শিক্ষার্থীরা ক্ষিপ্ত হয়। প্রধান শিক্ষকের কাছে লিখিত অভিযোগও দেয় তারা। বুধবার বিচারের আশ্বাস দিয়েছিলেন প্রধান শিক্ষক। তবে বিচার না পেয়ে ক্ষুদ্ধ হয়ে ওঠে তারা।
আরো পড়ুন: দুই ভাই-বোনের পর চলে গেল সাথীও
জানা গেছে, সহকারী গ্রন্থাগ্রারিককে দেখে ধাওয়া করে শিক্ষার্থীরা। তিনি পালিয়ে আশ্রয় নেন শৌচাগারে। সেখান থেকে তাকে টেনে বের করে শিক্ষার্থীরা। পরে শিক্ষকেরা এসে তাকে রক্ষা করেন।
অভিযোগ অস্বীকার করে সহকারী গ্রস্থাগারিক জাহিদুল ইসলাম জুয়েল বলেন, শ্রেণিকক্ষে ওই ছাত্রী অমনযোগী ছিল। বার বার বললেও মনোযোগ দিচ্ছিল না। এ কারণে তিনি ছাত্রীকে চড় মারেন। শ্লীলতাহানির অভিযোগ ভিত্তিহীন।
বিদ্যালয়ের (ভারপ্রাপ্ত) প্রধান শিক্ষক নারগিস খাতুন বলেন, অবস্থা বেগতিক দেখে বিক্ষুদ্ধ শিক্ষার্থীদের থামাতে পুলিশে খবর দেন। ইউএনওকেও জানান। তারা পরিস্থিতি সামাল দেন।
ইউএনও শারমিন আখতার জানান, বিষয়টি তদন্ত করে দেখা হচ্ছে। প্রতিবেদন হাতে পেলে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।