১৯ জুলাই ২০২২, ১৯:২০

বুয়েট শিক্ষার্থী সানির মৃত্যু: ১৫ বন্ধু কারাগারে

নিহত তারিকুজ্জামান সানি  © সংগৃহীত

ঢাকা জেলার দোহার থানাধীন মৈনট ঘাটে তারিকুজ্জামান সানি (২৮) নামে বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বুয়েট) এক শিক্ষার্থীর মরদেহ উদ্ধারের ঘটনায় দোহার থানায় করা হত্যা মামলায় ১৫ বন্ধুকে রিমান্ড শেষে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।

মঙ্গলবার (১৯ জুলাই) ঢাকার জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট সাইফুল ইসলাম তাদের কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন।

কারাগারে যাওয়া ১৫ বন্ধু হলেন- শরীফুল হোসেন, শাকিল আহম্মেদ, সেজান আহম্মেদ, রুবেল, সজীব, নুরজামান, নাসির, মারুফ, আশরাফুল আলম, জাহাঙ্গীর হোসেন লিটন, নোমান, জাহিদ, এটিএম শাহরিয়ার মোমিন, মারুফুল হক মারুফ ও রোকনুজ্জামান ওরফে জিতু।

আরও পড়ুন: ‘গাঁজা আমার কাছে কোন ফ্যাক্ট না’

গত ১৬ জুলাই এ ১৫ আসামির তিন দিন করে রিমান্ড মঞ্জুর করেন আদালত। এদিন রিমান্ড শেষে আসামিদের আদালতে হাজির করে কারাগারে আটক রাখার আবেদন করেন মামলার তদন্ত কর্মকর্তা কুতুবপুর নৌ-পুলিশ ফাঁড়ির এসআই (নি:) শামছুল আলম। আসামিদের পক্ষে তাদের আইনজীবী জামিন আবেদন করেন। রাষ্ট্রপক্ষ থেকে এর বিরোধিতা করা হয়।

উভয়পক্ষের শুনানি শেষে আদালত জামিন নামঞ্জুর করে তাদের কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন

গত বৃহস্পতিবার বিকেলে দোহার উপজেলার মৈনট ঘাটে ১৫ বন্ধুর সঙ্গে ঘুরতে যান বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বুয়েট) শিক্ষার্থী তারিকুজ্জামান সানি। সেখানে পদ্মা নদীতে ঘোরার সময় এক পর্যায়ে তিনি নিখোঁজ হন বলে জানান তার বন্ধুরা।

বুয়েটের স্থাপত্য বিভাগের পঞ্চম সেশনের ছাত্র সানির বাবার নাম হারুন অর রশিদ। তাদের বাড়ি রাজধানীর হাজারীবাগে।

নিখোঁজ হওয়ার পর সানির সন্ধানে নামে ফায়ার সার্ভিসের ডুবুরি দল। ওইদিন রাতে অনেক খোঁজাখুঁজির পরও তার সন্ধান পাওয়া যায়নি। পরদিন শুক্রবার বেলা ১১টা ২৬ মিনিটে নদী থেকে তার মরদেহ উদ্ধার করা হয়। 

এ ঘটনায় শুক্রবার (১৫ জুলাই) বিকেলে সানির বড় ভাই হাসানুজ্জামান একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন। মামলা নং- ১০। ওই মামলায় আসামি করা হয় সানির সঙ্গে ঘুরতে যাওয়া ১৫ বন্ধুকে। তাদের সবাইকে গ্রেপ্তার দেখিয়ে শনিবার আদালতে পাঠায় পুলিশ।