শাবিপ্রবি ছাত্র হত্যায় জড়িত তিনজনই রাজমিস্ত্রি
তিনজনই রাজমিস্ত্রি ছিলেন। একজন এর পাশাপাশি অ্যাম্বুলেন্স চালকের সহকারী হিসেবেও কাজ করতেন।এর আড়ালে ছিলেন পেশাদার ছিনতাইকারী। তারাই ছিনতাই করতে গিয়ে হত্যা করেছেন শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী বুলবুল আহমেদকে।
বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসেই বুলবুলকে হত্যায় জড়িত তিনজনকে পুলিশ গ্রেপ্তারের পর এমন তথ্য জানা গেছে। বুধবার (২৭ জুলাই) বেলা সোয়া ১১টার দিকে তাদের গ্রেফতারের তথ্য জানান সিলেট মেট্রোপলিটন পুলিশের উপ পুলিশ কমিশনার আজবাহার আলী শেখ।
আজবাহার আলী শেখ বলেন, হত্যাকান্ডের সাথে জড়িত তিনজনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। তারা হলেন কামরুল ইসলাম, আবুল হোসেন ও হাসান। তারা তিনজনই রাজমিস্ত্রির পেশায় যুক্ত। হাসান অ্যাম্বুলেন্সে সহকারী হিসেবে ছিলেন। পাশাপাশি তিনজন একসঙ্গে ছিনতাই করেন।
আজবাহার আলী আরও বলেন, কামরুলের স্বীকারোক্তির ভিত্তিতে তাদেরকে গ্রেফতার করা হয়েছে। আমরা কামরুলের বাসা থেকে হত্যায় ব্যবহৃত ছুরি ও বুলবুলের মোবাইল ফোন উদ্ধার করেছি। গ্রেফতারকৃতরা বিশ্ববিদ্যালয়ের পাশের টিলারগাঁও এলাকার বাসিন্দা। এ ছাড়া তারা পেশাদার ছিনতাইকারী।
আরো পড়ুন: বুলবুলকে খুন করে ‘তিনজন’, ‘কল লিস্ট’ মুছে ফেলেছেন প্রেমিকা
পুলিশের তথ্য অনুযায়ী, এয়ারপোর্ট থানার টিলারগাঁও এলাকার গোলাম আহমদের ছেলে কামরুল আহমদ। একই এলাকার মৃত তছির আলীর ছেলে হাছান ও আনিছ আলীর ছেলে আবুল হোসেন।
এর আগে মঙ্গলবার রাতে ওই ছাত্রের প্রেমিকাকে নিয়ে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে পুলিশের একটি দল। তারা সেই রাতে কি হয়েছিল সেটি জানার চেষ্টা করেছে।
গতকাল সোমবার সন্ধ্যা ৭টার দিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের গাজীকালুর টিলায় হত্যাকাণ্ডের ঘটনা ঘটে। নিহত শিক্ষার্থী বুলবুল আহমেদ শাবিপ্রবির লোকপ্রশাসন বিভাগের তৃতীয় বর্ষের ছাত্র। তার প্রেমিকা শাবিপ্রবির বাংলা বিভাগের ২০২০-২১ শিক্ষাবর্ষের ছাত্রী।