নিয়োগ পরীক্ষার প্রশ্নফাঁসে জড়িত ঢাকা মেডিকেলের ছাত্র
মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা অধিদপ্তরের (মাউশি) নিয়োগ পরীক্ষার প্রশ্নপত্র ফাঁস চক্রের অন্যতম হোতা ঢাকা মেডিকেল কলেজের (ঢামেক) শিক্ষার্থী ওবায়দুর রহমান প্রান্ত। এই চক্রটি মাত্র ১৫ মিনিটের মধ্যে উত্তরপত্র তৈরি করতেন। সম্প্রতি বিভিন্ন গোয়েন্দা সংস্থার তদন্তে এস তথ্য জানা গেছে।
তাদের দেওয়া তথ্য অনুযায়ী, প্রান্তর সাহায্যে ঢাকা মেডিকেল কলেজের একটি রুমে বসে এই চক্রটি উত্তরপত্র তৈরি করতেন। উত্তরপত্র তৈরি করতে তাদের ১৫ মিনিটের মতো সময় লাগত। প্রান্তই উত্তরপত্র তৈরি করে দিতেন। তৈরিকৃত উত্তরপত্র চক্রের আরেক হোতার হোয়াটসঅ্যাপ নম্বরে পাঠালে তা দুই ধাপে কেন্দ্রের পরীক্ষার্থীদের কাছে চলে যেত।
গোয়েন্দা কর্মকর্তারা বলছেন, ঢামেকের ছাত্র প্রান্ত ফাঁস হওয়া প্রশ্নপত্রের সমাধান হোয়াটসঅ্যাপের মাধ্যমে বিভিন্নজনকে পাঠান। এরপর বিপুলসংখ্যক চাকরিপ্রার্থীর কাছে প্রশ্নের উত্তর পৌঁছে দেওয়া হয়।
আরও পড়ুন: সরকারি মেডিকেলে আসন ফাঁকা ২০টি
জানতে চাইলে ডিবি তেজগাঁও বিভাগের এডিসি শাহাদত হোসেন সুমা বলেন, মাউশির প্রশ্নপত্র ফাঁসের ঘটনায় আগে গ্রেপ্তার হওয়া ৫ আসামির সঙ্গে মিল্টন নামে একজনের তথ্য মিলিয়ে দেখা হচ্ছে। ঘটনার সাথে ঢামেকের এক শিক্ষার্থী জড়িত।
প্রসঙ্গত, গত ১৩ মে রাজধানীর ৬১টি কেন্দ্রে মাউশির অফিস সহকারী কাম-কম্পিউটার মুদ্রাক্ষরিক পদের নিয়োগ পরীক্ষা হয়। ৫১৩টি পদের জন্য প্রথম ধাপের নৈর্ব্যক্তিক পরীক্ষায় (এমসিকিউ) অংশ নেন ১ লাখ ৮৩ হাজার চাকরিপ্রার্থী। পরীক্ষা চলাকালে ইডেন মহিলা কলেজ কেন্দ্রে প্রশ্নের ৭০টি উত্তর প্রবেশপত্রে লেখা থাকায় সুমন জমাদ্দার নামের এক পরীক্ষার্থীকে গ্রেপ্তার করে ডিবি। এ ঘটনায় রাজধানীর লালবাগ থানায় মামলা করেন ইডেনের প্রধান সহকারী আব্দুল খালেক। প্রশ্নফাঁসের অভিযোগ প্রমাণিত হওয়ায় ওই পরীক্ষা বাতিল করে মাউশি।