২৫ হাজার চাকরিপ্রত্যাশীর দুই কোটি টাকা আত্মসাৎ
রাজধানীর উত্তরায় ‘নারী ও শিশু কল্যাণ কেন্দ্র’র নামে ভুয়া প্রতিষ্ঠান খুলে চাকরি দেওয়ার কথা বলে এক কোটি ৮৭ লাখ টাকা আত্মসাৎ করেছে একটি প্রতারক চক্র। তারা কখনো চাকরির জামানত হিসেবে, কখনো প্রশিক্ষণ, ল্যাপটপ বা মোটরসাইকেল দেওয়ার নামে অর্থ হাতিয়েছে। সম্প্রতি সাইবার পুলিশ সেন্টারে এ বিষয়ে একটি অভিযোগ আসে। এরপর অনুসন্ধানে নেমে প্রতারণায় জড়িত তিনজনকে গ্রেপ্তার করে পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগ (সিআইডি)।
গ্রেফতাররা হলো- চক্রের প্রধান মো. মজিবুর রহমান (৪২), তার দুই নারী সহযোগী জান্নাতুল ফেরদৌস ময়না (২০) ও লাবণী আক্তার (২৩)। তাদের বিরুদ্ধে ডিএমপির উত্তরা পশ্চিম থানায় ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন ও প্রতারণার অভিযোগে মামলা করা হয়েছে।
বুধবার দুপুরে রাজধানীর মালিবাগে সিআইডির প্রধান কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে সাইবার ইউনিটের বিশেষ পুলিশ সুপার (এসপি) রেজাউল মাসুদ এসব তথ্য জানান। মঙ্গলবার রাতে উত্তরার দক্ষিণখান থানার আশকোনা এলাকায় অভিযান চালিয়ে তাদের গ্রেফতার করা হয়।
আরও পড়ুন: তিন স্কুলছাত্রীকে অপহরণ করে সংঘবদ্ধ ধর্ষণ
এ সময় তাদের কাছ থেকে ১৪টি মোবাইল ফোন, ৬০টি সিমকার্ড, চাকরিপ্রার্থীদের কাছ থেকে পাওয়া ৪০টি জাতীয় পরিচয়পত্র, ১৪৮টি বায়োডাটা ও ৩০টির বেশি ভুঁইফোড় কোম্পানি/এনজিওর নামে করা নিয়োগপত্র ও রাবার স্ট্যাম্প সিল জব্দ করা হয়েছে।
সংবাদ সম্মেলনে সিআইডির বিশেষ পুলিশ সুপার রেজাউল মাসুদ বলেন, গ্রেপ্তার মজিবুর রহমান ও তার সহযোগীরা চাকরি দেওয়ার নামে গত পাঁচ বছরে প্রায় ২৫ হাজার জীবনবৃত্তান্ত সংগ্রহ করে। সেখান থেকে তথ্য নিয়ে চাকরিপ্রত্যাশী বিভিন্নজনের কাছ থেকে নানা কৌশলে বিপুল অর্থ হাতিয়ে নেয় তারা। একই ধরনের প্রতারণার অভিযোগে মজিবুরকে ২০১৮ সালে একাধিকবার গ্রেপ্তার করা হয়। তবে জামিনে বের হয়ে সে আবারও অপরাধে জড়ায়। এই চক্রের ফাঁদে পড়ে প্রচুর তরুণ-তরুণী অর্থ খুইয়েছেন। গ্রেপ্তার তিনজনের বিরুদ্ধে উত্তরা পশ্চিম থানায় ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে মামলা হয়েছে।