চাঁদপুরে কুপিয়ে জখম করা মাদ্রাসা শিক্ষকের অবস্থা আশংকাজনক
চাঁদপুরের হাইমচরে তুচ্ছ ঘটনাকে কেন্দ্র করে কুপিয়ে জখম করা মাদরাসা শিক্ষকের অবস্থা আশংকাজনক। বর্তমানে তিনি ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে জীবন মৃত্যুর সাথে পাঞ্জা লড়ছেন।
আহত ওই শিক্ষকের নাম মহিউদ্দিন মাঝি। তিনি হাইমচরে ফারুক ই আযম দাখিল মাদরাসার শিক্ষক।
পরিবারিক সুত্রে জানা যায়, আহত মহিউদ্দিন মাঝির এখনো জ্ঞান ফিরেনি। এছাড়া হামলাকারী এবং তাদের প্রশ্রয়দাতাদের ভয়ে হামলার বিচার দাবিতে প্রকাশ্যে কেউ প্রতিবাদ করতে সাহস পাচ্ছেন না।
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, বৃহস্পতিবার (১৪ জুলাই) সন্ধ্যায় উপজেলার আলগী দক্ষিণ ইউনিয়নের সাবু মাষ্টার মোড় এলাকায় তুচ্ছ ঘটনাকে কেন্দ্র করে মহিউদ্দিন মাঝিকে এলোপাতাড়ি কুপিয়ে জখম করে স্থানীয় এক বিএনপি নেতার লাঠিয়াল বাহিনীর ক্যাডার হিসেবে পরিচিত সুমন মিজি।
পরে স্থানীয়রা আহত মহিউদ্দিন মাঝিকে উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যায়। অবস্থা আশংকাজনক হওয়ায় কর্তব্যরত চিকিৎসক প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে তাকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে রেফার করেন।
নামপ্রকাশে অনিচ্ছুক স্থানীয় এক ব্যক্তি জানান, সুমন মিজিদের ভয়ে এলাকার মানুষ তাদের বিরুদ্ধে সত্য কথা বলতে সাহস পায় না। এলাকায় তারা ‘‘কোবাইন্না মিজি’’ নামে বেশি পরিচিত। তারা হাইমচরের প্রভাবশালী এক বিএনপি নেতার ছত্রছায়ায় দীর্ঘদিন ধরে মানুষের উপর জুলুম ও অত্যাচার চালিয়ে আসছে। মহিউদ্দিন মাঝি ও তার পরিবার নিরীহ। তারা এলাকার কারও সাথে জোরে কথাও বলেনা। এলাকাবাসী ও আহতের পরিবার এই বর্বরোচিত সন্ত্রাসী হামলার ঘটনার সুস্থ বিচারের দাবি জানান।
এ বিষয়ে মহিউদ্দিনের ছেলে আবরার মুরাদ হামিম জানান, আমার বাবাকে অন্যায়ভাবে বেধড়ক মারধর ও কুপিয়ে জখম করায় সন্ত্রাসী সুমন মিজিকে অতিবিলম্বে গ্রেফতার করে আইনের আওতায় নেওয়া হোক।
ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে হাইমচর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মো. আশরাফ উদ্দীন জানান, শিক্ষককে কুপিয়ে হত্যার ঘটনায় লিখিত অভিযোগ পেয়েছি। এ বিষয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।