কলেজশিক্ষকের পরিত্যক্ত বাড়িতে মিললো স্কুলছাত্রের লাশ
পাবনায় পরিত্যক্ত বাড়ির টয়লেট থেকে রোমিও সর্দার (৮) নামের এক স্কুলছাত্রের মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ। সোমবার (১৫ আগস্ট) রাতে সদর উপজেলার চরতারাপুর গ্রামে কলেজ শিক্ষক মির্জা আলী হায়দারের বাড়ি থেকে তার মরদেহ উদ্ধার করা হয়।
নিহত শিশু রোমিও ওই গ্রামের মাসুদ সর্দারে ছেলে এবং চরতারাপুর বালিয়া ডাঙ্গী সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের তৃতীয় শ্রেণীর শিক্ষার্থী।
স্থানীয়রা জানান, সোমবার সকাল ৯টার দিকে রোমিও বাড়ি থেকে বের হলেও আর ফেরেনি। সম্ভাব্য সব জায়গায় খুঁজেও তার সন্ধান পাওয়া যায়নি। পরে রাত আনুমানিক ১১টার দিকে একই গ্রামের বাসিন্দা ও পাবনা কলেজের শিক্ষক মির্জা আলী হায়দারে বাড়ির টয়লেট থেকে রোমিওর মরদেহ উদ্ধার করা হয়। আলী হায়দারসহ তার অন্য দুই ভাই শহরে বসবাস করায় বাড়িটি সবসময় তালাবদ্ধ থাকে।
বাড়ির মালিক মির্জা আলী হায়দার বলেন, ‘বাবা-মা মারা যাওয়ার পর থেকে বেশ কয়েক বছর ধরে তিন ভাই শহরের বসবাস করছি। এজন্য বাড়িটি বেশিরভাগ সময় তালাবদ্ধ অবস্থায় থাকে। শিশুর মরদেহ পাওয়ার বিষয়টি খুবই রহস্যজনক মনে হচ্ছে।’
আরও পড়ুনঃ হলের বাথরুমে নিজের গলা কাটলেন বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রী
নিহত শিশুর বড় ভাই রকি হোসেন বলেন, ‘সোমবার সকাল থেকে রোমিও নিখোঁজ ছিল। সারাদিন তার খোঁজ না পেয়ে এলাকায় মাইকিংও করা হয়। মধ্যরাতে খবর আসে পার্শ্ববর্তী মির্জা মশিউর রহমানের পরিত্যক্ত বাড়িতে তার মরদেহ পাওয়া গেছে। কারা এবং কী কারণে তাকে হত্যা করেছে কিছুই বুঝতে পারছি না।’
পাবনা থানার পরিদর্শক (অপারেশন) মো. মনিরুজ্জামান বলেন, আমরা ঘটনাস্থলে রয়েছি। মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়েছে। মরদেহের শরীরে আঘাতের চিহ্ন রয়েছে। ধারণা করা হচ্ছে তাকে হত্যার পর পরিত্যক্ত বাড়িতে মরদেহ লুকিয়ে রাখা হয়। রহস্য উদঘাটনে কাজ করছে পুলিশ।