খাইরুন নাহারকে ‘ব্রেন টর্চার’ করে মারা হয়েছে: মামুন
নাটোরের কলেজছাত্র ও খুবজীপুর এম হক ডিগ্রি কলেজের সহকারী অধ্যাপক মোছা. খাইরুন নাহারের স্বামী মামুন বলেন, খাইরুন নাহারকে ‘ব্রেন টর্চার’ করে মারা হয়েছে। আমাকে বিয়ের পর থেকে তাকে সবাই ফোন করে কথা শোনা তো। মানুষের এ নির্যাতন সহ্য করতে না পেরে সে আত্মহত্যা করেছে।
কলেজ শিক্ষক খাইরুন নাহারের লাশ উদ্ধার করার পর তার মৃত্যুর কারণ হিসেবে আজ রবিবার সকালে তিনি গণমাধ্যমকে দেয়া সাক্ষাৎকারে এসব কথা বলেন। এরপর তাকে আটক করে নিয়ে যায় থানা পুলিশ।
মামুন বলেন, গতকাল রাতে ঘুমানোর পূর্বে সে আমাকে বলেছে তার ঘুম আসছে না। এটা বলে সে আমাকে ঘুমের ওষুধ খাওয়ার কথা জানায়। তখন আমি তাকে বলি তুমি ঘুমের ওষুধ খেয়ো না, এমনি ঘুমিয়ে যাও। ঘুম না আসলে জেগে থাকো। মূলত টেনশনের কারণে সে ঘুমের ওষুধ খাওয়ার কথা বলে। পরে সে সত্যি সত্যি ঘুমের ওষুধ খেয়ে ঘুমিয়ে যায়।
আরও পড়ুন: খাইরুন নাহারের মৃত্যুর ৫ কারণ জানাল পুলিশ
‘‘পরে আমি নামাজ পড়তে যাওয়ার সময় মনে হলো তার তো ৭টার সময় বের হওয়ার কথা; কিন্তু সে তো ঠিক সময়ে উঠতে পারবে না। তখন আমি তাকে ফোনে কল দেই। কিন্তু তাকে বারাবার কল দিলেও সে কল রিসিভ করছে না। তখনই আমার ভয় হলো।’’
খাইরুন নাহারকে নিয়ে মামুন নিজের অভিজ্ঞতা জানিয়ে বলেন, সে সবসময় ডিপ্রেশনে থাকতো। আমি তাকে আজ আট মাস হয় বিয়ে করেছি; কিন্তু একদিনও দেখিনি তার মন ভালো আছে। তবে তার মন খারাপের কারণও সে আমায় বলতে পারেনি।
তিনি বলেন, তবে আমি যেটা বুঝেছি, তাকে তার আত্মীয়-স্বজন ফোন দিয়ে কথা শোনা তো, কলিগ ফোন দিয়ে কথা শোনা তো, বোন ফোন দিয়ে কথা শোনা তো। আমায় বিয়ে করার কারণে সবাই তাকে কুরুচিপূর্ণ কথা বলতো। একটা মানুষকে যদি সবাই এভাবে ‘ব্রেন টর্চার’ করে তার অবস্থা কেমন হয় সেটা তো সবাই বুঝেন। মানুষের নির্যাতন সহ্য করতে না পেরে সে আত্মহত্যা করে।