যেভাবে উদ্ধার হলো আলোচিত শিক্ষিকা খাইরুন নাহারের মরদেহ
নাটোরে কলেজছাত্র মামুনকে বিয়ে করা খুবজীপুর এম হক ডিগ্রি কলেজের সহকারী অধ্যাপক মোছা. খাইরুন নাহারের মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ। রোববার (১৪ আগস্ট) তার লাশ পাওয়া যায়। এ ঘটনায় মামুনকে আটক করেছে পুলিশ। তিনি জানিয়েছেন, ঘরে ঝুলন্ত অবস্থায় ছিল খায়রুন নাহারের ঝুলন্ত মরদেহ।
নাটোর সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) নাসিম আহমেদ গণমাধ্যমকে বলেন, জিজ্ঞাসাবাদে মামুন জানিয়েছেন, ভোর ৪টার দিকে ঘর থেকে বের হয়ে তিনি বাথরুমে যান। কিছুক্ষণ পর ফিরে দেখেন, সিলিংয়ে গলায় ওড়না পেঁচানো অবস্থায় ঝুলছেন খায়রুন। হাতের কাছে ধারালো কিছু না পেয়ে দিয়াশলাইয়ের কাঠি জ্বালিয়ে ওড়না পুড়িয়ে নিচে নামান তাকে।
ওসি জানান, প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে আত্মহত্যা করেছেন তিনি। লাশ উদ্ধার করে মর্গে পাঠানোর প্রক্রিয়া চলছে। ময়নাতদন্তের প্রতিবেদন পেলে মৃত্যুর প্রকৃত কারণ জানা যাবে।
আরো পড়ুন: সেই শিক্ষিকার লাশ উদ্ধারের পর কলেজছাত্র মামুন আটক
নাটোর শহরের বলারীপাড়ার ভাড়া বাসা থেকে লাশ উদ্ধার করে পুলিশ। বলারীপাড়ার হাজি নান্নু মোল্লা ম্যানশনের চারতলায় ভাড়া থাকতেন তারা। খায়রুন নাহার গুরুদাসপুর উপজেলার উপজেলার চাঁচকৈড় পৌর এলাকার মো. খয়ের উদ্দিনের মেয়ে। মামুন হোসেনও একই উপজেলার পাটপাড়া গ্রামের মোহাম্মদ আলীর ছেলে।
ভবনের বাসিন্দা ও এলাকাবাসী জানান, ভোরে মামুন ভবনের অন্য বাসিন্দাদের জানান, তার স্ত্রী খায়রুন নাহার গলায় ওড়না পেঁচিয়ে ফ্যানের সঙ্গে ঝুলে আত্মহত্যা করেছেন। লোকজন বাসায় গিয়ে লাশ মেঝেতে শোয়া অবস্থায় দেখতে পেলে সন্দেহ হয়। তারা মামুনকে আটকে পুলিশে খবর দেন।