টাঙ্গাইলে প্রেমিকের সাথে বেড়াতে গিয়ে কলেজছাত্রীর সংঘবদ্ধ ধর্ষণ
টাঙ্গাইলে প্রেমিকের সঙ্গে বেড়াতে গিয়ে এক কলেজছাত্রী সংঘবদ্ধ ধর্ষণের শিকার হয়েছেন বলে অভিযোগ উঠেছে। এ ঘটনায় ওই ছাত্রীর মা মঙ্গলবার (২৬ জুলাই) রাতে টাঙ্গাইল সদর থানায় প্রেমিক আতিকসহ চার জনের নাম উল্লেখ এবং অজ্ঞাত ৩/৪ জনকে আসামি করে অভিযোগ দায়ের করেছেন। এ ঘটনায় প্রেমিক আতিককে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। বিষয়টি সদর থানার পুলিশ পরিদর্শক (তদন্ত) হাবিবুর রহমান নিশ্চিত করেছেন।
আতিক সদর উপজেলার দুলুটিয়া গ্রামের আকবর মিয়ার ছেলে।
কলেজছাত্রীর পরিবার, পুলিশ ও স্থানীয় সূত্র জানায়, ওই কলেজ ছাত্রী সোমবার (২৫ জুলাই) দুপুরে তার প্রেমিক আতিকের সঙ্গে সিএনজি অটোরিকশা যোগে বেড়াতে যায়। পরে স্থানীয় স্কুল মাঠে প্রেমিকসহ তার বন্ধু কলেজছাত্রীকে ধর্ষণ করে। রাতে ভুক্তভোগীকে ওই এলাকার নদীর পাড়ে নিয়েও ধর্ষণ করা হয়। স্থানীয়রা টের পেয়ে কলেজছাত্রীকে উদ্ধার করে টাঙ্গাইল জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করে। পুলিশ হাসপাতালে গিয়ে ওই ছাত্রীর কাছ থেকে বিস্তারিত তথ্য নেয়।
এ ঘটনায় জড়িত থাকার অভিযোগে রাতেই দুলুটিয়া গ্রামের জাকির, শওকত আলী ও আব্দুল খালেক মন্ডলকে আটক করে। পরে তাদের ছেড়ে দেয়া হয়।
রাতে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য তিনজনকে থানায় নেয়া হলেও পরে তাদের ছেড়ে দেওয়া হয়। শুধু প্রেমিক আতিককে আটক করা হয়েছে।
স্থানীয়দের অভিযোগ, টাকার বিনিময়ে ওই তিন ব্যক্তিকে পুলিশ ছেড়ে দিয়েছে।
আতিকের পরিবার জানায়, সমস্ত দায় আতিকের ওপর চাপানো হচ্ছে। যাদের আটক করা হয়েছিল তারাও জড়িত এই কাজে। অথচ তাদের ছেড়ে দেওয়া হয়েছে। তবে যেহেতু ঘটনা ঘটেছে তাই পরিবার থেকে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে আতিকের সঙ্গে ভুক্তভোগী কলেজছাত্রীর বিয়ে দেওয়ার উদ্যোগ নেওয়া হচ্ছে।
পুলিশ পরিদর্শক (তদন্ত) হাবিবুর রহমান বলেন, আতিকসহ তার বন্ধুরা কলেজছাত্রীকে ধর্ষণ করে। রাতে প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদের জন্য তিনজনকে আটক করা হয়েছিল। পরে তাদের ছেড়ে দেওয়া হয়েছে। টাকার বিনিময়ে কাউকে ছেড়ে দেওয়া হয়নি। অভিযোগের পর প্রেমিক আতিককে আটক করা হয়েছে।