১৮ জুলাই ২০২২, ০৭:৪৫

বিদ্যালয়ের গেটে যুবলীগ নেতার প্রাচীর, ফিরে গেল শিক্ষার্থীরা

ভুগরইল সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের গেটে তোলা যুবকলীগ নেতার প্রাচীর  © সংগৃহীত

ঈদের ছুটির পর রাজশাহীর পবায় ভুগরইল সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে এসেছিল শিক্ষক ও শিক্ষার্থীরা। কিন্তু সামনে দেয়াল থাকায় তা টপকে কেউ ভেতরে যেতে পারেননি। কারণ বিদ্যালয়ের গেটে প্রাচীর তুলে দিয়েছেন উপজেলার নওহাটা পৌর যুবলীগের আহ্বায়ক জয়নাল হোসেন। ফলে ক্লাস না করেই শিক্ষক-শিক্ষার্থীরা ফিরে গেছেন।

স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, জয়নাল হোসেন ও স্থানীয় পলাশের জমি আছে বিদ্যালয়ের আশেপাশে। গেট বরাবর জয়নালের জমি, পাশে পলাশের জমি। ছুটির সুযোগে প্রবেশপথে প্রাচীর দেন জয়নাল। প্রধান গেট ঘেঁষে পাঁচ ইঞ্চি প্রাচীর দেওয়া হয়েছে। এর আগে স্কুলটির রাস্তা ঘিরে বাঁশের বেড়া দেওয়া হয়েছে। খেলার মাঠে কিছুদিন আগে কলার বাগানও করা হয়েছে।

শিক্ষার্থী নিশাদ ও রাশিদ জানায়, ‘গেটের সামনে প্রাচীর দেওয়ায় স্কুলে ঢুকতে পারছি না। খেলার মাঠে কলা বাগান করা হয়েছে। এতে খেলাধূলাও করতে পারছি না।’

প্রধান শিক্ষক জান্নাতুন নেশা জানান, বিদ্যালয়ে ১৩৯ জন শিক্ষার্থী রয়েছে। ঈদের ছুটির সময় প্রাচীর দিয়েছেন স্থানীয় জয়নাল হোসেন।

স্কুলটির সভাপতি আয়ুব আলী জানান, আনোয়ারা বেগমের নিকট থেকে ১৯৯০ সালে তিনিসহ চারজন শিক্ষক ৮০ হাজার টাকায় ১৮ ও ১৫ শতাংশ জমি কেনেন। এরপর স্কুল নির্মাণ করেন। পরবর্তীতে স্কুলটি সরকারি হয়।

আরো পড়ুন: প্রাথমিকে আরও ৪০ হাজার শিক্ষক নিয়োগ চলতি বছরে

যুবলীগ নেতা জয়নাল হোসেন জানান, জমিটি তার না। প্রাচীর দেওয়া জমিটি পলাশের। পলাশ বলেন, ‘আমার জমি আছে, স্কুলের সামনে না, পাশে। গেট বরাবর জয়নালের জমি। আমি প্রাচীর দিইনি।’

খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পরিদর্শন করেছেন উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি)  অভিজিত সরকার। তিনি জানান, এ বিষয়ে শিক্ষকদের সঙ্গে কথা হয়েছে। যিনি প্রাচীর দিয়েছেন কথা বলা হবে তার সঙ্গে। শিক্ষার্থীদের ক্লাসে ফেরার উদ্যোগ নেওয়া হবে।

জেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার আবদুস সালাম বলেন, ‘স্কুলের সামনের জায়গা এক নেতার। তাকে বাঁধা দিয়েছেন ইউএনও ও ওসি। তারপরও তিনি প্রাচীর দিয়েছেন। উপজেলা শিক্ষা অফিসার বিষয়টি জানিয়েছেন। বিষয়টি জেলা প্রশাসককে জানিয়েছি।’